ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

শিল্প-সাহিত্য

আরব চিত্রকলার বিভিন্ন দিক

শিল্প-সাহিত্য ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০১২
আরব চিত্রকলার বিভিন্ন দিক

চিত্রকলার ইতিহাস হলো দৃষ্টিগত উপলব্ধির ইতিহাস। বিবিধ উপায়ে মানুষ বিশ্বকে কিভাবে উপলব্ধি করে তারই ব্যাখ্যা।

সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে আরব চিত্রকলা নিয়ে বই ‘বিস্ময়কর আরব চিত্রকলা’।

 বইটির লেখক সৈয়দ লুৎফুল হক আরব চিত্রকলার বিভিন্ন দিক তুলে ধরতে গিয়ে আলোচনা করেছেন ইসলামের আবির্ভাবের আগের ও পরের চিত্রকলা নিয়ে।

বইটি পাঠে ইসলামী চিত্রকলায় প্রাণী এবং মানুষের ছবি আঁকা সম্পর্কে একটি পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যায়। এখানে ব্যাখ্যা করা হয় কেন ইসলামী চিত্রকলায় লতা-পাতার ডিজাইন, কেলিওগ্রাফী এবং জ্যামিতিক নক্সার প্রাধান্য লক্ষ্য করা যায়।

সৈয়দ লুৎফুল হক সমস্ত বইটিকে মোট ৮টি অধ্যায়ে ভাগ করেছেন। অধ্যায়গুলি হলো--- এশিয়ার বিস্ময় : আরব চিত্রকলা, প্রাচীন আব্বাসীয় সময়ের চিত্রকলা, রাজকীয় পারস্য চিত্রকলা, আরব মুসলমানদের অবদান, আরব চিত্রকলায় মোঘল বিজয়ের প্রভাব, শিল্প-কর্মের অংকনরীতি এবং অংকনের স্থান, কুরআন অলংকরণের গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় এবং আরব চিত্রকলার সর্বশেষ উদ্যোগ।

বইটি পাঠ করলে জানা যায়, ইসলামী চিত্রকলার বিকাশে ইরাক, ইরান, সিরিয়া, মিসর, স্পেন ও মরোক্কের কেমন ভূমিকা রয়েছে। এছাড়া স্পষ্টই টের পাওয়া যায় আরব চিত্রকলায় দুটি ধারা রয়েছে--- একটি ইসলাম-পূর্ব প্রাণী ও মানুষের চিত্রসম্বলিত চিত্রকলা। অন্যটি মানুষ ও জীব-জন্তুবিহীন চিত্রকলা। যেখানে ফুল, লতা-পাতা বা জ্যামিতিক পদ্ধতির চিত্রকলা স্থান পায়।

সৈয়দ লুৎফুল হকের ‘বিস্ময়কর আরব চিত্রকলা’ বইটি প্রকাশ করেছে ‘সূচীপত্র’ প্রকাশনী, প্রচ্ছদ করেছেন সৈয়দ আরিফুল হক। মূল্য ৩৯৫ টাকা।

বাংলাদেশ সময় : ১৮৩০, এপ্রিল ৩, ২০১২
সম্পাদনা : ফেরদৌস মাহমুদ, শিল্প-সাহিত্য সম্পাদক

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।