ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

শিল্প-সাহিত্য

রেডিও-বিতান

মাসুদুল হক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০১২
রেডিও-বিতান

http://www.banglanews24.com/images/PhotoGallery/2012April/galpo 120120415191533.jpgমনির সাহেবের পৈত্রিক রেডিও-ঘড়ির দোকানটির চেহারা দেখলেই বোঝা যায় তার আর শোভা নেই, উজ্জ্বলতাও নয়। ঠিক কতদিন এটির বয়স, আমি তা বলতে পারব না; শুনেছি চল্লিশ বছর তো হয়েই গিয়েছে।

মানুষের শরীরের ধর্ম নিয়ে রেডিও-ঘড়ির দোকানের বিচার হয় না, চল্লিশ পঞ্চাশটা বছর একটা দোকানের পক্ষে খুব বেশি কিছু নয়, কিন্তু সূচনা থেকে শেষ পর্যন্ত বিচার করলে-- যে মানুষটি এটা নির্মাণ করেছিল, যে আর্থ-সামাজিক পরিবেশে এর জন্ম হয়েছিল, সে মানুষটির মৃত্যু; সময়ের বদলের কারণে এবং যাদের হাতে এখন এসে পড়েছে সেই প্রেক্ষাপটে দোকানটার চেহারাই পাল্টে গেছে। মনির সাহেবের বাবা গত হলে, মা ছিলেন, মা গত হতেই— দু’ভাই ব্যবসা-বাণিজ্য; টাকা-কড়ি; জমি-জমা ভাগ করে নেয়। দোকানটি শেষপর্যন্ত মনির সাহেবের ভাগে এসে পড়েছে। তার নিজের একটা কর্মজীবন আছে, ৯টা-৫টা তা নিয়ে সে ব্যস্ত, সাংসারিক জীবনটা তার দড়ির মতন পাকিয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে, ছেলে-মেয়েরা বড় হচ্ছে, তাদের লেখাপড়া সুখ-সুবিধে নিয়েও তিনি চিন্তিত। বড় মেয়েটি বিবাহযোগ্যা, সেটাও একটা সৎপাত্রে পাত্রস্থ করার তাগিদ অনুভব করেন। সাংসারিক-পারিবারিক-কর্মজীবনের নানাদিক মিলিয়ে ব্যস্ততার কারণে মাঝে মাঝে সন্ধ্যার পরও তিনি রেডিও-বিতানে আসার সময় পান না। তবু গোড়ার দিকে পৈতৃক দোকানটিকে যত্ন নিয়েই দেখাশুনার ব্যবস্থা করেছিলেন। অফিসে ছুটি নিয়ে রেডিও-ঘড়ি কেনার জন্য পুরান ঢাকার পাটুয়াটুলি পর্যন্ত গেছেন। কিন্তু একবার চাকরিতে ট্রান্সফার হবার পর সব দায়িত্ব এসে পড়ল মহামতি পাপানের উপর। সম্পর্কে স্ত্রীর ছোট ভাই। যে-কারণে সুতো ছিড়ে গেলেও, মায়া থাকল যদিও পাপানই রেডিও-বিতানের যাবতীয় ভালো-মন্দ বুঝতে শিখে যায়। দোকানের পুরাতন বয়োজ্যেষ্ঠ কর্মচারী হরিহরকে বিদায় করে দিয়ে, তার পরিবর্তে চলে আসে পাপানের বন্ধু তবলচি খালেক।

খালেক আর পাপান দু’জনেই গণসংগীত চর্চা করেন, মাঝেমাঝে স্টেজেও গান গাইতে যান। দোকানের দেখাশুনায় যত্নে তখন থেকেই আলগা পড়তে লাগল। আবার চাকরির কারণে রেডিও-বিতানের ওপর ক্ষীণ মায়া থাকলেও নজর-দেওয়া বন্ধ হল। অগত্যা যা হওয়া উচিত, ‘রেডিও-বিতান’ শোভাহীন হল, ‘রেডিও-বিতান’— শেষ পর্যন্ত দৈন্যদশার মধ্যেও গায়ক-কবি-সাহিত্যিক-বুদ্ধিজীবীদের আড্ডায় পরিণত হল। সামনের দিকে বেশ লম্বা করে শোকেস টানা দোকানটির ভেতরে ছোট্ট একটা টেবিল আর তিনদিকে চেয়ার, টেবিল সাজিয়ে আমরা আড্ডা দেই। প্রথম প্রথম মহামতি পাপানই আমাদের চা-সিগারেটের রসদ যোগাতো। কিন্তু, বর্তমানে ব্যবসা একদম নেই বলেই, চক্ষুলজ্জার কারণে চাঁদার মতো করে সে ব্যবস্থাটুকু আমরাই করে থাকি।

‘রেডিও-বিতানে’র অতীত নিয়ে মাথা ঘামিয়ে লাভ নেই, বর্তমানে যা আছে তার কথাটুকু বলা দরকার। লম্বা শোকেসের প্রায় পরিত্যক্ত অবস্থার মধ্যে চিৎ-কাত হয়ে শুয়ে-ঘুমিয়ে আছে খুব বেশি হলে ৬০-৭০টা ঘড়ি। তার অনেকগুলো প্রত্নকালের বলে কোনো কোনোটিতে জং ধরে গেছে। সে জংধরা ঘড়ির মধ্যে রয়েছে একটা ভাঙ্গা সিকো-৫, সিটিজেন, কেমি, অ্যাংলো সুইস, ফেরার নিউবা আর যে-গুলো ভালো সেগুলোর মধ্যে অল্প কিছু জাপানি ইলেকট্রনিক ঘড়ি সিমেন, লুবর, সিটিজেন, সুইজন্টার, ওয়েল্টার, ক্যাসিও কিছু ভারতীয় আর বাংলাদেশে এসেম্বেল করা সস্তা দামের ঘড়ি। সেই শোকেসে এবং দেয়ালের শোকেসেও রয়েছে কিছু টেবিল ঘড়ি, দেয়াল ঘড়ি। শোকেসের বাইরে দেয়ালে টিকটিক করে সারাক্ষণ চলতে থাকে একটা চাবি দেওয়া ফাইভ র‌্যাম ঘড়ি, ঘণ্টায় ঘণ্টায় সে তার নিজের তাগিদেই ঢং ঢং করে ঘন্টাধ্বনি তোলে। সবকিছুর মধ্যে এই ঘন্টাধ্বনিকে আমার বেশ মজা লাগে। সে ঘন্টাধ্বনিতেই আমার বিবেকের তাড়না তৈরি হয়ে রাত ১০টার পর থেকে মনটা বাড়ির জন্য উঠি উঠি করতে থাকে। যে-কথাটা বলা প্রয়োজন দোকানটার নাম কিন্তু ‘রেডিও-বিতান’। হ্যাঁ, হাতেগোনা-- গোটা বিশেক-- ছোট-বড় রেডিও রয়েছে। সেগুলোর কোম্পানিগুলো হচ্ছে : মারফি, ফিলিপস্, ন্যাশনাল, পাই (ঢ়ুব), জুয়েল ফ্লাওয়ার, ক্যাসিবো, সনি, সানি, সানিও প্রভৃতি।

দোকানটার বাইরে তার মাথার উপরে টাঙ্গানো সাইন-বোর্ডটার লেখাটা কোনোমতে পড়া যায় কিন্তু রং-চং প্রায় মুছে গিয়েছে। ভেতরের চেহারাটাও খুব একটা ভালো নয়। দেয়ালের কোথাও প্লাস্টার উঠে গিয়েছে, মাথার উপরের সিলিং-এর আস্তরণ দু-চার খাবলা খসে পড়েছে। ছাদের চারকোণায় পানিতে ডোবা বাসী পাউরুটির রং ধরেছে, তবুও আমাদের কাছে ‘রেডিও-বিতান’ প্রত্যেকদিন সন্ধ্যায় মিলিত হবার আড্ডাস্থল। দোকানির কী সুবিধা-অসুবিধা সেটা বুঝি না; কিন্তু আমাদের আড্ডায় কোনো অসুবিধা হয় না।

দোকানে যে কাস্টমার একদম আসে না তা নয়। সন্ধ্যার পর থেকে রাত পর্যন্ত মোটামুটিভাবে ১৫-২০জনকে তো দাম-দস্তুর করতে দেখি কিংবা শুনি। এসব সব সামলায় পাপান। সে-সময় কিছু বিক্রি হলে পাপান ওর চেয়ারের মাথার উপর রাখা চে গুয়েভারা’র ছবিটার দিকে খানিকক্ষণ তাকিয়ে থাকে। সে বিষয়টা এমন অভ্যাসে পরিণত করেছে যে, আজকাল তা আর আমরা খেয়ালই করি না।

তা দোকানের অবস্থা যেমনই হোক আমরা আসার পর ‘রেডিও-বিতান’ গমগমিয়ে উঠল। না, গমগমিয়ে উঠল বলা যাবে না, বলা ভালো এলাকায় সাড়া পড়ে গেল। সবাই এখন বলে, ‘রেডিও-বিতান’ এখন ‘বুদ্ধি-বিতান’। শহরের সব আঁতেল ঐ দোকানে গিয়ে জমেছে। এতো জ্ঞানী-গুণীর সমাগমে পাপান প্রায়ই আহ্লাদে আটখানা হয়ে ওঠে। যেদিন বনি-বাট্টা হবে না সেদিন বেশি বেশি করে বলছে— ‘বিক্রি নেই তো কি হয়েছে, আমাদের বুদ্ধির চর্চা তো হচ্ছে। ’ মাঝে মাঝে অবশ্য আমাদেরকে আড্ডায় রেখেই পাপান আর তবলচি গণসংগীতে চলে যায়। একবার তো আমাকে ২দিন দোকান চালাবার দায়িত্ব দিয়ে ৭দিন উধাও হয়ে গিয়েছিল। আড্ডার লোভে লোভে শুধু সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত আমি দোকান চালিয়েছি। এ-কথা বলে রাখা ভালো ১টা মাত্র রেডিও বিক্রি করেছিলাম; সেও তিন অন্ধ ভিখারির কাছে। তাই নিয়ে ঝামেলার শুরু।

ওরা তিনজন অন্ধ। কারো নাম জানি না। শহরের কোথাও কোথাও দেখেছি ভিক্ষা করতে। একজনের মুখে বেশ ঘন বসন্তের দাগ। অন্য দু’জনের একজন কুঁজো, চেতিয়ে চেতিয়ে হাঁটে আর আরেকজন শ্বেতিরোগী, মুখে দাড়ি আছে। তিনজনেই সমবয়সী। ওরা তিনজন এসে দাঁড়ায়। আমি তখন পাপানের চেয়ারে। উঠে দাঁড়াই। বাবলুদা, ময়েন, লজেন্স, স্বপন ছাড়া সেদিন অন্য কেউ নেই।

আপনারা কি চাইছেন?— আমি একটু শ্লেষ করেই বললাম।
ওরা একটু কাঁচুমাচু হয়ে ওঠে। শ্বেতীকানা বলল— একটা রেডিও লইতাম।
লজেন্স ভাবের উচ্ছ্বাসে হো হো করে হেসে ওঠে। স্বপন কেতাদুরস্ত মানুষ, আতিশয্য প্রকাশ করে না, একটু ভাব নিয়েই বলে, ‘টাকা দিয়ে কিনবে তো?’ ওরা প্রায় সমস্বরে বলে উঠে: ক্যান?
আমরা এবার আরো কৌতূহলী হয়ে উঠি। কাম সেরেছে, পাপান দোকানে নেই, শেষ পর্যন্ত রেডিও ভিক্ষা দিতে হয় কিনা! আমি নিজেকে ধরে রাখতে পারি না: তাহলে কি বিনা পয়সায় দিতে হবে?
মুখে বসন্তওয়ালা কানা বলল— বুঝছি, ভয় পাইতাছেন!
— তা তো পাবার কথাই, এটা তো আর আমাদের দোকান না।
— না, আমি সেই ভয়ের কথা কইতাছি না।
— তাহলে?
— এই যে আমরা একলগে ‘ক্যান’ কইছি বইলা?
— হ্যাঁ
— ঐটা আমাগো অভ্যাস। কোনো বিপদে পড়লে আমরা তিনজনে ‘ক্যান’ কই।
— তা এখানে আবার কি বিপদ হইল?
— আমরা তো ভিক্ষা করি রেডিও কিনতে আইছি এইটাই তো বড় বিপদ।
এবার বাবুলদা মুখ খোলেন— তোমরা রেডিও দিয়ে কি করবে?
কুনো কানা বলে— এই একটু হরতালের খোঁজ-খবর নিমু আর একটু গান বাজনা শুনুম।
আমরা সবাই সবার মুখের দিকে তাকাই।
ময়েন এবার উঠে এসে, একটা ২ ব্যান্ডের রেডিও ওদের হাতে তুলে দেয়।
— এটা খুব ভালো রেডিও কিন্তু দাম অল্প, মাত্র তিনশত টাকা।
ওরা তাতেই রাজী হয়ে যায়। শ্বেতী কানা বলে— এইটা ‘রেডিও-বিতান’ না।
ময়েন বলে— হ্যাঁ
—ঠিক আছে দিয়া দেন।
আমার এবার সন্দেহ আর কৌতূহল জাগে, তাই প্রশ্ন করি— দোকানের নাম জানতে চাইলে কেন?
— এইটা অনেক পুরানা দোকান। এইখানে জিনিস সস্তা, কেউ ঠকে না।
— তোমরা কি করে জানলে?
— সারা শহর আমরা ঘুরতাছি,  চল্লিশ বচ্ছর ধইরা। এই খবর জানুম না!
এবার কুঁজো কানা বলে— আচ্ছা হরিহর দা আছেন?
— আমি বলি, তিনি আর এখানে কাজ করেন না।
— খুব ভালা আছিলো। খুব পুরানা মানুষ। আগে আমাগো ভিক্ষা দিত।
ওরা তিনশত টাকা দিয়ে কেনার রশিদ চেয়ে নিয়ে রেডিও নিয়ে চলে গেল।
তিন কানা-ভিখারির কাছে রেডিও বিক্রি করে আমরা মহা আনন্দিত। পরদিনই পাপান এলো। সব শুনে ও দারুণ খুশি। পরে অবশ্য ওর খুশি হবার আরেকটা কারণ জানতে পারি। আহ্লাদে আমাকে জড়িয়ে ধরে বলে— যেটা বিক্রি করেছিস, তাতে একটু সমস্যা ছিল। ভালোই হলো। সম্ভবত ওরা আর আসবে না।  
ওরা কথা শেষ না হতেই ঐ তিনজন এসে দাঁড়ায়।
শ্বেতী কানা বলে— আমরা কানা বলাই ঠকাইছেন?
পাপান একটু তোতলাতে তোতলাতে মুখ খোলে, কি হয়েছে?
— খালি ঘর্ঘর করে, কোনো কতা বোঝা যায় না।
— আরে তোমরা তো স্টেশনের নব ঘুরাতে পারো না। Sw1, Mw, Fm এগুলো বোঝ? আর আওয়াজ হলে অ্যান্টেনা তুলতে হবে— তা জানো?
— এতো কিছু বুঝি না। কিন্তু তাই বইলা কিছুই বোঝা যাইব না?
— তোমরা তো এটা ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে নষ্ট করে ফেলেছো। এখন ১০০ টাকা লাগবে, তা হলে ঠিক হবে।  

তাতেও ওরা রাজী হয়ে যায়। পাপান রেডিওটা ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে একটু নেড়ে-চেড়ে ব্যান্ড ঠিক করে, অ্যান্টেনা তুলে পরিষ্কার গান শোনাল। ওরা খুশি হয়ে চলে যায়। আমরা পাপানের জালিয়াতিতে বিস্ময় প্রকাশ করলাম। কেউ কেউ হেসে উড়িয়ে দিলাম। কেউ কেউ বিবেকের প্রশ্নে পাপানকে অনুতপ্ত করতে চাইলাম। কিন্তু পাপান কেমন যেন নির্লিপ্তভাবে হেসে ব্যাপারটা হজম করে নিল।

পরদিন থেকে সুযোগ পেয়ে কানা ভিখারিদের ঠকানো হয়েছে, এই বিষয়টি তুলে পাপানকে আমরা ক্ষ্যাপাবার চেষ্টা করতাম। পাপান তাতে, হে হে হেসে সব উড়িয়ে দিতে থাকে। কয়েকদিনের মধ্যেই পুলিশের দারোগা আমাদের সন্ধ্যার আড্ডায় এসে দাঁড়ায়।
— এটা কি রেডিও-বিতান?
এবার, পাপান কাঁচুমাচু হয়ে বলে, জ্বি বলুন?
সে রেডিও কেনার রশিদটা তুলে ধরে। আমরা দূরে গাড়িতে তিন কানা ভিখারিকে দেখতে পাই। সে এবার পাপানের চোখের দিকে তাকিয়ে বলে,
— একটা খারাপ রেডিও দিয়ে চারশ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন?
— দেখুন, ওরা কানা ফকির রেডিও চালাতে জানে না। কোথায় কি ঘুরিয়ে নষ্ট করে ফেলেছিল, তা আমি আবার সারিয়ে দিয়েছি। আর তার জন্য ১০০ টাকা নিয়েছি ঠিক করার জন্য। এতে আমাদের কি অন্যায়?
— চারশ টাকায় একটা জিনিস বিক্রি করলেন, সেও অন্ধ-কানা ফকিরের কাছে একটা ভালো মাল দেবেন না!
— দেখুন, রেডিও তো ভালই দিয়েছিলাম। আচ্ছা আপনি যখন এসেছেন, তা হলে বদলে দিচ্ছি। পাপান একটা ভেলট্রন রেডিও বের করে দারোগার হাতে দিল। পরক্ষণেই কি যেন মনে হল, — না তার চেয়ে বরং আপনি টাকাটাই নিয়ে যান। অন্য কোথাও থেকে ভালো দেখে কিনে দিন।  
দারোগা এক নিমিষে কি যেন ভাবলেন, তারপর রাজি হয়ে গেলেন।
দারোগা চলে যাবার পর আমরা পাপানকে ঘিরে ধরলাম। ভেলট্রনটা দিয়ে আবার ফেরত নিলি কেন?
— আরে বাপ। মস্তু বড় বিপদে পড়ে যেতাম। ডেনিস তো চোরাই পথে আসা ইন্ডিয়ান রেডিও। ভাগ্য ভালো দারোগা জিজ্ঞেস করেনি— এটা কোন দেশের। তাহলেই বিপদে পড়েছিলাম।

আমাদের বিস্ময় আরো বেড়ে যায়। কয়েকদিনের মধ্যে আমাদের আড্ডা ভেঙ্গে যেতে থাকে। হঠাৎ করেই একদিন পাপান উধাও হয়ে যায়। ‘রেডিও-বিতান’ দিনের পর দিন বন্ধই থাকে। দোকানটা বেচে দেবেন বলে মনির সাহেব নিজেও আর কোনোদিন সেটা খুলে বসেননি।

বাংলাদেশ সময় ১৮৩৪, এপ্রিল ১৫, ২০১২

সম্পাদনা : ফেরদৌস মাহমুদ, শিল্প-সাহিত্য ডেস্ক;
জুয়েল মাজহার, কনসালট্যান্ট এডিটর।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।