প্রতি বছরই বইমেলা হয় আর আমাকে প্রতি বছর একই কথা বলতে হয়, মেলার আয়োজন নিয়ে প্রতি বছরই থাকে নানা অভিযোগ, মেলার জায়গা ছোট। কই কোনো পরিবর্তন তো চোখে পড়ে না।
তাছাড়া প্রতি বছরই দেখি ৩-৪ হাজার বই বের হয়। পরের বছর সেই বইগুলির কী হাল হলো কেউ কি খবর রাখে? এত বই থেকে কোনো বইয়ের নাম পরে আর বলা যায় না, এটা তো খুবই দুঃখজনক ঘটনা। সেদিক থেকে বলতে হয় এত বই না বেরুনোই তো ভালো, এটা তো কতকটা কাগজের জঞ্জাল, কতকটা হুজুগ।
আমার সন্দেহ হয় জাতির চিন্তা সক্রিয় আছে কিনা। বই প্রকাশের কোনো নীতিমালা নেই, যে কেউ ইচ্ছে করলেই বই করতে পারে। যে কোনো বই বের করলেই প্রকাশক হওয়া সম্ভব কিনা এরকম কোনো নীতিমালা থাকা তো উচিত।
নিজের বই সম্পর্কে
গত মেলায় বের হয়েছিল ইত্যাদি প্রকাশনী থেকে আত্মজীবনীর প্রথম খ- ‘ফিরে যাই ফিরে আসি’, মাওলা ব্রাদার্স থেকে প্রবন্ধের বই ‘কে বাঁচে কে বাঁচায়’। এছাড়া পুরনো কিছু লেখা নিয়েও একটি বই বের হয়েছিল।
এবারের মেলাতে আসছে আমার আত্মজীবনীর দ্বিতীয় খ- ‘উঁকি দিয়ে দিগন্ত’ ও হায়াৎ মামুদের সম্পাদনায় সাক্ষাৎকারের বই ‘উন্মোচিত হাসান’। বই দুটি করেছে ইত্যাদি প্রকাশনী। এছাড়া মাওলা ব্রাদার্স থেকে বের হচ্ছে ‘গল্প সমগ্র-১ ও ২’ এবং দেশভাগের গল্প নিয়ে আলাদা একটি সংকলন ‘দেশভাগের গল্প’।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ২০৪০, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১১