ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

কৃষি

ঝালকাঠিতে কনকনে শীত-ঘন কুয়াশায় বোরো আবাদ ব্যাহত

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২৪
ঝালকাঠিতে কনকনে শীত-ঘন কুয়াশায় বোরো আবাদ ব্যাহত

ঝালকাঠি: কনকনে শীত, ঘন কুয়াশা, বৈরী আবহাওয়া, পানির অভাব এবং শ্রমিক সংকটে ঝালকাঠিতে বোরো আবাদ ব্যাহত হচ্ছে। কুয়াশার কারণে ইতোমধ্যে বিভিন্ন স্থানের বীজতলা হলদে হয়ে যাচ্ছে।

এরই মধ্যে সার, কীটনাশক ও উপকরণের দাম বৃদ্ধিতে হতাশায় ভুগছেন চাষিরা।  

এ অবস্থায় বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

জানা যায়, ঝালকাঠি জেলায় চলতি মৌসুমে ১৩ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ। ইতোমধ্যে ৭৬৫ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করেন কৃষকরা। শুরুতেই সার, কীটনাশক এবং বীজসহ উপকরণের মূল্য বৃদ্ধির কারণে বীজতলা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি।  

এদিকে ঘন কুয়াশা এবং শীতের প্রভাবে বীজতলায় উৎপাদিত চারার ডগা হলদে হয়ে যাচ্ছে। পানির অভাবে কোনো কোনো বীজতলা ফেটে চৌচির। পানি না থাকায় সেচ ব্যাহত হচ্ছে অনেক জায়গায়।  

অন্যদিকে তীব্র শীতে শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। ঠাণ্ডায় অনেক শ্রমিকই ক্ষেতে কাজ করতে চাচ্ছেন না। শ্রমিক সংকটের কারণে বীজতলা থেকে চারা উত্তোলন, জমি তৈরি এবং রোপণ প্রক্রিয়া ব্যাহত হচ্ছে।  

কৃষকরা জানিয়েছে প্রতি বছর বোরো মৌসুমে যশোর, সাতক্ষীরা, নাজিরপুরসহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলা থেকে শ্রমিকরা এখানে আসত। এ বছর প্রচণ্ড শীতে তারা আসতে পারেনি। ফলে আবাদ কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়া কষ্টকর হচ্ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, শীত এবং কুয়াশার কবল থেকে বীজতলা রক্ষার জন্য কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। খালে ভাটার সময় পানি সংকট থাকে, তাই জোয়ারের সময় সেচ দিলে কৃষকদের উপকার হবে বলেও জানায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

সার ও কীটনাশকসহ অন্যান্য উপকরণের মূল্য কমিয়ে সহনশীল করার দাবি জানিয়েছেন কৃষকরা। অন্যথায় বোরো আবাদে এ জেলায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ব্যাহত হতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন তারা।

নলছিটির মালিপুর গ্রামের কৃষক সিদ্দিক তালুকদার বলেন, এ বছর এক একর জমিতে বোরো চাষাবাদের জন্য ক্ষেত প্রস্তুত করেছি। বীজ বপণও শেষ হয়েছে। কিন্তু প্রচণ্ড শীতে চারা হলদে হয়ে যাচ্ছে। এ চারা রোপণ করলে কোনো কাজে আসবে না।

সদর উপজেলার চরভাটারাকান্দা গ্রামের কৃষক আল আমিন হোসেন বলেন, সার, কীটনাশক ও উপকারণের মূল্য বৃদ্ধির কারণে বিপাকে পড়েছি। অন্যদিকে শীতে শ্রমিক সংকটের কারণে বীজতলা করেও চারা রোপণের লোক পাচ্ছি না। নিজেদের মাঠে নিজেদেরই কাজ করতে হচ্ছে। এ বছর বাইরে থেকেও শ্রমিক আসছে না।

ঝালকাঠি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, শীত এবং কুয়াশার কবল থেকে বীজতলা রক্ষার জন্য কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আশা করি শীত ও কুয়াশা কেটে গেলে কৃষকদের আর সমস্যা হবে না।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২৪
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।