দুজন বিপরীত সত্তার মানুষ তাকিয়ে থাকে পরস্পরের দিকে, তাদের মাথায় রচিত হয় ভিন্ন ভিন্ন গল্প। দুজন মানুষ পড়ে একই গল্প, তাদের মাথায় হয় এর ভিন্ন ভিন্ন অনুবাদ।
বইটির শিরোনাম পাঠকদের কৌতূহলী করে তোলে, কেননা কেবল মুন্সিবাড়ির লোকেরা নয় আমরা সবাই দীর্ঘদিন ধরে টিভি দেখতে অভ্যস্ত। কী আছে গল্পটিতে? আসলে গল্পটি এগিয়েছে একটি পরকীয়া সম্পর্ককে কেন্দ্র করে, যেখানে মনের চেয়ে শরীরেরই প্রাধান্য বেশি। মুন্সিবাড়ির লোকেরা যখন টিভি দেখায় ব্যস্ত, তখন প্রবাসে বাসরত স্বামীর দেওয়া পারফিউম মেখে আর কাপড় পরে ওই বাড়ির ছোট বউ মিলিত হয় মনির নামের এক তরুণের সাথে। মনিরকে বাড়ি থেকে দীর্ঘদিন বিয়ের কথা বলা হলেও সে বিয়ে করে না, তার কথা একটাই, বউকে সে খাওয়াবে কী।
এই বইয়ের অন্য গল্পগুলি হচ্ছে : রাতে ওরা নামে নগরের প্রধান সড়কে, চোর এসেছিল, আহমেদ লোহালক্কড় হাউজ, কখনো কখনো একজনই পুরো গ্রাম হয়, গাল জুড়ে নিঃসঙ্গ ঢেউ, দক্ষিণ মহল্লায় পুলিশের গাড়ি নামে, লাভ অ্যাট ফার্স্ট হিয়ারিং, অক্ষরের সাথে বিরোধ, একজন প্রেমিকের কর্মতৎপরতা, এর পরদিন আমার পরীক্ষা ছিল, কঠিন জিনিসের সাথে এখন, জয়মনির ঢেউয়ে নতুন পাতা, জীবন জীবনে যোজন দূরত্ব, রাভেন এসেছিল ভবিষ্যৎ হতে, শিকগুলো ভেঙে যায়।
আনোয়ার সাদীর গল্পের শিরোনাম দেখেই টের পাওয়া যায়, এই লেখক ভিন্নভাবে চিন্তা করেন, তার প্রকাশের ভাষাও অন্যরকম।
‘মুন্সিবাড়ির লোকেরা টিভি দেখে’ বইটি প্রকাশ করেছে ঐতিহ্য। প্রচ্ছদ করেছেন লুবনা জাহান নীপা। বইটির মূল্য : ১২০ টাকা।
বাংলাদেশ সময় ১৪৪২, মার্চ ১৮, ২০১১