এমন একটি রোমাঞ্চকর জয় পেয়ে লর্ডসের ফাইনালে যেতে পারায় খুশি না হয়ে উপায় নেই কেন উইলিয়ামসনের। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তৃপ্তির হাসিই দেখা গেলো কিউই অধিনায়কের ঠোঁটে, ‘এটা ভিন্ন এক অনুভূতি।
বলতে গেলে ভারতীয় বোলারদের সামনে শুরুতে ব্যাট হাতে একাই লড়াই করেছেন উইলিয়ামসন। তার দায়িত্বপূর্ণ ব্যাটিংয়ের সুবাদে লড়াকু স্কোর পায় নিউজিল্যান্ড। অবশ্য জয়ের কৃতিত্বটা সতীর্থদেরকেই দিলেন তিনি, ‘আমরা ভেবেছি ২৪০-২৫০ রান করতে পারলে ভারতকে চাপে রাখতে পারবো। আমাদের খেলোয়াড়রা শেষ পযর্ন্ত তা করতে সক্ষম হয়েছে। ’
তবে নিউজিল্যান্ডের জয়ের কৃতিত্বটা কিছুটা হলেও পাবে বৃষ্টি। বৃষ্টির কারণে ম্যাচ গড়ায় রিজার্ভ ডে-তে। যেখানে পিচ হয়ে ওঠে ব্যাটসম্যানদের জন্য বধ্যভূমি। তারই সুফল পেয়েছে কিউই ব্যাটসম্যানরা। উইলিয়ামসনও পরোক্ষ ধন্যবাদ জানালেন বৃষ্টিকে, ‘গতকালকের বৃষ্টি ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। নতুন বলে আমাদের পেসাররা বাতাসে বল ঘোরাতে পারছিল ভালভাবে। আমাদের দরকার ছিল ভারতের বিশ্বমানের ব্যাটিং লাইনকে চাপে রাখা। ’
জিতলেও অবশ্য প্রতিপক্ষের প্রশংসা করতে ভুলেননি উইলিয়ামসন। ভারতের বিশ্বমানের ব্যাটিং লাইন-আপের প্রশংসায় করলেন কিউই তারকা, ‘তারা দেখিয়েছে কেন তারা বিশ্বমানের দল। এমএস ধোনি ও জাদেজা ব্যাটিংয়ে দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। এমনকি তারা ম্যাচটি জিততেও পারতো। এই বিশেষ দিনে, অনেক কিছু ঘটতে পারতো। আমরা নিজেদের সেরা খেলা খেলিনি কিন্তু সতীর্থরা হতাশ ছিল না। ’
সারা মাঠজুড়ে ভারতের সমর্থকরা গলা ফাটিয়েছে কোহলি-ধোনিদের নামে। তাতে কি আসে যায়! উল্টো ভারতীয় সমর্থকদের প্রশংসা করলেন উইলিয়ামসন, ‘ভারতীয় সমর্থকরা সত্যিই ভাল। ’
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০১৯
ইউবি