২০১১ সালে বাংলাদেশ ও ভারত যৌথভাবে উদযাপন করবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মের সার্ধশতবর্ষ। দুই দেশের শীর্ষপর্যায়ের বৈঠকে অনুষ্ঠানসূচি চূড়ান্ত করতে ১৯ ডিসেম্বর ভারতের ৯ সদস্যের প্রতিনিধি দল ঢাকায় আসে।
যৌথ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাংলাদেশে ২৯ এপ্রিল ২০১১ ‘আজকের বিশ্বে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রাসঙ্গিকতা’ শিরোনামে একটি আন্তর্জাতিক আলোচনাচক্র হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিতব্য এ আলোচনা চক্রের জন্য রবীন্দ্রদর্শনের সাতটি বিষয় নির্বাচন করা হয়েছে। বিষয়গুলো হলো : রবীন্দ্রভাবনায় নারী স্বাধীনতা, নারীর অধিকার, সামাজিক বৈষম্য, শিক্ষা, গ্রামীণ কাঠামোর পুনরুজ্জীবন, সমবায় ভাবনা, পরিবেশন ও বন এবং বিশ্বভ্রাতৃত্ব।
আয়োজন করা হবে কবির আঁকা চিত্রকর্ম নিয়ে প্রদর্শনীর। রবীন্দ্রনাথের আঁকা ছবিগুলো ভারত থেকে আনা হবে। এছাড়া রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিবিজড়িত শাহজাদপুর, শিলাইদহ ও কুঠিবাড়িকে রবিতীর্থ অথবা পর্যটনকেন্দ্র করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এসব কেন্দ্রে যোগাযোগ ব্যবস্থা বৃদ্ধি, থাকা-খাওয়ার কাঠামোর উন্নতির কাজও হাতে নেওয়া হচ্ছে।
৭ মে ২০১১ দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে ভারত। চলবে ১০ মে পর্যন্ত। এদিকে ৮ থেকে ১০ মে পর্যন্ত অনুষ্ঠান হবে ঢাকায়। দুই দেশের অনুষ্ঠানের মধ্যে একদিনের এ ব্যবধান রাখার কারণ, দুই দেশের আয়োজনেই দু দেশেরই রাষ্ট্রপতি কিংবা প্রধানমন্ত্রী যেন অতিথি হিসেবে থাকতে পারেন।
বাংলাদেশ সময় ১৭৫০, ডিসেম্বর ২৬, ২০১০