একুশের বইমেলা রীতিমত আমাদের কাছে উৎসবে পরিণত হয়ে গেছে। এর একটা মূল কারণ পরিকল্পিতভাবে এখান থেকে রাজনীতিকে নির্বাসনে পাঠানো হয়েছে।
এই ভীড় দেখে উল্লাসের কারণ নেই। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আমি আতঙ্কিত। এখানে ক্রেতারা আসে ভোগের জন্য। রক্তমাংসহীন কাগজে ছাপা বইও নারীর মত ভোগের পণ্য এটাও স্বাধীন দেশের বাঙালিরা জেনে গেছে। তাই-ই এত ভীড়। যেমনÑ হিন্দুদের পূজা ম-পে খুব ভীড় হয় দেবী দেখতে নয় বরং যে যুবতীরা এখানে আসে তাদের দেখতে। এখন বিদেশি একজন সাংবাদিক ভুল করে হয়ত ভাবতে পারেন আহা এদেশের মানুষ ধর্মকে কত ভালোবাসে। আমদের বইমেলার অবস্থাও তাই।
গত বইমেলায় বের হয়েছিল আমার উপন্যাস ‘চিম্বুক পাহাড়ের জাতক- তৃতীয় খ-’ এবং উপন্যাস ‘শীতলক্ষ্যা’। এবছর বের হচ্ছে নালন্দা প্রকাশনী থেকে উপন্যাস ‘চিম্বুক পাহাড়ের জাতক- চতুর্থ খ-’। এটাই উপন্যাসটির শেষপর্ব। ইত্যাদি থেকে আসছে আত্মজৈবনিক উপন্যাস ‘জাতিস্বর জন্ম জন্মান্তর’ এবং ‘মহাজন’। বিভাস থেকে আসছে কিশোর উপন্যাস ‘শহীদ মিনারের অচেনা লোকটি’ এবং ঝিনুক থেকে আসছে ‘শ্রেষ্ঠ গল্প’।
বাংলাদেশ সময় ১৯৩০, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০১১