ঢাকা, রবিবার, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ০৮ জুন ২০২৫, ১১ জিলহজ ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

সপ্তজিজ্ঞাসে—

কবি ইমতিয়াজ মাহমুদ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:৪৬, নভেম্বর ১৫, ২০১২
কবি ইমতিয়াজ মাহমুদ

(কবিতাসংশ্লিষ্ট সাতটি নির্ধারিত প্রশ্ন নিয়ে ‘সপ্তজিজ্ঞাস’ নামের এ আয়োজন। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমের পক্ষ থেকে তানিম কবিরের করা প্রশ্নগুলোর জবাব দিয়েছেন কবি ইমতিয়াজ মাহমুদ...)

কবিতা কেন লিখেন— একজন কবি এই প্রশ্নটির উত্তর দিতে বাধ্য কি না? যদি বাধ্য নন— তো কেন? আর হোন যদি— আপনার প্রতিও একই প্রশ্ন; কেন লেখেন কবিতা?

উত্তর দিতে বাধ্য নন।

মানুষ কথা বললে বা চিঠি লিখলে কি তাকে এই প্রশ্নের উত্তর দিতে বাধ্য করা হয় যে আপনি কেন কথা বলেন? কেন চিঠি লেখেন? তাহলে কবিতা লিখলে কেন লেখককে এই প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে, আপনি কেন কবিতা লেখেন? কবিতাও তো শেষপর্যন্ত কথা। হয়তো উৎকৃষ্ট কথা। কবিতাও একধরনের চিঠি। হয়তো অনেক মানুষকে উদ্দেশ্য করে লেখা।

‘সকলেই কবি নয়, কেউ কেউ কবি’— এই ‘কেউ কেউ’ বা ‘কারও কারও’ কবি হয়ে ওঠায় ঐশীপ্রাপ্তির কোনও ঘটনা থাকে কি? নাকি পুরো ব্যাপারটাই রেওয়াজ নির্ভর? আপনার কী মনে হয়?

আমি খুব আস্তিক মানুষ। আমার বিশ্বাসে সব ঘটনাই ঐশী। কবিতা লেখা, জুতা সেলাই করা বা রেওয়াজ করা। কিংবা না করা।

এখনকার কবিদের ছন্দবিমুখতার কারণ কী বলে মনে হয় আপনার? কবিতার জন্য ছন্দের প্রয়োজনীয়তা কতোটুকু? কবিতার স্বতঃস্ফূর্ত বিস্তারে ছন্দ আপনার কাছে সহায়ক নাকি প্রতিবন্ধক?

ছন্দ বিমুখতার অনেকগুলো কারণ থাকতে পারে। এর কারণ হতে পারে ছন্দ না জানা, এর কারন হতে পারে ছন্দ মেনে কিভাবে নতুন কবিতা লেখা যায় তা না জানা। এর কারণ হতে পারে ছন্দ ভালো না লাগা। কিংবা এর কারণ হতে পারে অন্য কোনও কারণ যা আমি বুঝি না। আমার কাছে কবিতার স্বতঃস্ফূর্ত বিস্তারে ছন্দ সহায়কও না। প্রতিবন্ধকও না। কোনওটাই না। কোনও কবিতায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে ছন্দ চলে এলে তাকে ছন্দহীন করার চেষ্টা করি না। না এলে তার উপর ছন্দ চাপিয়ে দেই না।


দশকওয়ারী কবিতা মূল্যায়নের প্রবণতাটিকে কিভাবে দেখেন? আপনার দশকের অন্যান্য কবিদের কবিতা থেকে নিজের কবিতাকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করার উপাদানসমূহ কী বলে মনে হয় আপনার?

দশকওয়ারী কবিতা মূল্যায়নের ভালো দিক হচ্ছে অনেক কবিরই কোনওরকমভাবে হলেও টিকে থাকার সুযোগ হয়। তাতে অবশ্য খুব লাভ হয় না। জীবনানন্দের পাশে যে কবিকে ইদুঁরের মতন দেখা যায় ত্রিদিব দস্তিদারের পাশে তাকে হাতির মতন দেখালেও তাকে শেষপর্যন্ত ইদুঁরের মর্যাদা নিয়েই বেঁচে থাকতে হয়। আপনাকে বাংলা কবিতায় সম্মানের সাথে টিকে থাকতে হলে লালন, ভরতচন্দ্র, মধুসূদন, রবীন্দ্রনাথ, জীবনানন্দসহ সব কবির সাথেই লড়াই করতে হবে।

প্রত্যেক কবিই আলাদা কবিতা লিখেন। যদিও শব্দগুলো দেখতে একরকম। অক্ষরগুলো দেখতে একরকম। ভাবনাগুলোও হয়তো একরকম। তবে কবিতার ভিন্নতা তৈরি হয়ে যায় ভাবনার গভীরতায়। কল্পনার শক্তিতে। অনুভূতির ক্ষমতায়। আর এইসব যে শব্দের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয় সেই শব্দ ব্যবহারের কৌশলে। ছন্দ, প্রতীক, চিত্রকল্প, বক্রোক্তি ইত্যাদি ইত্যাদি সবই এগুলোর মধ্যে পড়ে যায়। এখন একটা দশকের বা শতকের বা সপ্তাহের সব কবি এক পদ্ধতিতে ভাবলেও সবার ভাবনার গভীরতা এক না। কল্পনার সীমাও সবার এক না। শব্দ ব্যবহারের কৌশলও একরকম না। তাই শেষ পর্যন্ত একরকম হয়েও সবাই আলাদারকম। আলাদা উচ্চতার। সমকালীন হয়েও কেউ অতীতের। কেউ বর্তমানের। কেউ ভবিষ্যতের। কেউ চিরকালের। আবার অতীতের কোনও কবিকেও বর্তমানের মনে হয়। মনে হয় অতীতের ঐ কবি ভবিষ্যতেরও। আমার দৃষ্টিতে ঐ চারটা কারণে সবাই আলাদা হয়ে যায়। আপনি আলাদা হয়ে যান। আমিও আলাদা হয়ে যাই।


তিরিশের দশক থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত— প্রত্যেকটি দশক থেকে যদি তিনজনের নাম করতে বলা হয় আপনাকে— কারা আসবেন? উল্লিখিত কালখণ্ডে কোন দশকটিকে আপনার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়?

এই সময়কালে এমন দশক আছে যেখানে তিনজন আনতে কষ্ট হবে। এমন দশক আছে যেখানে সাতজনেও কুলাবে না। যেমন পঞ্চাশের দশক। দুই বাংলা মিলিয়ে এই দশকের সাতজন কবির নাম বললেও হয়তো আরো তিন/চারজন বাদ পড়ে যাবেন। আবার ষাটের দশকে এই বাংলায় মানে বাংলাদেশে একই মানের প্রায় এক ডজন কবি আছেন। এদের একজন আরেকজনের চেয়ে বেশি ভালোও না। আবার বেশি খারাপও না। এখান থেকে তিনজন আলাদা করাও আমার পক্ষে অসম্ভব। অন্য দশকগুলোতেও অন্যরকম জটিলতা আছে। এটার উত্তর দেয়া তাই আমার জন্য অন্তত এই মুহূর্তে সাধ্যাতীত।

এই কালখণ্ডের মধ্যে ত্রিশের দশক এখন পর্যন্ত সবচেয়ে প্রভাবশালী। ভবিষ্যতে তাদের এতটা প্রভাবশালী নাও মনে হতে পারে। অবশ্য আমার বেশিরভাগ প্রিয় কবিই পঞ্চাশের দশকের। আর আমি চাই ত্রিশ বছর পরের কবিরা এই প্রশ্নের উত্তরে একদিন বলুক এই সময়ের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো শূন্য দশক।

দেশভাগোত্তর দুই বাংলার কবিতায় মৌলিক কোনও পার্থক্য রচিত হয়েছে কি? এ-বাংলায় ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বৈরতন্ত্রবিরোধী আন্দোলন। ওপার বাংলায়ও নকশালবাড়ি আন্দোলনসহ উল্লেখযোগ্য কিছু রাজনৈতিক পটপরিবর্তন— এসমস্ত কিছুর আলাদা আলাদা প্রভাব কবিতায় কতোটা পড়েছে বলে মনে করেন?

ভাষায় পার্থক্য তৈরি হয়েছে। পশ্চিম বাংলার কবিরা ভারতের বলা চলে একটা প্রাদেশিক ভাষায় কবিতা লিখে। বাংলাদেশের কবিরা লেখে রাষ্ট্রভাষায়। দুটোই বাংলা হলেও রাষ্ট্র ভাষা আর প্রাদেশিক ভাষার মধ্যে চেতনাগত পার্থক্য আছে। এই চেতনা কবিদের মধ্যে অবচেতনভাবে হলেও অনেক প্রবল হওয়ার কথা। আমি নিশ্চিৎ না তবে হয়তো দুটোর মধ্যে হীনমন্যতা আর অহঙ্কারের একটা ব্যবধান থাকতে পারে। তাদের উচ্চারণ তাদের শব্দ ব্যবহার কখনোই আমাদের মতো নয়। আমাদেরটাও তাদের মতো নয়। এই ফারাক তো সবসময়ই ছিলো। তবে সেটা সাহিত্যে অত ষ্পষ্ট ছিলো না। যেহেতু সাহিত্য হতো কলিকাতা কেন্দ্রিক। আমাদের কবি সাহিত্যিকেরাও তাদের ভাষায় লিখতে অভ্যস্থ হয়েছিলো। দেশবিভাগের পর সাহিত্য ঢাকা কেন্দ্রিক হওয়ার পর থেকে সাহিত্যিকেরা খুব ধীরে ধীরে হলেও অনেকটা এই অঞ্চলের ভাষায় সাহিত্য রচনা শুরু করেন। ফলে ফারাকটা স্পষ্ট হতে থাকে। এখন দুই অঞ্চলের সাহিত্যের ভাষা অনেকটাই আলাদা।

ভাষা আন্দোলন আর মুক্তিযুদ্ধের সাথে নকশাল আন্দোলনের তুলনা হয় না। তারপরও নকশাল আন্দোলনও অনেক বড় ব্যাপার। তা বড় সংগ্রাম কবিতার উপর কী প্রভাব ফেলে কতটা ভালো প্রভাব কতটা খারাপ এ সম্পর্কে আমি অতটা নিশ্চিৎ না। ভারতের পরাধীনতার বিষয়টা মধুসূদন, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, জীবনানন্দ, জসীমউদ্দিন সবাইকে কি একভাবে প্রভাবিত করেছে? করেনি। দেশভাগ নিয়ে পঞ্চাশের গুরুত্বপূর্ণ কবিরা একটাও গুরুত্বপূর্ণ কবিতা লিখতে পারেননি। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ অবশ্য মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কয়েকটা চম‍ৎকার কবিতা লিখেছেন। আবার মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে সত্তর থেকে শূন্য দশক পর্যন্ত কোনও কবিরই আমার ভালো লাগার মতন কোন কবিতা চোখে পড়েনি। তাই বড় সংগ্রামের প্রত্যক্ষ প্রভাব নিয়ে আমি নিশ্চিৎ না। তাছাড়া কবিতা তো একা একাই লিখতে হয়। একজন কবির উপর একটা বিষয় তা বড় হোক ছোট হোক কী প্রভাব ফেলবে সেটা ঐ কবির মনস্তত্বের উপর নির্ভর করে। অনেক স্বাধীনতার মধ্যেও তাই গিনেসবার্গ বিপ্লবী। আবার পরাধীন দেশেও জীবনানন্দ অনেক শান্ত।


কবিতার বিরুদ্ধে জনবিচ্ছিন্নতা ও দুর্বোধ্যতার অভিযোগ বিষয়ে কিছু বলুন। কবির কি পাঠকের রুচির সাথে আপোষ করে কবিতা লেখা উচিৎ? বর্তমানে বাংলা কবিতার পাঠক কারা?

আপোষের ঔচিত্য সম্পর্কে বলা যায় একজন সত্যিকারের কবি কখনোই কারও রুচির সাথে আপোষ করেন না। আপোষ করলে তিনি নিজের রুচির সাথে করতে পারেন, পাঠকের না। তবে একজন কবি আপোষ না করেও পাঠকের ভালোলাগার মতন কবিতা লিখতে পারেন কারণ তিনি কবি। অন্যদিকে একজন অকবি আপোষ করেও পাঠকের ভালো লাগার মতন কিছু লিখতে পারেন না। অনেকগুলো কারণের মধ্যে এই কারণেও তিনি অকবি।

কবিতায় দুর্বোধ্যতার অভিযোগটা অনেকাংশে ঠিক। তবে এমনকি সব মডার্ন কবিতাও অতটা দুর্বোধ্য না। কবিরা  কবিতা লেখার সময় অনেক কৌশল প্রয়োগ করেন। যে কৌশলের কোনও কোনওটি কবিতাকে দুর্বোধ্য করে তোলে। দুর্বোধ্যতা প্রাচীন কবিতায়ও আছে। প্রাচীন কবিতায়ও প্রতীক চিত্রকল্প আছে। প্রতীক অতিক্রম করে যে কবিতাগুলো পুরোপুরি না বুঝলেও কবিতার অন্যান্য গুণের কারণে পাঠক/শ্রোতাদের কাছে ভালো লাগতো। এখন যদি অন্যান্য গুণগুলোও আপনি কবিতা থেকে তুলে দেন। কবিতা থেকে আপনি গল্প প্রত্যাহার করেন, ছন্দ তুলে নেন, শব্দের ধ্বনি থেকে তৈরি হওয়া মাধুর্যের সুযোগ বাতিল করে দেন, এভাবে বাতিল করতে করতে কবিতার সব গুণাবলী বাতিল করে এমন এক বস্তু মানুষকে উপহার দেয়া শুরু করেন যেখানে ভালোলাগার কিছুই নাই। মুগ্ধ হওয়ার কিছুই নাই। বিস্মিত হওয়ার কিছুই নাই। কোন অর্থ নাই। অনুভূতি নাই। মাথামুণ্ড নাই। তখন সেই পঙ্‌ক্তিগুলোকে আর কবিতা বলার সুযোগ থাকে না। সেই পঙ্‌ক্তিগুলোকে বলা যায় প্রলাপ। বড় কবিরাও এধরনের অনেক প্রলাপ রচনা করেছেন। অসাধারণ অনেক কবিতা লেখার পাশাপাশি জীবনানন্দ দাশরা গোধূলি সন্ধির নৃত্যের মতন অসংখ্য প্রলাপও রচনা করেছেন। যে প্রলাপের অনুপ্রেরণা তারা পেয়েছেন এলিয়টদের কাছ থেকে। তা এলিয়ট বা জীবনানন্দ দাশদের অসাধারণ কবিত্ব শক্তির কারণে তাদের প্রলাপগুলোকেও অনেকটা কবিতা মনে হয়েছে। এখন ঐ শক্তি তো সবার নাই। ফলে অনেকে যখন কবিতায় প্রলাপের চর্চা করেন তখন কবিতা আর কবিতা থাকে না। গত প্রায় একশ বছরে এরকম হাজার হাজার প্রলাপকে কবিতা নাম দিয়ে পাঠকের সামনে হাজির করা হয়েছে। পাঠক শ্রোতারা প্রথমে বিভ্রান্ত হয়েছে। ধীরে ধীরে তারা কবিতাকে প্রত্যাখ্যান করা শুরু করেছে। এই প্রলাপ রচয়িতারা আবার দাবি করেন তাদের পাঠকের প্রয়োজন নাই। তারা রচনা করেন শিল্পের প্রয়োজনে। আমি বুঝি না মানুষ না থাকলে শিল্প থাকে কোথায়? মানুষ না থাকলে শিল্পকে কে শিল্প বলে? মানুষের ভালো না লাগলে মানুষ বিস্মিত না হলে ঐ শিল্পের মূল্য কোথায়? আর মানুষের জন্যই যদি না লিখেন তবে তারা লেখাগুলো ছাপিয়ে কেন বই বের করেন পত্রিকার পাতা ভরেন— তাও সাহিত্য পত্রিকা না দৈনিকের পাতা!

এভাবে প্রলাপ দিয়ে বছরের পর বছর দৈনিকের বা ছোট কাগজের পাতা ভরা হয়েছে। মানুষ তা পড়ে ক্লান্ত হয়েছে। বিধ্বস্ত হয়েছে। ফলে এখন আর ওইভাবে পড়েও না। দৈনিকের সাহিত্য পাতাটা তারা কাজে লাগায় সিঙ্গারা খাবার কাজে। প্রলাপকে কবিতা নাম দিয়ে চালানো হলে মানুষ ভদ্রতা করে তাকে প্রলাপ না বললেও দুর্বোধ্য কবিতা বলে প্রত্যাখ্যান করবেই। সাহিত্য পাতার উপর তখন তারা সিঙ্গারা রেখে খাবে। না হলে ঝালমুড়ি খাবে।

তবে লক্ষণীয় হচ্ছে এতো দুর্বেধ্যেতা এতো প্রলাপের পরও মোটা দাগে কবিতার বিরুদ্ধে জনবিচ্ছিন্নতার অভিযোগটি অযৌক্তিক। কবিতা সাহিত্যের অন্য যে কোনও মাধ্যমের চেয়ে এখনো বেশি জনপ্রিয়। হুমায়ূন আহমেদের কোনও বই পাঁচ লাখ পাঠক পড়েনি। শামসুর রাহমানদের অনেক কবিতা আছে যা কয়েক কোটি মানুষ শুনেছে। তা, শামসুর রাহমান তো অনেক গুরুত্বপূর্ণ কবি। শামসুর রাহমানের মতন যারা অত গুরুত্বপূর্ণ নন এমন অনেক কবি, যেমন হেলাল হাফিজ বা রুদ্র তাদেরও কয়েকটি কবিতা কিন্তু লাথ লাথ মানুষ কোনও না কোনওভাবে শুনেছে। তাই কবিতার বিরুদ্ধে জনবিচ্ছিন্নতার অভিযোগ ঠিক না। তবে পাঠক বিচ্ছিন্নতার অভিযোগ করা হলে ঠিক আছে। কবিতার পাঠক কোনও কালেই উল্লেখযোগ্যরকম ছিলো না। মহাভারত বা মৈমনসিংহ গীতিকাও কেউ কিনে পড়তো না। মানুষের মুখে মুখে ছড়াতো। অনেকেই এটা ভুলে যান যে কবিতা যতটা না পড়ার মাধ্যম তার চেয়ে বেশি শোনার মাধ্যম।

বাংলা কবিতার পাঠক কারা এর উত্তরে বলা যায় সকলেই পাঠক নয় কেউ কেউ পাঠক।

। ।
ইমতিয়াজ মাহমুদ
জন্ম : ২৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৮০
জন্মস্থান : ঝালকাঠি
পেশা : সরকারি কর্মকর্তা (প্রশাসন)
প্রকাশিত বই : অন্ধকারের রোদ্দুরে (২০০০), মৃত্যুর জন্মদাতা (২০০২), সার্কাসের সঙ (২০০৮), মানুষ দেখতে কেমন (২০১০)
। ।

বাংলাদেশ সময় : ১৫৩০ ঘণ্টা, ১৫ নভেম্বর, ২০১২

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।