এরই রেশ ধরে দলের অধিনায়ককে পোহাতে হয়েছে পারিবারিক ঝামেলাও। সম্প্রতি অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদকে তার কোলে থাকা ছেলেসহ অপমানের শিকার হতে হয়েছে।
জানা যায়, আরও দুই পাকিস্তানি ক্রিকেটারকেও শপিংমলে অপমানের শিকার হতে হয়। এ সময় তাদের পরিবারও নাকি সঙ্গে ছিল। এর ফলে খেলোয়াড়দের ব্যক্তিজীবন ও দলে প্রভাব পড়েছে অনেক। তবে সেসব ছাড়িয়ে সমর্থকদের কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ভালোবেসে পাশে থাকতে বললেন সরফরাজ। বুধবার (২৬ জুন) আইসিসির এক ভিডিও বার্তায় এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।
আইসিসি’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সরফরাজ বলেন, 'আমি যখন বাইরে থেকে হোটেলে আমার রুমে ফিরলাম, আমি দেখলাম আমার স্ত্রী ঐ ভিডিওটি দেখে কাঁদছে। আমি তখন তাকে বোঝানোর চেষ্টা করলাম যে এটি কেবল একটি ভিডিও। এটা তেমন গুরুতর কিছু না এবং আমাদের শক্ত থাকতে হবে। এগুলো সবই আমাদের জীবনের একটি অংশ, আর আমরা ভালো না করলে আমাদের এগুলোর মধ্য দিয়েই যেতে হয় এবং হবে। '
স্ত্রীর কান্না সহ্য করেও সরফরাজ তার ভক্তদের প্রতি কৃতজ্ঞ। তিনি কেবল তার নিকটবর্তী ব্যক্তিদের কাছ থেকেই সমর্থন পাননি, বরং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ভক্ত ও সমর্থকদেরও সমর্থন পেয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে সরফরাজ বলেন, ‘শুধু আমার পরিবার বা কাছের মানুষই নয়, ভিডিওটি দেখার পর আমার অনেক সমর্থকও এর বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। আমরা তাদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞ। আজ আমরা যেখানে আছি, এর পেছনে আমাদের সমর্থকদের ভূমিকা অনেক। আমরা ভালো বা খারাপ যাই করি না কেন, আমাদের সমর্থকরা সবসময়ই আমাদের ভালো করার অনুপ্রেরণা। '
সরফরাজ বলেন, ‘আমি সবসময়ই বলি যে আমাদের পাকিস্তানি ভক্তরা আমাদের অনেক বেশি ভালোবাসে। আমরা এটাও জানি যে যখন আমরা ভালো করি তখন তারা আমাদের যথেষ্ট শ্রদ্ধা করে। আর যদি হারি তখন তারা রেগে যায়, কেননা আমাদের প্রতি তাদের প্রত্যাশাটা অনেক বেশি থাকে। '
আর খারাপ করলেও ভক্তরা যে তাদের ভালোবাসেন, সে কথাও জানান ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ ক্যাপ্টেন। তিনি বলেন, ‘ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে পরাজিত হওয়ার পর এক সপ্তাহ যেভাবেই যাক না কেন, আমাদের ভক্তরা কিন্তু ঠিকই লর্ডসে এসেছিলেন এবং পাকিস্তান দলের সমর্থন করেছেন। তারা হোটেলে এসেছিল এবং বাইরেও আমাদের সাথে দেখা করেছে। তারা সবাই আমাদেরকে একটা কথাই বলেছেন, আমাদের সেরাটা দিতে এবং বাকিটা সৃষ্টিকর্তার হাতে ছেড়ে দিতে। '
বাংলাদেশ সময়: ২১১৮ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১৯
এইচএমএস/এমএইচএম