২৪ জুন মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের পঞ্চম ওভারে আফগান স্পিনার মুজিব উর রহমানের বলে শর্ট কাভারে ক্যাচ তুলে দেন লিটন।
অনেকক্ষণ ধরে দেখার পরও টিভি আম্পায়ার আলিম দার নিশ্চিত হতে পারছিলেন না, এটি আউট কিনা। তবে আউটের সিদ্ধান্ত দেওয়ার ক্ষেত্রে 'বেনিফিট অব ডাউট' সবসময় ব্যাটসম্যানের পক্ষেই কথা বলে। কিন্তু মাঠের আম্পায়ারদের ‘সফট সিগনাল’র ওপর ভিত্তি করে আলিম দার আউট ঘোষণা করেন লিটনকে! এই সিদ্ধান্তে ক্রিকেটবিশ্ব বিশেষ করে টাইগারভক্তরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
একই ম্যাচে সাকিব আল হাসানকে লেগ বিফোরের আবেদন করলে সঙ্গে সঙ্গে আউট দিয়ে দেন মাঠের আম্পায়ার। পরে সাকিব রিভিউ নিলে দেখা যায় বল লেগ স্ট্যাম্পের আলতো ছোঁয়া দিয়ে বেরিয়ে যেত। পরে মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই বহাল রাখেন আলিম দার।
এর আগে ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে বাংলাদেশ-ভারতের কোয়ার্টার ফাইনালেও আলিম দারের একাধিক সিদ্ধান্ত সমালোচিত হয়। বিশেষ করে ভারতের ব্যাটিংয়ের সময় রোহিত শর্মার তুলে দেওয়া ক্যাচ ফিল্ডারের হাতে গেলেও রুবেল হোসেনের সেই ফুলটস বলটিকে ‘নো বল’ ঘোষণা করেন আলিম দার। পরে টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, সেটি ‘নো বল’ ছিল না। ওই সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হন আলিম দার।
বাংলাদেশের সমর্থকদের জন্য দুঃসংবাদ, ২ জুলাই ভারতের বিপক্ষে ম্যাচেও টেলিভিশন আম্পায়ার হিসেবে দেখা যাবে আলিম দারকে। বার্মিংহ্যামের এজবাস্টনে ভারতকে হারাতে না পারলে বাংলাদেশের সেমিফাইনালের সম্ভাবনা শেষ হয়ে যেতে পারে। এমন ‘ডু অর ডাই’ ম্যাচে আলিম দার থাকছেন বিধায় ‘ভয়’ চেপে বসছে সমর্থকদের মনে। তাদের ভাষ্যে, আলিম দার থাকা মানে বাংলাদেশকে প্রতিপক্ষের ‘১২ জন’র সঙ্গে লড়তে হবে।
ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে মাঠের দুই আম্পায়ার হিসেবে থাকবেন পাল্লিয়াগুরুগে এবং মরিস এরাসমাস। চতুর্থ আম্পায়ার হিসেবে থাকবেন কুমার ধর্মাসেনা।
বাংলাদেশের ম্যাচগুলোতে আলিম দারের থাকাটা বিশ্বকাপ শুরুর আগে থেকেই নির্ধারণ করে রেখেছে আইসিসি। সমর্থকরা বলছেন, যার সিদ্ধান্ত নিয়ে বরাবরই সমালোচনা সইতে হয়েছে আইসিসিকে, সেই আলিম দারকে তবু বাংলাদেশের ম্যাচেই কেন রাখা হচ্ছে?
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৪ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১৯
এমএইচএম/এমএমএস