ঢাকা : পরপর দু’দিন দীর্ঘ লাইনে দাঁড়ানোর পর বুধবার কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন অমর একুশে বইমেলায় আসা বইপিপাসুরা। মাসব্যাপী মেলার নবম দিনে এসে কিছুটা ভিড় কম দেখা গেছে বুধবার।
শুরু থেকেই জমজমাট হয়ে ওঠা এবারের একুশে বইমেলায় এর আগে শুধু রোববার ছাড়া বাকি সাতদিনই ছিল উপচেপড়া ভিড়। তবে সেই রোববারের মতো ‘ফাঁকা ফাঁকা’ দেখা যায়নি বুধবারের মেলা।
এদিকে, ভিড় কমলেও বিক্রি কমেনি। এমনটাই জানালেন প্রকাশকরা। আর ক্রেতারা জানালেন, ভিড় কম থাকায় স্বস্তিতে বই কিনতে পারার কথা।
বাংলানিউজের জিজ্ঞাসার জবাবে আগামী প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ওসমান গনি বললেন, ‘বিক্রি ভালোই হয়েছে। ভিড় কম হলেও ক্রেতার আনুপাতিক হারটা বেশি ছিল। ’
অ্যাডর্ন পাবলিকেশনের প্রকাশক সৈয়দ জাকির হুসেনের মন্তব্যটাও ছিল কাছাকাছি। তার ভাষায়, ‘ভিড় আজ অনেক কম ছিল। তবে বিক্রি কমেছে বলে মনো হলো না। যথেষ্ট বিক্রি হয়েছে। ’
‘মেলায় লোক সমাগম কম মনে হয়েছে। তবে আমাদের বিক্রি যথার্থই ছিল। ছুটির দিনগুলো ছাড়া যেমন বিক্রি হয়ে থাকে আমাদের সে রকমই হয়েছে। ’- বললেন আরেক প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান শুদ্ধস্বরের স্বত্বাধিকারী আহমেদুর রশিদ চৌধুরী।
অপরদিকে, সাহিত্য প্রকাশের ব্যবস্থাপক গিয়াসউদ্দিন চৌধুরী বললেন অন্য কথা- ‘ভিড় কম থাকায় বিক্রিও কম ছিল’।
তবে ভিড় কম থাকার মাহাত্ম্য ফুটে উঠলো বেশ ক’জন ক্রেতার কণ্ঠে।
মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা মাহবুব হাসান বললেন ‘ভিড় কম থাকায় বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখে-শুনে বই কিনতে পেরেছি আজ। আরও কয়েকদিন এসেছিলাম। কিন্তু ভিড়ের কারণে স্টলের কাছেই যেতে পারিনি। ’
দ্বিতীয় বারের মতো আসা একটি মিডিয়া প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ফারহানা দীবা প্রায় দেড় ঘণ্টা ঘুরেছেন মেলায়। কিনেছেন প্রায় ১২ হাজার টাকার বই। জানালেন, আগে থেকে নির্ধারিত থাকায় বই কেনায় সময় লাগেনি তেমন। বেশিরভাগ সময় ব্যয় হয়েছে স্টলগুলো খুঁজে বের করতে।
অতিরিক্ত ভিড় নয়, প্রতিদিন এমন স্বাভাবিক হাঁটাচলা করার সুযোগই চান ক্রেতারা।
বিকালে মেলার মূলমঞ্চে আয়োজন করা হয় ‘রবীন্দ্রনাথের রোমান্টিকতা ও আধুনিক কবিতার দ্বন্দ্ব’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান এবং সন্ধ্যায় যথারীতি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আর নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় নয়টি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান।
বুধবার এ বছরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১২১টি বই এসেছে মেলায়।
বাংলাদেশ সময়: ২৩১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১১