ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯

স্টোকসের সঙ্গে শতরানের জুটির পর ফিরলেন বাটলার

ওয়ার্ল্ড কাপ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১৯
স্টোকসের সঙ্গে শতরানের জুটির পর ফিরলেন বাটলার ছবি:সংগৃহীত

বিপর্যয় কাটিয়ে ইংল্যান্ডকে শিরোপা জয়ের পথে নিয়ে যাচ্ছিলেন বেন স্টোকস ও জস বাটলার। পঞ্চম উইকেট জুটিতে তারা ১১০ রান তোলেন। তবে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ২০তম হাফসেঞ্চুরির তুলে লকি ফার্গুসনের দ্বিতীয় শিকারে মাঠ ছাড়েন বাটলার (৫৯)। ৬০ বলে ৬টি চারের সাহায্যে নিজের ইনিংস সাজান তিনি।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৪৫ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯৬ রান করেছে ইংল্যান্ড। বেন স্টোক ৫১ রানে অপরাজিত আছেন।

এর আগে ইয়ন মরগানের বাজে শট, লকি ফার্গুসনের দুর্দান্ত ক্যাচ। আর এতেই ম্যাচের লাগাম নিজেদের দিকে টেনে নেয় নিউজিল্যান্ড। দলীয় ৮৬ রানে জেমস নিশামের বলে তুলে মারতে গিয়ে ফার্গুসনের তালুবন্দি হন ইংলিশ অধিনায়ক। ২২ বলে ৯ রান করেন তিনি।

ইংল্যান্ডের টপঅর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে বিদায় করে ম্যাচে ফেরে নিউজিল্যান্ড। ওপেনার জনি বেয়ারস্টো লকি ফার্গুসনের শিকারে পরিণত হন। ৫৫ বলে ৭টি চারে ৩৬ করে তিনি বোল্ড হন। এর আগে দারুণ ফর্মে থাকা জো রুট (৭) কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমর বলে আউট হন।

হাফসেঞ্চুরি করতে পারলেই চলমান আসরে সাকিব আল হাসান ও বিরাট কোহলির সমান সর্বোচ্চ পাঁচটি ফিফটির রেকর্ড গড়তে পারতেন জেসন রয়। তবে ফাইনালে মাত্র ১৭ রানে বিদায়ে তা আর হলো না। ম্যাট হেনরির বলে বিধ্বংসী এই ব্যাটসম্যান উইকেটরক্ষক টম ল্যাথামের কাছে ক্যাচ দেন।

অধরা শিরোপায় চুমু খেতে ফাইনালে ২৪২ রানের লক্ষ্য পেয়েছে ইংল্যান্ড। প্রথমে ব্যাট করা নিউজিল্যান্ড নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৪১ রান করেছে। দলের হয়ে একমাত্র হাফসেঞ্চুরিটি আসে ওপেনার হেনরি নিকোলসের ব্যাট থেকে। তবে দারুণ বল করা ক্রিস ওকস ও লিয়াম প্ল্যাঙ্কেট কিউইদের স্কোর খুব বড় করতে দেননি।

রোববার (১৪ জুলাই) লর্ডসে চলমান ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার ফাইনালে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন।

কিউই ইনিংসের শুরুতে মাত্র ১৯ রানেই মাঠ ছাড়েন ডানহাতি ব্যাটসম্যান মার্টিন গাপটিল। প্রথম পর্বে কেবল মাত্র শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৭৩ রান ছাড়া পুরো বিশ্বকাপে বলার মতো রান আসেনি নিউজিল্যান্ড ওপেনার মার্টিন গাপটিলের ব্যাটে। সে ব্যর্থতার ধারাই ধরে রাখলেন ফাইনালেও।

কেন উইলিয়ামসন ফেরেন প্ল্যাঙ্কেটের বলে। দলীয় শতকের পর তার খেলা বল আলতো ছুঁয়ে ইংল্যান্ড উইকেটরক্ষকের হাতে যায়। আম্পায়ার নট আউট দিলেও শেষ পর্যন্ত রিভিউ নিয়ে উইকেটটি নিজেদের করে নেয় ইংল্যান্ড। উইলিয়ামসন ফেরেন ব্যক্তিগত ৩০ রানে। ৫৩ বলে এই ইনিংস খেলতে দুটি চার হাঁকান।

দলীয় সর্বোচ্চ রান করেন হেনরি নিকোলস। এই ওপেনার ৭৭ বলে ৪টি চারে ৫৫ করে প্ল্যাঙ্কেটের বলে বোল্ড হন। এটি তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের নবম হাফসেঞ্চুরি। পরে আরেক ভরসার ব্যাটসম্যান রস টেইলরকে ব্যক্তিগত ১৫ রানে এলবির ফাঁদে ফেলেন মার্ক উড।

লিয়াম প্ল্যাঙ্কেটের তৃতীয় শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন জেমস নিশাম। জো রুটের কাছে ক্যাচ দেওয়ার আগে ২৫ বলে ৩টি চারে ১৯ রান করেন তিনি।

নিউজিল্যান্ডের দলীয় দু’শ রান পার করতে সাহায্য করেন টম ল্যাথাম। ৫৬ বলে ৪৭ করে তিনি ওকসে শিকারে পরিণত হন। দুটি চার ও একটি ছক্কা হাঁকান তিনি।

ইংলিশ বোলারদের মধ্যে ওকস ও প্ল্যাঙ্কেট তিনটি করে উইকেট ভাগাভাগি করে নেন। এছাড়া আর্চার ও উড একটি করে উইকেট পান।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৩৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০১৯
এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯ এর সর্বশেষ