ঢাকা, রবিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

কৃষি

চাঁদপুরে দাম হলেও দেশীয় গরুর চাহিদা বেশি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪০ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০২৩
চাঁদপুরে দাম হলেও দেশীয় গরুর চাহিদা বেশি

চাঁদপুর: চাঁদপুর জেলায় এ বছর কোরবানি পশুর চাহিদা রয়েছে ৭০ হাজার। এই চাহিদার অধিকাংশ যোগান দিচ্ছে স্থানীয় খামারিদের লালন পালন করা পশু।

এছাড়াও চরাঞ্চল থেকে একটি বড় অংশ কোরবানির পশু হাটের চাহিদা মিটাচ্ছে।  

জেলার প্রায় ৩০টি ছোট বড় চরাঞ্চল ও শরীয়তপুর জেলার একাংশ থেকে হাটে গরু এসেছে। তবে দাম তুলনামূলক গত বছরের চাইতে কিছুটা বেশি। এর কারণ হিসেবে খামারিরা বলছেন গবাদি পশুর সব ধরনের খাদ্যের দাম বেড়েছে। ৭০ হাজার থেকে শুরু করে ১ লাখ ৭০-৭৫ হাজারের মধ্যে অধিকাংশ গরু বিক্রি হচ্ছে।

সোমবার (২৬ জুন) বিকেলে সদর উপজেলার সবচাইতে বড় এবং সাপ্তাহিক পশুর হাট সফরমালী কোরবানির পশুর হাটে গিয়ে দেখা যায়-হাজার হাজার ছোট ও বড় সাইজের গরু। মূল হাটসহ আশপাশের সড়ক ও জমিগুলোতে গরু নিয়ে বসেছেন ব্যাপারী ও খামারের মালিকরা। আবার অনেকেই ব্যক্তিগতভাবে বাড়িতে পালিত গরু নিয়ে বাজারে এসেছেন।

সদরের ইসলামপুর গাছতলা গ্রামের রোমান পাঠান সফরমালী বাজারে এসেছেন ভাগিদারদের নিয়ে কোরবানির গরু কিনতে। তিনি বলেন, সফরমালী বাজারে ক্রেতার সংখ্যা অনেক। যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই ভালো। যে কারণে চরাঞ্চলের লোকজন নদী পথে এই হাটে গুরু নিয়ে আসছেন। তবে দাম তুলনামূলক বেশি। কারণ সদরের আরেক বড় বাজার বাগাদীর হাটে গরু থাকলেও ক্রেতা তেমন নেই।

চাঁদপুর শহরের কোড়ালিয়া রোডের বাসিন্দা ও চাল ব্যবসায়ী নাজমুল পাটওয়ারী জানান, তিনি ১ লাখ ৭১ হাজার ও ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে মোট দুটি গরু কিনেছেন। দেশীয় জাতের এই দুইটি গরু কিনে খুবই খুশি তিনি। তার ভাগিদার যারা তারাও সন্তুষ্ট।

শরীয়তপুর জেলার সখিপুর থানার তারাবুনিয়া থেকে নিজ খামারের ১০টি গরু নিয়ে এসেছেন খামারি জসিম উদ্দিন। তিনি সন্ধ্যার আগেই তার গরুগুলো বিক্রি করে দিয়েছেন। দাম পেয়েছেন প্রতিটি ১ লাখ থেকে ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা। প্রত্যেকটি গরুর সাইজ প্রায় সমান। ভালো দাম পেয়েছেন বলে তিনি মন্তব্য করেন।

সাপ্তাহিক গরুর বাজারের পরিচালনার দায়িত্বে আছেন স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর আজিজ খান দুদু। তিনি বলেন, এটি সাপ্তাহিক পশুর হাট। যে কারণে একটি পরিচিতি আছে। দেশীয় গরু কোরবানি দেওয়ার জন্য শহরের অধিকাংশ মানুষ এখানে ছুটে আসে। আমরা সার্বিক নিরাপত্তাসহ ক্রেতা-বিক্রেতার সব সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা রেখেছি।

এদিকে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতা-বিক্রেতাদের জন্য স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা টহল দিচ্ছেন। বিকেলে সরেজমিনে পরিদর্শনে আসেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইয়াসির আরাফাত। তিনি পুরো হাট ঘুরে দেখেন এবং ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলেন।

এই কোরবানির হাটের পরে ঈদের দিন সকাল পর্যন্ত চাঁদপুরবাসীর জন্য ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের বাগাদী চৌরাস্তা এবং শহরের স্বর্ণখোলা কোরবানির পশুর হাট।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৩ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।