ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯

‘সুপার ওভার’ ও ‘ইতিহাসের সেরা ফাইনাল’

ওয়ার্ল্ড কাপ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬১৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১৯
‘সুপার ওভার’ ও ‘ইতিহাসের সেরা ফাইনাল’ সুপার ওভার রোমাঞ্চ এই ফাইনালকে ইতিহাসের সেরা ফাইনালের তকমা এনে দিয়েছে

এত রোমাঞ্চ? এত উত্তেজনা? এও সম্ভব? ২০১৯ বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ যারা দেখেছেন তাদের অভিব্যক্তি অনেকটা এমনই। তাইতো, বিশ্বকাপ ইতিহাসের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর ফাইনাল বলা হচ্ছে এই ম্যাচটিকেই। উত্তেজনা চরমে উঠে যায় যখন খেলা গড়ায় সুপার ওভারে। সেখানেও চরম নাটকীয়তা। সমর্থকদের মাথার চুল খাড়া করে দেওয়া দুই ওভার। এমন ফাইনালই তো ক্রিকেটভক্তদের স্বপ্ন।

ঐতিহাসিক লর্ডসে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ২৪১ রানের মাঝারি সংগ্রহ নিয়ে ফাইনালটা ম্যাড়ম্যাড়ে হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। কিন্তু অমন সংগ্রহ নিয়েও তুমুল লড়াই উপহার দিল কিউই বোলাররা।

বোল্ট-নিশামরা স্বাগতিকদের ঠিক ২৪১ রানেই থামিয়ে দিলে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সুপার ওভার দেখে ক্রিকেটবিশ্ব।

এর আগে ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচেও সুপার ওভার ম্যাচ গড়িয়েছিল। তবে সেবার শুধু স্ট্যাম্প লক্ষ্য করে বল ছোড়ে যে দল বেশিবার উইকেট ভাঙতে পেরেছিল, তারাই (ভারত) জয়ী হয়েছিল। যদিও এই নিয়ম এখন আর নেই।

এবারের ম্যাচটি সুপার ওভারে গড়ানোর আগে শেষ ওভারে ইংল্যান্ডের জয়ের জন্য ১৫ রান দরকার ছিল। ট্রেন্ট বোল্টের করা ওভারের প্রথম দুটি বল স্ট্রাইকের থাকা বেন স্টোকস ডট দেন। তৃতীয় বলে তিনি ছক্কা হাঁকান ও চতুর্থ বলে দৌড়ে দুই রান নেওয়ার পর মার্টিন গাপটিল থ্রো করলে স্টোকসের গায়ে লেগে বাউন্ডারি হয়। যোগ হয় ছয় রান। ম্যাচটা তখন ইংলিশদের দিকেই ঝুঁকে যায়।

কিন্তু পঞ্চম বলে এক রান নেওয়ার পর নন স্ট্রাইকে থাকা আদিল রশিদ রান আউটের শিকার হন। শেষ বলে জয়ের জন্য দুই রান দরকার, স্টোকস দুই রান নিতে গেলে এবার মার্ক উড রান আউট হন। ম্যাচ টাই হয়। গড়ায় সুপার ওভারে।

সুপার ওভারে নিয়ম অনুযায়ী দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করা ইংল্যান্ডই প্রথমে ব্যাটিংয়ে আসে। যেখানে ৬ বলে যথাক্রমে ব্যাটিংয়ে নামা স্টোকস ও বাটলার তোলেন, ৩, ১, ৪, ১, ২ ও ৪ (১৫)। বোলিংয়ে ছিলেন কিউই পেসার ট্রেন্ট বোল্ট। আর নিউজিল্যান্ডের হয়ে ব্যাটিংয়ে নামা মার্টিন গাপটিল ও জেমস নিশাম জোফরা আর্চারের বলে তোলেন যথাক্রমে ওয়াইড, ২, ৬, ২, ২, ১।  

শেষ বলে দরকার ছিল মাত্র ২ রান। কিন্তু তরুণ আর্চারের বলে বল লং অনে ব্যাট হাঁকিয়েই পড়িমরি করে ছুটলেন গাপটিল। এক রান ঠিকঠাক নিতে পারলেও দ্বিতীয় রান নিতে গিয়েই কুপোকাত এই কিউই ওপেনার। সহজ রান আউটের শিকার হলেন। সঙ্গে সঙ্গে শেষ হয়ে গেল কিউইদের স্বপ্ন। ইনিংস ও সুপার ওভারে সবচেয়ে বেশি বাউন্ডারির হিসাবে শিরোপা জিতল ইংল্যান্ড। মূল ইনিংস ও সুপার ওভারে  টাই করেও হারের হতাশায় নুয়ে পড়লেন উইলিয়ামসনরা। এমন অবিশ্বাস্য ফাইনাল কে কবে দেখেছে?

বাংলাদেশ সময়: ০২১০ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১৯
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯ এর সর্বশেষ