‘অ্যা ভিজিট ফ্রম দ্য গুন স্কোয়াড’ উপন্যাসের জন্য এ বছর পুলিৎজার পুরস্কার পেলেন আমেরিকার সাহিত্যিক জেনিফার ইগান। তিনি এ উপন্যাসটিতে মানুষের জীবনে সময় ও সঙ্গীতের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন।
এদিকে, নন-ফিকশনে পুলিৎজার পেয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত চিকিৎসক সিদ্ধার্থ মুখার্জি। তিনি লিখেছেন ক্যান্সারের উৎপত্তি নিয়ে।
কবিতায় পুলিৎজার পেয়েছেন কে রিয়ান। নাট্যকার বুস নরিস পুরস্কারটি পেয়েছেন তার ‘ক্লাইবোর্ন পার্ক’ নাটকটির জন্য। সঙ্গীতে অবদানের জন্য চীনা বংশোদ্ভূত সঙ্গীতজ্ঞ ঝু লংকে দেওয়া হয়েছে পুলিৎজার।
আব্রাহাম লিঙ্কন ও আমেরিকার দাসজীবন নিয়ে লেখা বইটির জন্য পুলিৎজার পেয়েছেন এরিক ফনার। জর্জ ওয়াশিংটনের জীবনী লিখে পুরস্কার পেয়েছেন রন শেরনাউ।
সাংবাদিকতার ১৩টি বিভাগে এবং শিল্প-সাহিত্যের ৭টি বিভাগে দেওয়া হয় পুলিৎজার পুরস্কার।
নিউ ইয়র্ক টাইমস পুলিৎজার পেয়েছে অর্থনৈতিক বিষয়ক মতামত এবং রাশিয়ার ওপর প্রতিবেদনের জন্য। এদিকে, দ্য লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস পুরস্কারটি পেয়েছে ফিচার ফটোগ্রাফি ও দুর্নীতিবিষয়ক রিপোর্টিংয়ের জন্য।
দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকার আলোকচিত্রী ক্যারোল গুজি প্রথম সাংবাদিক, যিনি চারবার পুলিৎজার অর্জন করলেন। ওবামা প্রশাসনের স্বাস্থ্যনীতির ওপর সম্পাদকীয় মতামত লিখে পুলিৎজার পেয়েছে দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।
১৮ এপ্রিল নিউ ইয়র্কের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এই পুরস্কারটি ঘোষণা করা হয়। হাঙ্গেরিয়ান বংশোদ্ভূত আমেরিকান প্রকাশক জোসেফ পুলিৎজার-এর নামে এই পুরস্কার প্রবর্তন করা হয়।
পুলিৎজার মারা যান ১৯১১ সালে। মারা যাওয়ার আগে তিনি কিছু টাকা কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুদান হিসেবে দিয়ে যান। ১৯১২ সালে সেই টাকায় বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিকতার ওপর একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করে। আর ১৯১৭ সাল থেকে দেওয়া করা হয় পুলিৎজারের নামে এই পুরস্কার।
বাংলাদেশ সময় ২০০১, এপ্রিল ১৯, ২০১১