ঢাকা, সোমবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

কৃষি

আম উৎপাদন ও রপ্তানিতে আগের রেকর্ড ভাঙলো সাতক্ষীরা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২০ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০২৩
আম উৎপাদন ও রপ্তানিতে আগের রেকর্ড ভাঙলো সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরা: চলতি মৌসুমে আম উৎপাদন ও রপ্তানিতে বিগত বছরের রেকর্ড ভেঙেছে সাতক্ষীরা। চলতি বছর এ জেলায় ৬৮ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদন ও ১৫৩ মেট্রিক টন রপ্তানি হয়েছে।

সূত্র মতে, চলতি মৌসুমে সাতক্ষীরা জেলায় ৪৫ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আম উৎপাদন হয়েছে ৬৮ হাজার মেট্রিক টন। যেখানে গত মৌসুমে উৎপাদন হয়েছিল ৫১ হাজার মেট্রিক টন।

একইভাবে ২০১৫ সালে সাতক্ষীরা থেকে আম রপ্তানি শুরু হওয়ার পর চলতি মৌসুমেই সবচেয়ে বেশি আম রপ্তানি হয়েছে। যার পরিমাণ ১৫৩ মেট্রিক টন। বিগত বছরে এর পরিমাণ ছিল মাত্র ২১ মেট্রিক টন।

সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, আবহাওয়া, জলবায়ু ও ভৌগোলিক কারণে সাতক্ষীরার আম দেশের অন্যান্য জেলার তুলনায় কয়েক সপ্তাহ আগে পাকে। এছাড়া সাতক্ষীরার হিমসাগর, গোবিন্দভোগ, ল্যাংড়া ও আম্রপালি আম স্বাদে, গুণে ও মানে অনন্য। এই বিশেষত্ব কাজে লাগিয়ে ২০১৫ সালে প্রথমবারের মতো সাতক্ষীরার আম বিদেশে রপ্তানি শুরু হয়।

সূত্র মতে, সাতক্ষীরা থেকে ২০১৫ সালে ২১ টন, ২০১৬ সালে ২৩ টন, ২০১৭ সালে ৩২ টন, ২০১৮ সালে ১৯ দশমিক ৫ টন, ২০১৯ সালে ০১ টন, ২০২১ সালে ১১ দশমিক ৩৬ টন ও ২০২২ সালে ২১ টন আম রপ্তানি হয়। যা চলতি মৌসুমে ১৫৩ টনে উন্নীত হয়েছে। এসব আমের অধিকাংশই রপ্তানি হয়েছে ইতালি, ফ্যান্স, হংকং, যুক্তরাজ্য ও মধ্য এশিয়ার বিভিন্ন দেশে।

সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, সাতক্ষীরায় এবার আমের যেমন বাম্পার ফলন হয়েছে, তেমনি রপ্তানিও হয়েছে এযাবতকালের সবচেয়ে বেশি।

তিনি বলেন, প্রথমে কিছুটা প্রতিবন্ধকতা থাকলেও তা নিরসন করে সফলভাবে আম রপ্তানি করা গেছে। যদিও এবছর আরও বেশি আম রপ্তানি করা যেত। কিন্তু অন্যান্য জেলার আম বাজারে চলে আসলে ফ্লো কিছুটা কমে যায়।

তবে, আমের বাম্পার ফলন হলেও দাম নিয়ে এখনো হতাশা কাটেনি চাষী ও ব্যবসায়ীদের। গত মৌসুমেও সাতক্ষীরার গোবিন্দভোগ, হিমসাগর ও ল্যাংড়া আকার ভেদে ২২শ থেকে ২৮শ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। কিন্তু চলতি মৌসুমে এসব আম ১৪শ থেকে সর্বোচ্চ ১৮শ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে সাতক্ষীরা শহরের কাটিয়ার আমবাগান মালিক বিপ্লব ভট্টাচার্য জানান, এবছর সব বাগানে  বাম্পার ফলন হয়েছে। তারপরও বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা লাখ লাখ টাকা লোকসানের সম্মুখীন হয়েছেন। কারণ এবার আমের দাম পাওয়া যায়নি। দুই বিঘা জমির আম পাড়তে যে খরচ হয় অনেক ক্ষেত্রে তা তোলাই কঠিন হয়ে যায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০২৩
এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।