সাকিবের ৫১ রানের ওপর ভর করে আফগানদের বিপক্ষে ৭ উইকেটে ২৬২ রান করে বাংলাদেশ। পরে বল হাতে ২৯ রানে ৫ উইকেট নিয়ে জয়ের নায়কও তিনি।
সোমবার (২৫ জুন) আফগানদের বিপক্ষে অনবদ্য এক চিত্রনাট্যের সমাপ্তির পর সাকিব ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘পাঁচ উইকেট নেওয়া বিশেষ কিছু। দেখুন আমরা এমন টাইপের স্পিনার যারা দেশকে সাহায্য করে। আমার মনে হয় আজকের উইকেটটা আমাদের বেশি সাহায্য করেছিল। এটা দরকার ছিল এবং আমার প্রেক্ষিতে এটা দলের প্রয়োজন ছিল। সৌভাগ্যবশত আমি তার করতে পেরেছি। এবং তা করতে পেরে সত্যি খুশি। ’
বিশ্বকাপের শুরু থেকে অসাধারণ ব্যাটিং দিয়ে ক্রিকেট বিশ্বকে মুগ্ধ করে দিয়েছেন সাকিব। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ (৪৭৬) রানও তার। দুর্দান্ত ব্যাটিং করতে থাকা সাকিব কোন রকম চাপ অনুভব করেননি বলে জানান। তিনি বলেন, ‘আমি ভাল প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। কিন্তু নিজেকে প্রমাণের তেমন কিছুই অনুভব করিনি। ’
নিজে অলরাউন্ড পারফর্ম্যান্স করতে পারলে সন্তুষ্টি পান জানিয়ে সাকিব আরো বলেন, ‘বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতি নিয়ে আমি যা করতে পারতাম আমি তাই করেছি। এটা আমাকে প্রচুর সাহায্য করছে। আমি নিজের পারর্ফম্যান্স নিয়ে কোনো প্রকার র্যাংক করি না। কিন্তু যখন আমি ব্যাট ও বল হাতে অবদান রাখি তখন সন্তুষ্ট হই। এটা এক খাতে অবদানের চেয়ে আমাকে আরো বেশি সন্তুষ্টি দেয়। ’
আগে পাঁচে ব্যাটিং করলেও বিশ্বকাপে নাম্বার তিনে ব্যাট করছেন সাকিব। তবে তাতে কোনো প্রকার যে অসুবিধা হচ্ছে না তা তো প্রতিনিয়ত বুঝিয়ে দিচ্ছেন তিনি। বাংলাদেশে আগে নাম্বার তিন নিয়ে সংকটে ছিল। ঘুরেফিরে অনেকে চেষ্টা করেছেন জায়গাটিতে সেট হতে। কিন্তু সম্ভব হয়নি। তবে সাকিব সেখানেই সফল।
দুর্দান্ত এই পারর্ফম্যান্সের পেছনে নিজের ফিটনেসকে ক্রেডিট দিচ্ছেন সাকিব, ‘দেড় মাস আমি ফিটনেস নিয়ে কাজ করেছি এবং এটাই আমাকে সাহায্য করছে। ফিটনেস আমাকে কঠিন সময় ও পরিবেশে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করছে। আমি ফিটনেসের কারণে কঠিন সময়ে সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম। কারণ আমি অন্যকিছু পরিবর্তন করতে পারবো না এটা ছাড়া। আমি যা করছি তাতে ফিটনেস খুব সাহায্য করছে। ’
এমন একটা সময় ছিল যখন বাংলাদেশ ছিল ‘ওয়ান ম্যান আর্মি। ’ তবে সেখান থেকে টাইগাররা বেরিয়ে এসেছে অনেক আগে। বিশ্বকাপেও তা দেখা যাচ্ছে। অবশ্য অন্যদের চেয়ে এই জায়গায় একটু বেশি উজ্জ্বল সাকিব।
বাংলাদেশ ওয়ান ম্যান আর্মি-কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সাকিব বলেন, ‘না, আমরা ওয়ান ম্যান আর্মি নয। আপনি যদি আজকের (২৪ জুন) ম্যাচ দেখেন, তাহলে দেখবেন, মুশফিকের ইনিংস, রিয়াদ-তামিম এবং মোসাদ্দেকের অবদান। বিশেষ করে এই ধরণের উইকেটে তাদের অবদান ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তারা ইনিংসকে নির্মাণে সহায়তা করেছে। মোস্তাফিজ এবং সাইফউদ্দীনকে যদি দেখেন, তারা উভয়ে ৯-১০ উইকেট নিয়েছে এই বিশ্বকাপে। তাই আমি মনে করি এটি অনেক বড় অর্জন বাংলাদেশের জন্য। ’
বাংলাদেশ সময়: ১১৫২ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৯
ইউবি