সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার সলঙ্গায় ইটভাটা থেকে নির্গত বিষাক্ত কালো ধোঁয়ায় কৃষকের প্রায় ১৫-২০ বিঘা জমির কাঁচা ধান পুড়ে নষ্ট হয়ে গেছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কৃষকরা রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), কৃষি অফিসসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২০ মে) কৃষকরা অভিযোগ করে জানান, গত বুধবার (১৪ মে) রায়গঞ্জ উপজেলার সলঙ্গা থানার ধুবিল ইউনিয়নের আমশাড়া গ্রামে ‘রাকিব সুপার ব্রিকস’র চিমনি খুলে দেওয়া হয়। ওই চিমনি থেকে নির্গত কালো ধোঁয়ায় আমশাড়া উত্তরপাড়া, শ্যামেরঘোন ও তাড়াশ উপজেলার খোর্দ মাধাইনগর গ্রামের ১৫-২০ বিঘা জমির কাঁচা ধান পুড়ে যায়। এছাড়া এক কৃষকের পেয়ারাসহ বিভিন্ন ফলের বাগান ও গাছও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এ বিষয়ে ইউএনও, কৃষি অফিসার ও বন কর্মকর্তার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন আমশাড়া গ্রামের কৃষক সিরাজুল ইসলাম, শ্যামেরঘোন গ্রামের কৃষক মজনু শেখ বাদশা ও খোর্দ মাধাইনগর গ্রামের কৃষক সুধীর চন্দ্র সরকার।
তারা জানান, নিমগাছির পুল্লা গ্রামের আব্দুল কায়ুম কৃষিজমির ওপর অবৈধভাবে ইটভাটা স্থাপন করে বারবার কৃষকদের ক্ষতিসাধন করছেন। গত বছরও তার ইটভাটার আগুন ও বিষাক্ত ধোঁয়ার কারণে ফসলের ক্ষতি হয়েছিল। এবারের ক্ষতির বিষয়টি রাকিব সুপার ব্রিকসের মালিক পক্ষকে জানানো হলে তারা দায় অস্বীকার করে এবং ক্ষতিপূরণ দিতে অস্বীকৃতি জানান।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের অভিযোগ, লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরও এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে রাকিব সুপার ব্রিকস ইটভাটার মালিক আব্দুল কায়ুম বলেন, ‘আমাদের ইটভাটার কারণে কৃষকের কোনো ক্ষতি হয়নি। অতিরিক্ত তাপমাত্রা ও অতিরিক্ত সার-কীটনাশকের ব্যবহারেই ফসলের ক্ষতি হয়ে থাকতে পারে। ’
রায়গঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুর রউফ বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি এবং বিষয়টি তদন্তে সরেজমিনে অফিসার পাঠানো হয়েছে। তদন্ত চলমান রয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে, যাতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া যায়।
রায়গঞ্জ ইউএনও হুমায়ুন কবির বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের দেওয়া লিখিত অভিযোগটি এখনও আমার কাছে পৌঁছায়নি। হাতে পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসআরএস