ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

শিল্প-সাহিত্য

বাংলা সাহিত্য ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করেছেন আশরাফ সিদ্দিকী

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৩ ঘণ্টা, মে ৫, ২০১২

ঢাবি : ড. আশরাফ সিদ্দিকী একাধারে প্রবন্ধকার, লোক সাহিত্য গবেষক, ছোটগল্প লেখক এবং শিশু সাহিত্যিক। তবে এর মধ্যে বাংলার লোক ঐতিহ্য ও লোক সাহিত্য নিয়ে তার গবেষণা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।



শনিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে ড. আশরাফ সিদ্দিকীর সৃষ্টিকর্ম সংরক্ষণে ওয়েবসাইট ও তার উনিশটি কবিতাসম্বলিত জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়ের আবৃত্তির সিডির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেন। এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ‘আশরাফ সিদ্দিকী ফাউন্ডেশন’।

অনুষ্ঠানে ‘জীবন-সংস্কৃতির জলছবি’ শিরোনামে ড.আশরাফ সিদ্দিকীর জীবন ও কর্মের উপর একটি ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

অনুষ্ঠানে পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী বলেন, আশরাফ সিদ্দিকী বাংলার নানা রূপের মতই বৈচিত্রময়ী। তার রয়েছে নানামুখী প্রতিভা। কিছু বিষয়ে তার সঙ্গে আমার মতের অমিল থাকলেও  জীবনে তার কাছ থেকে অনেক কিছুই শিখেছি।

অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আশরাফ সিদ্দিকী আমাদের সাহিত্য ভাণ্ডারকে নানা ভাবে সমৃদ্ধ করেছেন। তার কালজয়ী কবিতা ‘তালেব মাস্টার’ ও ছোটগল্প ‘গলির ধারের ছেলেটি’ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশিদ বলেন, বাল্যকালে আমি তাকে দেখেছি কবি হিসেবে। তার সঙ্গে আমি নানা জায়গায় ঘুরেছি। তারসঙ্গে এই অন্তরঙ্গতা আমাকে শিল্প-সাহিত্যের দিকে আসতে সাহায্য করেছে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন--  কবি বেলাল চৌধুরী, কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ওয়াকিল আহমেদ, সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম প্রমুখ।

আশরাফ সিদ্দিকী জন্মগ্রহণ করেন টাঙ্গাইল জেলায় ১৯২৭ সালের ১ মার্চ । তিনি ১৯৫০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় এমএ এবং ফোকলোর বিষয়ে পিএইচডি করেছেন আমেরিকার ইন্ডিয়ান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।

কর্মজীবনে তিনি  বিভিন্ন কলেজে অধ্যাপনা করেন। তিনি ছিলেন কেন্দ্রীয় বাংলা উন্নয়ন বোর্ডের পরিচালক, বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক, বাসসের চেয়ারম্যান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ ও প্রেস ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান ।

প্রকাশিত  গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে- তালেব মাস্টার ও অন্যান্য কবিতা (১৯৫০), বিষকন্যা (১৯৫৫), দাঁড়াও পথিক বর (১৯৯০), রাবেয়া আপা (১৩৬২), রবীন্দ্রনাথের শান্তি নিকেতন (১৯৭৪), লোক সাহিত্য (১৯৬৩), বাংলার মুখ (১৯৯৯), প্যারিস সুন্দরী (১৯৭৫), বাংলাদেশের রূপকথা (১৯৯১), আরশী নগর, শেষ কথা কে বলবে (১৯৮৮), গুণীন (১৯৮৯) উল্লেখযোগ্য ।

একুশে পদক, শিশু সাহিত্যে বাংলা একাডেমী পুরস্কার (১৯৬৪), ইউনেস্কো পুরস্কারসহ তিনি আরো অনেক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন ।

বাংলাদেশ সময়  : ১৮৪৫ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০১২

এমএইচ, সম্পাদনা : সুকুমার সরকার, কো-অর্ডিনেশন এডিটর
[email protected]

ফেরদৌস মাহমুদ, শিল্প-সাহিত্য সম্পাদক

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।