সত্যি বলতে এমন অলরাউন্ডার বাংলাদেশ তথা পুরো বিশ্ব ক্রিকেটে আর কখনো পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ রয়েছে। যেখানে প্রতিনিয়ত সাকিব নিজেকে ভাঙছেন আবার গড়ছেন।
অলরাউন্ডারদের সোনালি যুগ ধরা হয় ১৯৮০’র দশককে। সেসময় ইংল্যান্ডের ইয়ান বোথাম, পাকিস্তানের ইমরান খান, ভারতের কপিল দেব ও নিউজিল্যান্ডের রিচার্ড হ্যাডলিরা একে অপরকে ছাড়িয়ে যেতে লড়াই করতেন। এখনকার সময় তেমন প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় না ঠিকই, তবে সাকিব বরাবরই নিজেকে সিংহাসনে বসাতে সেরাটা দিয়ে যাচ্ছেন।
ওয়ানডে অলরাউন্ডারের শীর্ষ র্যাংকিংয়ে থাকা সাকিব আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বশেষ ম্যাচে ব্যাটে-বলে ছিলেন অনন্য। ৫১ রানের পাশাপাশি তুলে নিয়েছেন ৫টি উইকেট। যেখানে ভারতের যুবরাজ সিংয়ের পর দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে বিশ্বকাপে এক ম্যাচে এমন কীর্তি গড়লেন।
এদিকে বেন স্টোকস ও নিউজিল্যান্ডের কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমও এই বিশ্বকাপে অলরাউন্ডার হিসেবে নজর কেড়েছেন। কিন্তু সাকিব যে সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন তা তার পারফরম্যান্সই বলে দেয়।
এ প্রসঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক পেসার ও বর্তমানে বিশ্বকাপে ধারাভাষ্যের কাজ করা ইয়ান বিশপ বলেন, ‘সবাই ইমরান খান (পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ও বর্তমানে দেশটির প্রধানমন্ত্রী) সাকিব আল হাসান হতে চায়। কিন্তু তাদের মতো অলরাউন্ডার গাছ থেকে পড়ে না। প্রতিটি দলই তাদের মতো (অলরাউন্ডার) একজনকে চাইবে। তবে আপনি চাইলেই তাদের অর্থ দিয়ে কিনতে পারবেন না। দলগুলো বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান বা বোলার দ্বারা দল গঠন করে। কিন্তু অলরাউন্ডারের মর্যাদা সবসময়ই আলাদা। ’
বাংলাদেশ সময়: ১২৪২ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১৯
এমএমএস