ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শিল্প-সাহিত্য

শেষ মুহূর্তে জমজমাট বইমেলা

সাহিত্য পুরস্কার তুলে দেওয়া হলো ছয় জনের হাতে

সালাম ফারুক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১১
সাহিত্য পুরস্কার তুলে দেওয়া হলো ছয় জনের হাতে

ঢাকা: সাহিত্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য ২০১০ সালের বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিতদের হাতে তুলে দেওয়া হলো পুরস্কার।

শনিবার বিকালে বাংলা একাডেমীর মূলমঞ্চে আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় সাহিত্যিকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও এক লাখ টাকার চেক তুলে দেন একাডেমীর সভাপতি অধ্যাপক কবীর চৌধুরী ও মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান।



পুরস্কারে ভূষিতরা হলেন- গবেষণা ও প্রবন্ধে সামগ্রিক অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ অধ্যাপক খান সারওয়ার মুরশিদ, কথাসাহিত্যে বুলবুল চৌধুরী, কবিতায় রুবী রহমান ও নাসির আহমেদ, বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিচর্চার েেত্র অধ্যাপক অজয় রায় এবং শিশুসাহিত্যে শাহজাহান কিবরিয়া। অনুষ্ঠানে খান সারওয়ার মুরশিদের পুরস্কার গ্রহণ করেন তার জ্যেষ্ঠ কন্যা ড. তাজিন মুরশিদ।

অনুষ্ঠানে কবীর চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন শামসুজ্জামান খান। পুরস্কৃতদের পরিচিতিও তুলে ধরা হয় এতে।

সভাপতির বক্তৃতায় জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরী বলেন, ‘দেশের প্রগতিশীল সাহিত্য যাতে আরও সমৃদ্ধ হয় সেজন্য পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখকদের সামাজিক দায়বদ্ধতা পালনের আহ্বান জানাচ্ছি। ’

শুভেচ্ছা বক্তৃতায় শামসুজ্জামান খান বলেন, ‘সাহিত্য পুরস্কার দেওয়া বাংলা একাডেমীর একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এ পুরস্কারের মাধ্যমে দেশের লেখকরা জাতীয় স্বীকৃতি লাভ করেন। একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালার ভিত্তিতে এ পুরস্কার দেওয়া হয়। ’

পুরস্কারপ্রাপ্তির অনুভূতি ব্যক্ত করে পুরস্কারপ্রাপ্তরা বলেন, বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্তিকে অনেক গৌরবের এবং এ পুরস্কার লেখার প্রতি দায়বদ্ধতা অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে।

শেষ মুহূর্তের ব্যস্ততা
এদিকে, শেষ মুহূর্তে বইমেলায় ব্যাপক ক্রেতার সমাগম ঘটছে। শনিবারের ভিড় হার মানিয়েছে শুক্রবারকেও। সকাল ১১টা থেকে উন্মুক্ত হওয়ায় সারাদিনই ছিল জমজমাট। মাঝবয়সী আর তরুণ প্রজন্ম ছাড়াও প্রচুর সংখ্যক শিশু-কিশোরের উপস্থিতি ছিল।

মেলার আর মাত্র দু’দিন বাকি। আর শনিবারই ছিল সাপ্তাহিক ছুটির শেষ দিন। তাই আগের ছুটির দিনগুলোর তুলনায় এদিন অনেক বেশি ভিড় ছিল বলে মনে করেন লেখক, প্রকাশকসহ অন্যরা।

শেষ দিকে এসে মেলায় প্রায় প্রতিটি স্টলেও বিক্রি বেড়েছে। ভালো বিক্রিতে হাসি দেখা গেল প্রকাশকদের মুখে। ব্যস্ত সময় কাটাতে হলো বিক্রয়কর্মীদেরও।

বেশ ক’জন প্রকাশক ও বিভিন্ন স্টলের বিক্রয়কর্মীরা জানান, এখন প্রকৃত ক্রেতারাই আসছেন। তাই বিক্রিও আশানুরূপ হয়েছে।

নতুন বই ও মোড়ক উন্মোচন
একুশে বইমেলায় ২৬তম দিনে শনিবার ১৩৫টি নতুন বই এসেছে। এ নিয়ে এবারের মেলার মোট বইয়ের সংখ্যা হলো দুই হাজার ৮৩৬। এদিনও মোড়ক উন্মোচনের জোয়ারে ভেসেছে নজরুলমঞ্চ। এবারের দ্বিতীয় সর্বাধিক ৪৮টি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয় শনিবার।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।