১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির পরই পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা কী হবে সেটা নিয়ে গুঞ্জন চলছিল। তৎকালীন বাংলাভাষার মনীষারা পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা করার প্রতি সোচ্চার ছিলেন।
এ কথা আজ অনায়াসেই বলা যায়, ১৯৫২-র ভাষা আন্দোলনের সফলতার ধারাবাহিক ফসল ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশ। ভাষা আন্দোলনের সাথে যুক্ত মহান ভাষাসৈনিকেরা অনেকেই হয়তো বেঁচে নেই, তবে যারা এখনো বেঁচে আছেন তাদের প্রত্যেকেরই বয়স ৮০ বছরের এপার-ওপার। এ মহান ভাষাসৈনিকদের কাছ থেকে আমাদের জানার রয়েছে অনেক কিছুই।
২০১১ ফেব্রুয়ারি বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে তারেক মাহমুদের ২৬ জন ভাষাসৈনিকের কথোপকথন নিয়ে বই ‘একুশের যাত্রী’। বইয়ে তালিকাভুক্ত ভাষাসৈনিকরা হচ্ছেন আবদুল মতিন, আহমদ রফিক, রওশন আরা বাচ্চু, রফিকুল ইসলাম, মুস্তাফা নূরউল ইসলাম, সাঈদ হায়দার, বাহাউদ্দিন চৌধুরী, সুফিয়া আহমেদ, সাদেক খান, হালিমা খাতুন, আবদুল কাদের খান, আবদুল গফুর, মির্জা মাজহারুল ইসলাম, আলী আজগর, জসীম উদ্দিন আহমেদ, মুহম্মদ জিয়াদ আলী, আজিজুল ইসলাম খান, গোলাম আরিফ টিপু, সফর আলী আকন্দ, আনিসুজ্জামান, কামাল লোহানী, শামসুল হুদা, তোফাজ্জল হোসেন, মোতাহের হোসেন সূফি, আমীর আলী খান ও নীলুফার খাতুন।
এই ভাষাসৈনিকেরা জানিয়েছেন ভাষা আন্দোলনের পূর্বাপর অনেক তথ্য, যা আমাদের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
শাহবাগের জনান্তিক প্রকাশ করেছে বইটি। প্রচ্ছদ এঁকেছেন সঞ্জয় দে রিপন। দাম ২০০ টাকা।
বাংলাদেশ সময় ১৬৫০, মার্চ ১০, ২০১১