লন্ডন, কার্ডিফ, টনটন এবং নটিংহ্যামের ম্যাচগুলোতে বাংলাদেশের দর্শক ছিল দেখার মতো। বৃষ্টিতে ভিজে থাকা ব্রিস্টলে বিরূপ আবহাওয়াতেও ছিল সমর্থকদের বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রই বাংলাদেশের মাটিতে বাংলাদেশের জনগণই তাদের সাপোর্টার হিসেবে সমর্থন দেন। কিন্তু সেই জায়গা থেকে টনটন এখন উন্মাদনায় ভাসে বাংলাদেশের গানে। তা হোক না যে কোন দলের বিরুদ্ধে খেলা। আর তাদের সেই উল্লাসটা এতটাই বেশি যে, তা মনোযোগে আঘাত হানে বিপরীত পক্ষের দলের উপরও। ঠিক যেমনটি হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলার দিন। বলা যায়, দলের বিরুদ্ধে খেলার সাথে সাথে বিপরীত পক্ষকে খেলতে হয় বাংলাদেশের সমর্থকদের উল্লাসের বিপক্ষেও।
এ প্রসঙ্গে লন্ডনের ক্যাপিটাল কিডস ক্রিকেটের প্রধান নির্বাহী শহিদুল আলম জানান, শুধু দেশে নয়, বর্তমানে দেশের বাইরেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সমর্থকরা। এটা লন্ডনেও অনেক বেশি। অন্তত ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ানস ট্রফিতে যখন তাদের স্টেডিয়াম দেখেছিলাম, তখনকার তুলনায় এবারের বিশ্বকাপে তো আরো বেশি।
তিনি বলেন, খেলা চলাকালীন সময়ে রাস্তায় হাজার হাজার গাড়ি থাকে। কিন্তু যখন দেখবেন একটি গাড়িতে বাংলাদেশর পতাকা লাগানো, ঠিক তার পাশেই একই রকমভাবে বাংলাদেশের পতাকা লাগানো আরো গাড়ি দেখতে পারবেন। এবং এর সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়তেই থাকবে ও একটি সারিতে পরিণত হবে। যা দেখলে যে কারো নিঃসন্দেহে ভালো লাগবে এবং গর্বে বুক উঁচু করে চোখ বন্ধ করতে বাধ্য হবে।
শহিদুল আলম বলেন, আমি ২০০৯ সালে বিশ্বকাপের টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দেখতে বাংলাদেশে গিয়েছিলাম। কিন্তু তখন সেখানে এতোটা সাপোর্টার দেখিনি যতটা এখন দেখি। আমি নিশ্চিত যারা ক্রিকেট ভালোবাসে, তারা ভালোবেসেই বাংলাদেশ টিমকে সমর্থন করে। আর দেশটিও ক্রিকেটের প্রতি অত্যন্ত আবেগী এবং উৎসাহী। তাইতো তারা দেশের বাইরেও এখন সমর্থক তৈরী করতে পেরেছে। তাদের সমর্থকরা এখন খেলা উপভোগের জন্য, তাদের সাহস ও উৎসাহ যোগানোর জন্য বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে বেড়াচ্ছে। যেটা ফুটবলের থেকেও বেশি জনপ্রিয়।
বাংলাদেশ সময়: ০১০২ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৯
এইচএমএস/ইউবি