আজ ২১ জানুয়ারি শুক্রবার থেকে ভারতের রাজস্থানের জয়পুরে শুরু হচ্ছে এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ সাহিত্য সম্মেলন। ২০০৬ সাল থেকে প্রতি বছর জানুয়ারিতে ভারতে এ সম্মেলন হয়ে আসছে।
তবে কয়েক সপ্তাহ ধরেই জয়পুর সাহিত্য সম্মেলনকে কেন্দ্র করে চলছে ‘বর্ণবাদবিষয়ক’ নানান তর্ক-বিতর্ক। এই তর্কের পুরোটাই আসলে চলছে ভারতের সংবাদ ম্যাগাজিন ‘ওপেন’-এ। অভিযোগ উঠেছে এখানে ভারতীয় লেখকদের তুলনায় ব্রিটিশ লেখকদেরই আধিপত্য বেশি। এটা আসলে এক ধরনের বর্ণবাদী মনোভাব। এ বিতর্কের সূত্রপাত হয় খুবই শান্তভাবে ‘ওপেন’ ম্যাগাজিনে ব্রিটিশ ইতিহাসবিদ ও ভারত গবেষক স্কটিশ কথাসাহিত্যিক উইলিয়াম ডালরিম্পলের একটি লেখার মধ্য দিয়ে।
ওপেন ম্যাগাজিনের রাজনীতিবিষয়ক সম্পাদক হারতশ সিং বাল উইলিয়াম ডালরিম্পল সম্পর্কে প্রশ্ন তোলেন, কেন একজন শ্বেতাঙ্গ মধ্যবয়স্ক স্কটিশ নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেন ‘ভারতীয় সাহিত্যের ভাগ্যনিয়ন্তা’ হিসেবে। তিনি আরও বলেন, এ সাহিত্য সম্মেলন বিশেষ কোনো কাজের নয়, আসলে ভারতে এটা একটি সাহিত্যিক আধিপত্য বিস্তারের প্রক্রিয়া। ব্রিটিশ সাহিত্যের আধিপত্য বিস্তারের সহায়ক হিসেবেই এ মেলায় আমাদের সাহিত্যিকদের ব্যবহার করা হয়। এখানে দেখা যায়, মেলার মূল আকর্ষণ হিসেবে থাকে ব্রিটিশ লেখকরা কিন্তু ভারতীয় লেখকরা সে তুলনায় অনেকটাই গৌণ।
উইলিয়াম ডালরিম্পল এর উত্তরে লেখেন, ব্রিটিশ লেখকরা ‘বাদামি, কালো এবং শাদা’ নির্বিশেষে এ উৎসবে সংখ্যালঘুর মধ্যেও সংখ্যালঘু। ডালরিম্পল ২৫ বছর ধরে ভারতে বসবাস করছেন এবং এখানেই ৫টি উপন্যাস লিখেছেন।
উৎসবটি অনুষ্ঠিত হবে উনিশ শতকের বিখ্যাত দিগগি প্যালেসে। উৎসবে সাহিত্যবিষয়ক আলোচনায় অংশ নেবেন নোবেলজয়ী সাহিত্যিক ওরহান পামুক ও জে এম কোয়েটজি। এছাড়াও আলোচনা করবেন বিখ্যাত লেখক বিক্রম শেঠ ও বুকারজয়ী কিরণ দেশাই। সম্মেলনে এবার অংশ নিচ্ছেন বিভিন্ন ভাষার প্রায় ২০০ বিখ্যাত লেখক।
আফ্রিকান বংশোদ্ভূত লেখক জে এম কোয়েটজি আলোচনা করবেন ‘উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত সা¤্রাজ্যিক ইংরেজি ভাষা’ বিষয়ে। চলবে ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত।
সূত্র : এএফপি
বাংলাদেশ সময় ০০০৫, জানুয়ারি ২০, ২০১১