ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

শিল্প-সাহিত্য

সেলিম আল দীন ও তাঁর ভাঙা প্রেম

স্বকৃত নোমান | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১১
সেলিম আল দীন ও তাঁর ভাঙা প্রেম

সেলিম আল দীন শুধু নাট্যকারই নন, তিনি ছিলেন শিক্ষক, গবেষক, দার্শনিক, সংগঠক, নাট্যনির্দেশক এবং শিল্পতাত্ত্বিক। তাঁর অন্যতম কৃতিত্ব হচ্ছে, তাঁর সমকালীন বাংলা নাটকের আড়ষ্টতা কাটিয়ে তিনি একে করে তুলেছিলেন আন্তর্জাতিক শিল্পমানসম্পন্ন।

ভারতীয় ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতির ওপর ভর করেই তার ভিত্তিভূমি রচিত। বেদ থেকে শুরু করে রামায়ণ-মহাভারত হয়ে মধ্যযুগের সাহিত্য তার বিচরণ ভূমি। অতীতের শিক্ষাকে তিনি বর্তমানের সঙ্গে একাঙ্গীভূত করেছেন। ঐতিহ্যের সূত্র ধরে সমকালকে ধরবার চেষ্টা ছিল তাঁর। ভারতীয় উপমহাদেশে যে একদা জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চা ছিল, এখানকার সাহিত্য-সংস্কৃতি-দর্শন-বিজ্ঞান যে নিজেই স্বয়ংসম্পূর্ণ- এতে ছিল তার পরিপূর্ণ বিশ্বাস। তাই তিনি ধার করা শিল্পনিয়ম-রীতিতে নয়, এ দেশের হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী রীতিকে পূনরুদ্ধার করে সেই রীতিতে চর্চা করেছেন তাঁর শিল্প। বিশ্বের তাবৎ জ্ঞানকে এই ভূমির ঐতিহ্যিক জ্ঞানের সঙ্গে সম্পৃক্তকরণ ছিল তাঁর একান্ত প্রচেষ্টা।

শিল্পাদর্শে তিনি ছিলেন দ্বৈতাদ্বৈতবাদী। এ তাঁর নবতর শিল্পরীতি সৃষ্টি। তিনি মনে করতেন, প্রকৃত শিল্প একই উৎস থেকে উৎসারিত। তাই এতে কোনো বিভাজন নেই। এ নিবন্ধে তাঁর সর্বশেষ পূর্ণাঙ্গ রচনা ‘ভাঙা প্রেম অশেষ বিশেষ’ সম্পর্কে যৎকিঞ্চিৎ আলোচনা করা হবে। এরপর তিনি আর কোনো পূর্ণাঙ্গ লেখা লিখে যেতে পারেননি।

প্রাচ্যদেশীয় এক দার্শনিক প্রেমের শক্তি বর্ণনা দিতে গিয়ে এভাবে বলেছেন যে, প্রেমের চুম্বক টানে প্রেমিক যেমন আকৃষ্ট হয় প্রেমিকার প্রতি, তেমনি জড়পরমাণুপুঞ্জও আকৃষ্ট হয় পরস্পরের প্রতি। শুধু তাই নয়, এই প্রেম-শক্তির আকর্ষণে সৌরজগতের নত্ররাজিও পৃথিবীকে তাদের দিকে আকৃষ্ট করে স্বাভাবিক আলিঙ্গনের ছলে। প্রেমের এই অতিজাগতিক টানের ফলেই পৃথিবী শূন্যে ঝুলে আছে একটি বাতির মতো। আর এর চারদিকে সব শক্তির সমান আকর্ষণের কারণেই তা ঝুঁকে পড়ছে না এদিক-ওদিক। প্রেমের এই বন্ধন পৃথিবীকে অধিষ্ঠিত রেখেছে শূন্যে। নীহারিকাপুঞ্জ থেকে যে প্রেম শক্তি সৃষ্টি করে নভোমণ্ডলের গ্রহ-তারকাকে, সেই শক্তি আরেকটু এগিয়ে গিয়ে সৃষ্টি করে প্রাণ...।

প্রেমের উপরোক্ত বর্ণনা অতিজাগতিক, কিছুটা বৈশ্বিকও বটে। অতিজাগতিকতা থেকে প্রেমের বিস্তারিত জালটাকে গুটাতে গুটাতে আমরা যদি মানুষের মধ্যে সীমাবদ্ধ করি, তাহলে দেখা যাবে যে, এই প্রেম-শক্তির আকর্ষণ-বিকর্ষণের কারণেই মানুষ পৃথিবীতে অস্তিত্বমান। মানুষের ভিতর প্রেম আছে বলেই ক্রমপ্রসারমাণ মানবসৃষ্টি-প্রক্রিয়া। প্রেমের যে শক্তি বা যে আকর্ষণ- এ শক্তি এবং আকর্ষণই প্রজননের ধারাবাহিকতা রা করছে। এ প্রেম পুরুষে-পুরুষে, পুরুষে-নারীতে, নারীতে-নারীতে, শিশু-বৃদ্ধে, পিতা-পুত্রে, ভ্রাতা-ভগ্নিতে, মানুষে-বৃ,ে পশু-মানুষে- সর্বত্রই বিরাজমান। এই যে চক্রাকার প্রেম, এতে যৎকিঞ্চিৎ ঘাটতি দেখা দিলে শৃঙ্খলিত গতির স্বাভাবিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হয় বৈকি। তো সেই হিসেবে প্রেম মানুষের জীবনে এক অনিবার্য অনুষঙ্গ। একে অস্বীকার করবার উপায় নেই।

মানুষের জীবনে প্রেম একবারই শুধু আসে না। বহুবার বহুভাবে আসে। তার কিছু হয়তো সফল, কিছুটা অসফল। এভাবেও প্রেম আসতে পারে যে, প্রেমিক জানেনই না এটিই যে প্রেম কিংবা ভালোবাসা। এসব প্রেমের কতকটা হয়তো স্থায়িত্ব পায়, বাকিটা হারিয়ে যায় মহাকালের গহ্বরে। এসব সফল-অসফল প্রেমের দু-একটি হয়ত প্রকাশ পায়, অধিকাংশই থেকে যায় অন্তরালে। আবার অন্তরালের সেইসব প্রেমের কথা কেউ সহজে প্রকাশ করতে চান না; পাছে সামাজিকতার বেষ্টনি থেকে ছিটকে পড়েন সেই ভয়ে!

প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের প্রেমের মধ্যে কিছুটা তফাৎ রয়েছে। আবার ভারতীয় প্রেম কিংবা আরবীয় প্রেমের মধ্যেও কিছুটা ব্যবধান দেখা যায়। পাশ্চাত্যের প্রেম স্থির নয়, কিছুটা অস্থির। কেবল নারী-পুরুষের প্রেমের কথাই যদি ধরা যায়, তাহলে দেখা যাবে যে, পাশ্চাত্যের মানুষদের প্রেম এক নারীতে কিংবা এক পুরুষে স্থিত নয়। ওদের প্রেম ঘাট বদলায়। প্রেমতরী এ ঘাট থেকে ওঘাটে নোঙর ফেলে। ক্রম ভাঙনশীল ওদের প্রেম। অপরদিকে, আরবীয় প্রেম সহজে ভাঙতে চায় না। তবে সেই প্রেম বহুবিস্তারী। ওদের প্রেম এক পুরুষে কিংবা এক নারীতে আপাত স্থির বলে দৃষ্ট হলেও ওদের প্রেমও ভাঙে। হেরেমখানায় প্রেমিকাকে প্রেমের ছলে বন্দি রেখে প্রেমিকরা প্রেমের বন্দরে বন্দরে সফর করে। এটা তাদের কাছে স্বাভাবিক।

ভারতীয় উপমহাদেশের মানুষদের প্রেম স্থিত বটে। তবে আমাদের প্রেমের স্থিরতার ইতিহাস যেমন আছে, তেমনি আছে ভেঙে যাবার ইতিহাসও। প্রেমিক শাহজাহান সৌধ নির্মাণ করেছেন বটে, কিন্তু নেপথ্যে শাহজাহানের প্রেম কেবল মমতাজেই যে স্থিত ছিল, তা সঠিক করে কে বলবে! ভিন নারীর দীঘল চুলের সৌরভ যে শাহজাহানকেও মাতিয়ে তোলেনি, তার নিশ্চয়তা কোথায়! যদিও ইতিহাস শাহজাহানকে প্রেমিকের স্থানটিই দিয়েছে।

ত্রিনদীর মোহনায় এ বঙ্গীয় বদ্বীপের ব্রাত্যজনদের প্রেম স্থিত বটে। তবে সেই স্থিতি যতটা না প্রেমের টানে, ততটা নিষ্ঠুর সামাজিকতার ঘেরাটোপে আবদ্ধ হয়ে। তাদের প্রেমের মধ্যে অর্থনীতি বড় ধরনের ক্রিয়া করে। অর্থনৈতিক কারণে তারা প্রেমকে সহজে ভাঙতে দেয় না। আবার অর্থনৈতিক দৈন্যকে অগ্রাহ্য করেও প্রেম ভাঙে, তবে তা অনেকাংশে থেকে যায় অপ্রকাশিত। ভাঙনের তীব্র দহনে তারা দগ্ধ হতে হতে নিঃশেষ হয়, তবু পারিপার্শি¦কতার কারণে প্রকাশ করতে পারে না। মালেক-নুরুন্নেহার প্রেম নিষ্ঠুর সামাজিকতা আপাত ভেঙে দেয় বটে, কিন্তু সেই প্রেম অভগ্ন হয়ে ইহজাগতিকতায় পৌঁছে যায়। কিংবা ভেলুয়া-আমির সাধুর প্রেম। শত দুর্বিপাকেও এ প্রেমে সহজে ভাঙন ধরে না। আবার দেখা যায় নছরের প্রেম ভাগ হয়ে যায়, বেচারী আমিনা বঞ্চিত হয় স্বামীর পূর্ণাঙ্গ প্রেম থেকে। কিন্তু শেষমেশ নছরের প্রেম আমিনাতে এসেই স্থির হয়।

এদিকে রবীন্দ্রনাথের প্রেম ওকাম্পোতে গিয়ে ঠেকেছিল। তবে তার প্রকাশ ঘটেছে কিছুটা কম্পিত হস্তে। নজরুলের প্রেম নার্গিসে গড়িয়েছে, কিন্তু তারও প্রকাশ কিছুটা ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে। সেই প্রকাশ কিছুটা বাঁকা, তেরচা।

আর সেলিম আল দীনের ভাঙা প্রেমের যে প্রকাশ, তা একেবারেই সমান্তরাল। কোনোরকম রাখ-ঢাক নেই তাতে। কেনো প্রকারের কৈফিয়ত কিংবা আত্মরা নয়, একেবারেই প্রাণ-উৎসারিত সরল স্বীকারোক্তি।

সেলিম আল দীনের ‘ভাঙা প্রেম অশেষ বিশেষ’ পাঠে বোঝাই যায় না, এটা আসলে কোন ধারার রচনা। না উপন্যাস, না গল্প, না কাব্য, না নাটক। আত্মজীবনীও বা বলা যায় কীভাবে? কারণ, আত্মজীবনী লেখার জন্য ব্যক্তির সমগ্রিক যে অভিজ্ঞতা বর্ণনার প্রয়োজন হয়, এতে তাও নেই। আছে কেবল একটি বিষয়, তা হচ্ছে প্রেম; তাও আবার ভাঙা। লেখক বোধ ও অভিজ্ঞতার কতটা চূড়ায় পৌঁছালে কেবল একটি বিষয়কেই লেখার উপজীব্য করে তুলতে পারেন, একটি বিষয়কেই কেন্দ্র করে লিখতে পারেন হাজার হাজার শব্দ, বাক্য- এই ভেবে আশ্চর্য হতে হয়!

সেলিম আল দীনের রচনা বরাবর পাঠক-নন্দিত নয়, দর্শক-নন্দিত। তার রচনাকে নাসির উদ্দীন ইউসুফ যখন মঞ্চে আরোহণ করান কথা-ভাষ্যে, তা দর্শকদের নিকট অমৃতসম হয়ে ওঠে। কিন্তু পাঠ করতে গেলে কিছুটা দুর্বোধ্য ঠেকে। তবে এেেত্র ‘ভাঙা প্রেম অশেষ বিশেষ’ কিছুটা ব্যতিক্রম। প্রকরণগত দিক থেকে আত্মজৈবনিক, ভাষাগত দিক থেকে কাব্যিক ও প্রাঞ্জল। এ রচনার একমাত্র বিষয় প্রেম। গ্যেটে, তলস্তয়, ভ্যান গগ, মজনু, লোরকা, শ্রী চৈতন্য, রবীন্দ্রনাথের ভাঙা প্রেমের ভিতর দিয়ে লেখক প্রবেশ করেন ব্যক্তিগত প্রেম-কুঞ্জে। লেখক বলে যান তার বহুবিস্তারী প্রেমের কথা। সেই প্রেম কখনো নারী, কখনো বা সুহৃদ-শুভাকাক্সক্ষী, কখনো বা গুরু-শিষ্য আর কখনো বৃ, পত্রপল্লব, আকাশ, নত্র, প্রাণীকূল, ঈশ্বর, অবতার হয়ে ফের ব্যক্তিতে এসে লীন হয়। এ প্রেম বহুবিস্তারী। এ প্রেম ভাঙতে থাকে। ভাঙনের পথ ধরে বৈচিত্র্যের দিকে গড়ায়। আর বৈচিত্র্যের ভিতর দিয়েই এ প্রেম আবার মিলনের দিকে ধাবিত হয় যেন। যেমন : ‘আমি আধুনিক জগৎ পরিমণ্ডলে বাস করি। আমার ঈশ্বরবাসনা কখনো নারীকে অবজ্ঞা করেনি এবং তাঁদের  মধ্যে কেউ কেউ আমার অন্তরে আজো সৌরঝড় তোলেন। তবে জীবনের শেষের গলুইতে চেপে বসা এই আমি- এখন দেখতে পাই যৌনতা নিতান্ত জৈব আকাক্সক্ষা এবং তা পূরণ হবার পরে শূন্যতার পথেই অপসৃত হয়। বরং নারীর প্রবঞ্চনা- নারীর অস্বীকার- লেখকের পাঁচ আঙ্গুলে পাঁচটি দীপ শলাকা প্রায় একত্রে জ্বালিয়ে দেয়। আমার জীবনেও তাই ঘটেছিল। কিন্তু সে ভালবাসা থেকে প্রেমে গিয়ে অলৌকিক ফুলবাগানে। ...ঘুরে ফিরে অসফলতাটাকেই আমি প্রেমরূপে গণ্য করি। কারণ- ব্যর্থতার চেয়ে সৃষ্টিশীলতার বন্ধুউৎস আর কোনো কিছু নাই। অবশ্য রবীন্দ্রনাথ এক দীর্ঘ ছন্দোভাগে বলেছিলেন যে- তাঁর সকাল সাঁঝের গানের দীপে যারা আলো জ্বালালো- তারা তাঁর প্রাণের মানুষ। এই যে পরিতৃপ্তি- এর পশ্চাতে কি সেই প্রাচীন লুপ্ত দিনের দীর্ঘশ্বাসগুলি ছিল না রবীন্দ্রনাথের। ছিল। ছিল প্রিয় নর নারীদের মুখের সার। জ্বলেছিল আর মিলিয়েছিল নিশ্চিতই। সেই দীপ জ্বালাবার নারীদের পাশে লোকেন পালিত-জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর-সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত-জগদীশ চন্দ্র বসু-অতুল প্রসাদ-সুকুমার রায়ও তো ছিলেন- নাকি। ’

‘ভাঙা প্রেম অশেষ বিশেষ’-এ অসংখ্য অসফল প্রেমের কাহিনী বর্ণিত হয়েছে। এর মধ্যে আছেন নারীরাও। নামের আদ্য, মধ্য বা অন্তার নিয়ে কিংবা কোথাও পূর্ণ নামে সেই নারীদের কথা বলা হয়েছে। তারা লাইলী, আফ্রোদিতি, বিয়াত্রিসে, মানসী, সাকী, নার্গিস, বনলতা সেন হয়ে একজন লেখকের সৃজনশক্তিকে ক্রম-উদ্ভাসিত করেছেন। অথবা তারা প্রখর মশালের আলোকের সংস্পর্শে এসেছেন নিজেদের আলোকিত করার বাসনায়। কথা ছিল তাদের ভাঙবার, কিন্তু ভেঙেছেন মশাল নিজে। কারণ, মশাল যে সংবেদনশীল। সংবেদনশীলতার ভিতর দিয়েই যে তিনি সৃষ্টিশীলতার দিকে যেতে চান!

‘ভাঙা প্রেম অশেষ বিশেষ’-এর প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দিপনের ভাষ্য অনুযায়ী, এ রচনাটি অবিকৃতভাবেই প্রকাশিত হয়েছে। ‘অবিকৃত’ কথাটি বলার উদ্দেশ্য হচ্ছে, এটি বিকৃত হলেও হতে পারত। কারণ, রচনাটিতে ব্যক্তি সেলিম আল দীনের এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভাষ্য রয়ে গেছে, তার প্রয়াণোত্তরকালে কেউ যদি তা মুছেও ফেলত, তাতে অবাক হওয়ার কারণ থাকত না। প্রকাশকের ভাষ্য অনুযায়ী, সেলিম আল দীন আর দুটি রচনাসহ এটিও জাগৃতি প্রকাশনী থেকে প্রকাশের জন্য দিয়েছিলেন। তাতেই রা। আমরা পেয়ে গেলাম একজন শিল্পীর ব্যক্তিগত অনেক কিছু, যা আমাদের চেতনাকে জাগৃত করবে, দৃষ্টি প্রসারিত করবে, জোগাবে শিল্পের অমৃত আস্বাদ।

বাংলাদেশ সময়:  ১৮৩০ ঘন্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।