১
মাঝরাতে জনতা কবিতা লেখে না
ধ্বজভঙ্গ কবিরাই
কলমের আচড়ে নারীর কাপড় খোলে
অনুভব করে সাদা পায়রা জোড়ার গভীর উষ্ণতা।
শুন্য চোখ পায় স্বর্গের পূর্ণতা
কাব্যের আড়ালে বিমূর্তে লাইনে
অশ্লীল কল্পনায় ছেয়ে যায়
স্পষ্ট হয় গভীর আলপনা।
হয়তো খুব গভীর খাঁদে
হারিয়ে যাওয়া শিশ্নের খোঁজে
উতলা সতীত্ব চিৎকার দিয়ে বলে
উফ! উফ!
হ্যা! না! হ্যা! না! হ্যা!
হ্যা! নিষেধের সব বেড়াজাল
টপকে যাবে; হারিয়ে যাবে, হারিয়ে যাবে
ফেরারী আসামীর মত বীর্যের লম্ফজম্ফ
উতল হাওয়ায় ভাসিয়ে দেবে!
তারপর বলবে,
ওম, শান্তি শান্তি!
২
পশ্চিম হতে কেনা ধর্মের লেবাস গায়ে দিয়ে
মধ্যরাতে নিজ কৃতিত্ব জাহির করতে
তুমি গেলে এক ষোড়শীর কাছে।
ধর্মের, অস্ত্রের, পেশীর ভয় দেখিয়ে তুমি
অনুভব করলে নগ্ন মদির উষ্ণতা।
গুপ্তাঙ্গে থার্মোমিটার ফাটিয়ে
ঢেলে দিলে বেজন্মা পারদ।
আজ, এতগুলো বছর পর
লাল নিশান উঁচিয়ে
শ্লোগানে শ্লোগানে
বনেদি রাজপথে
শত-সহস্র পারদ
তোমাকে উলঙ্গ করে দিয়েছে।
সহস্র নারী তর্জনী উঁচিয়ে বসে আছে
তোমাকে ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করবে বলে!
৩
কালো কাপড়ে ঢেকে রাখা উষ্ণ শরীরে
দ্রোহের আগুন জ্বলে ওঠে বারবার
গভীরে থাকা গভীর আবেদন
নীরব নয়, স্বাধীনতাবাদী স্পষ্ট অঙ্গীকার।
পাগল প্রেম, তুচ্ছ মোহ
ফেলে দেয়া কবিতা অথবা খটখটে গদ্য
এলানো স্বপ্নে ভরা যৌবনা
অসৎ কল্পনায় নিষ্ঠুর সত্য।
বাঁধা মৌনতায় দুরন্ত কবিতা
পাসপোর্টহীন ক্ষুধার পরম আলিঙ্গন
তিক্ততা নয়, শুধুই মধ্যরাতের গল্প
স্পর্ধা ছুঁয়েছে নিষিদ্ধ আকর্ষণ।
৪
কেন জানি স্বপ্নগুলো আজ মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে
শেষ নিশ্বাসের প্রহর গুনছে
তবু নীরব চোখের তারা যেন চিৎকার দিয়ে বলছে
না, না, এ হয় না, হতে পারে না।
স্তব্ধ নগরের কোণে হয়তো কেউ এখনো দাঁড়িয়ে আছে
তোমার আলিঙ্গনের প্রহর গুনছে
শূন্য রাজনৈতিক অভিধানে জটিল শব্দ খুঁজছে
আর বলছে, এসো মিলি— সঙ্গোপনে।
হাতে হাত পায়ে পা মিলিয়ে
এলানো দেহে অদৃশ্য শয়তান ভর করেছে
প্রাচীন ইশ্বরের মন্ত্র পাঠে
গল্পগুলো আবার মিলে যাচ্ছে!
৫
ভুলেও ভেবোনা
তোমার বীর্যের অমৃত স্বাদ
আমি নিমেষেই ভুলে যাব।
ভেবো না নীরবেই আমি মিলিয়ে যাবো।
আমি আবার ফিরে আসবো,
হে পুরুষ!
তোমাকে ধর্ষণ করতে
কলা-মিষ্টি আর
মিষ্টি নিঃসৃত রস গ্রহণ করতে
নারীত্বের বিমূর্ত লাইন চেনাতে
পাপের স্বাদ বোঝাতে।
আবার...
আরো একবার...!
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৮ ঘণ্টা, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১২