স্কোর কার্ড অনেক সময় সত্যটা তুলে ধরতে পারে না। নয়তো নিউজিল্যান্ডের দুর্দান্ত লড়াই আর দুর্ভাগ্যের গল্পটা ঠিকই লেখা থাকতো সেখানে।
২০১৯ বিশ্বকাপের ফাইনাল টাই হলে খেলা গড়ায় সুপার ওভারে। কিন্তু সেখানে আরও বড় নাটক অপেক্ষা করছিল। ছয় বল করে মোকাবিলা করে ঠিক ১৫ রান করেই তুলতে সক্ষম হয় দুই ফাইনালিস্ট। কিন্তু অদ্ভুত এক নিয়মের কারণে চ্যাম্পিয়ন হয় ইংল্যান্ড। নিয়মটি বাউন্ডারি হাঁকানোর। ইনিংস ও সুপার ওভার মিলিয়ে ২৬টি বাউন্ডারি হাঁকিয়েছিল ইংলিশরা। বিপরীতে কিউইদের বাউন্ডারি ১৭টি।
সমান স্কোর গড়েও ম্যাচ জিতে হাসিমুখে শিরোপা উল্লাস করছেন ইংলিশ অধিনায়ক ইয়ন মরগান, অন্যদিকে মুখ কালো করে হতাশায় নুয়ে পড়েছেন কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। দৃশ্যটা ঠিক হজম করতে পারেনি ক্রিকেটবিশ্ব। সমালোচনায় মেতেছেন বহু সমর্থক। এমনি বাদ যাননি অনেক সাবেক ক্রিকেটাররাও।
সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার ও বর্তমানে ধারাভাষ্যকার সঞ্জয় মাঞ্জরেকার টুইটারে লিখেছেন, ‘২০১৯ বিশ্বকাপ মনে রাখব যেখানে ইংল্যান্ড বনাম নিউজিল্যান্ড ফাইনাল হয়েছে এবং ইংল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ড জয়ী হয়েছে। ’
সাবেক কিউই অলরাউন্ডার স্কট স্টাইরিস লিখেছেন, ‘দারুণ কাজ করেছো আইসিসি। তুমি একটা কৌতুক। ’
সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক মাইকেল ভন লিখেছেন, ‘কোনো দলই পরাজিত হয়নি। ক্রিকেটের অনন্য এক দিন। এভাবেই এটা নতুন প্রজন্মকে উৎসাহিত করবে। ’
শ্রীনি মামা নামে একজন লিখেছেন, ‘শুধু মাত্র একটা দল বেশি বাউন্ডারি হাঁকিয়েছে, এজন্য তারা চ্যাম্পিয়ন। কিন্তু কিসে আনন্দ? কেন ‘যে দল বেশি সিঙ্গেল নিয়েছে সেই দল চ্যাম্পিয়ন নয়?” এটা একেবারেই ফালতু নিয়ম। আইসিসি, এটা সত্যিকারের লজ্জা!’
মাজিদ হক নামে একজন লিখেছেন, ‘কম বাউন্ডারি হাঁকানোর জন্য সুপার ওভার ও বিশ্বকাপ হেরে গেল নিউজিল্যান্ড। আরও একটা নিয়ম যা পাল্টাতে হবে, আইসিসি। আমাদের আরও একটা ওভার পাওনা ছিল যাতে সত্যিকারের চ্যাম্পিয়ন খুঁজে পাওয়া যায়। হয়তো এটা আর কখনোই হবে না। ’
জীতেন্দ্র দুবে লিখেছেন, ‘আমরা বাউন্ডারির হিসাবে চ্যাম্পিয়ন নির্ধারণ করলাম? উইকেটের হিসাব কেন নয়?’
সিদ্ধার্থ বৈদ্যনাথ লিখেছেন, ‘যদি বৃষ্টির কারণে ফাইনাল ভেস্তে যায়, তবে ট্রফি দুই দল ভাগ করে নেয়। তাহলে দুই দলের স্কোর সমান হল এবং সুপার ওভারেও একই ঘটনা ঘটলেও বাউন্ডারির হিসাবে শিরোপা নির্ধারণ করা হয়। ক্রিকেট!’
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১৯
এমএইচএম