ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থার নির্দেশ ইসির

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩, ২০১৮
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থার নির্দেশ ইসির ইসি ভবন

ঢাকা: আসন্ন গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পরিস্থিতির অবনতি হলে তা নিয়ন্ত্রণে একটি ‘শক্তিশালী কমিটি’ গঠন করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। যে কমিটির মূল দায়িত্ব হবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়ে ইসিকে অবহিত করা।

গাজীপুর সিটি করপোরেশন (জিসিসি) নির্বাচনের জন্য ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারকে প্রধান করে গঠিত ওই কমিটির নাম দেওয়া হয়েছে সমন্বয় কমিটি। এতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন উপ মহাপুলিশ পরিদর্শক, বিজিবির সংশ্লিষ্ট সেক্টর কমান্ডার, গাজীপুর জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, র‌্যাবের সংশ্লিষ্ট অধিনায়ক, আনসার ভিডিপির সংশ্লিষ্ট পরিচালক, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার সংশ্লিষ্ট যুগ্ম পরিচালক, ডিজিএফআই’র সংশ্লিষ্ট জিএস, কর্নেল, সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা।


 
খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনের জন্যও সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কমিশনারকে প্রধান করে ১২ সদস্যের একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটিতেও একই পদমর্যাদার কর্মকর্তারা রয়েছেন।
 
সমন্বয় কমিটিকে পাঁচ ধরনের কাজ করার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
 
১. নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতকরণ এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ
২. মোবাইল কোর্টের কার্যক্রম মনিটর করা
৩. বিরূপ পরিস্থিতি তৈরি হলে বা আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হলে তাৎক্ষণিকভাবে তা সমাধানের ব্যবস্থা গ্রহণ করে নির্বাচন কমিশনকে জানানো।
৪. নির্বাচন পরিচালনায় রিটার্নিং কর্মকর্তাকে সার্বিক সহযোগিতা
৫. প্রতি সপ্তাহে অন্তত একটি সভা করে সভার কার্যবিবরণী নির্বাচন পরিচালনা শাখা, নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখা-১ এর ইন্টারনাল অ্যাকাউন্টে প্রেরণ।
 
এই কমিটিকে প্রয়োজন সাপেক্ষে যে কোনো সরকারি কর্মকর্তাকে কো-আপ্ট করে নেওয়ার ক্ষমতাও দেওয়া হয়েছে।
 
ইতিমধ্যে কমিটি গঠন করে নির্দেশনা সম্বলিত চিঠি সংশ্লিষ্ট সব দফতরে পাঠানো হয়েছে। ইসির উপ-সচিব ফরহাদ হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠিটির অনুলিপি মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, পুলিশ হেড কোয়ার্টার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েও পাঠানো হয়েছে।

কমিটির গঠনের বিষয়ে ফরহাদ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, এটি স্থানীয় পর্যায়ে একটি শক্তিশালী কমিটি। পরিস্থিতি অবনতি হলে তাৎক্ষণিক সমাধানের ব্যবস্থা নেওয়ার এখতিয়ার রয়েছে এই কমিটির। কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা পাঠাতে একটু সময়ের প্রয়োজন হয়। কিন্তু স্থানীয় পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার কারো হাতে থাকলে পরিস্থিতি দ্রুত সামাল দেওয়া যায়।

আগামী ১৫ মে গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করবে ইসি। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ১২ এপ্রিল, বাছাই ১৫-১৮ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহার ২৩ এপ্রিল।
 
এদিকে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের পর রিটার্নিং কর্মকর্তার দেওয়া সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করতে দুই সিটির জন্য দুটি আপিল কর্তৃপক্ষও নিয়োগ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। গাজীপুর সিটির জন্য ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার এবং খুলনা সিটির জন্য খুলনা বিভাগীয় কমিশনারকে বিভাগীয় আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে।
 
মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার দেওয়া সিদ্ধান্ত কোনো প্রার্থী সঠিক মনে না করলে আপিল কর্তৃপক্ষের কাছে আপিল করতে পারবেন। কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তও মনপুত না হলে নির্বাচন কমিশনের আবেদন করা যাবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০১৮
ইইউডি/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad
welcome-ad