এখন আমার বন্ধ্যা সময়
কাগজ কলম শিকেয় তুলে ইচ্ছে করে
লম্বা ঘুমে কাটিয়ে দিতে কয়েক বছর
ইচ্ছে করে হাত পা বেঁধে নদীর স্রোতে সাঁতার দিতে
তলিয়ে যেতে
নিমজ্জমান জাহাজ যেমন ডুবতে থাকে
ক্রমাগত
স্কুল পালানো ছেলের মতো
আস্তে আস্তে ডুবে যেতে
এখন আমার মন চেয়েছে।
ইচ্ছে করে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিতে
নষ্ট নগর
ভ্রষ্ট কিছু সমাজপতির শবের মিছিল
সামনে রেখে
অট্টহাসি হাসতে থাকি
হূদয়-রাখী
ছিন্ন করে আমি এখন ক্লীবের মতো
দিচ্ছি কেবল হামাগুড়ি।
এখন আমার বন্ধ্যা সময়
অনুর্বরা নারীর মতো
বুকের ক্ষত
বাড়তে থাকে ঝড়ের বেগে
নপুংসকের প্রেতাত্মারা ভর করেছে আমার কাঁধে
এখন শুধু মরুভূমি ধূধূ বালি
ইচ্ছে করে দাবানলে ভস্ম করি স্থবির শহর।
বীজের ভেতর চুপসে গেছে মাঠের ফসল
হাল চলে না এখন আমার ধানের ক্ষেতে
লাঙ্গল জোয়াল জমা রেখে
ইচ্ছে করে গভীর ঘুমে তলিয়ে যেতে
দিনে রাতে
না হয় আমি বিস্ফোরণে পুড়িয়ে দেবো
উর্বরা সব পুরুষ নারী
স্মৃতির গাড়ি
প্রেমের শাড়ি
কিংবা আমার ইচ্ছে করে
ভবঘুরে জীবন নিতে।
এখন আমার বন্ধ্যা সময়
বুকের ভেতর দারুন খরা
জীর্ণ-জরা
এই পৃথিবী কাঁপতে থাকে ভীষণ ত্রাসে
ইচ্ছে করে হিসেব নিকেশ বন্ধ রেখে
কয়েক বছর কাটিয়ে দিতে সটান ঘুমে
অনিদ্রাতে মশাল জ্বেলে ডাকে যদি আত্মহনন
নপুংসকের সময় আমার
ঘুমের ভেতর এড়িয়ে চলি জটিল কিছু সমীকরণ।