সোমবার (১৭ জুন) ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে বাংলাদেশের খেলায় দুরন্ত বোলিং করার পর সাকিব খেলেছেন ১২৪ রানের অপরাজিত ঝলমলে ইনিংস। তার এই অসাধারণ কীর্তিতেই বাংলাদেশ ৩২২ রানের মতো পাহাড় ছুঁয়ে হারিয়ে দিয়েছে উইন্ডিজকে।
দলের এমন ঐতিহাসিক জয়ের ম্যাচে বল হাতে ৮ ওভারে ৫৪ রানে ২ উইকেট শিকারের পর সাকিব ব্যাট হাতে তুলে নিয়েছেন ‘ব্যাক টু ব্যাক’ সেঞ্চুরি। করেছেন অপরাজিত ১২৪ রান। সাকিবকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে ৯৪ রানে অপরাজিত ছিলেন লিটন। দু’জনে মিলে করেছেন বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ১৮৯ রানের জুটি গড়েছেন।
লিটন গ্যাব্রিয়েল শ্যাননের বলে চার মেরে বাংলাদেশকে এনে দেন অবিস্মরণীয় জয়। এর আগে শ্যাননকে টানা তিন ছক্কা মারেন লিটন। ৬৯ বলের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৪ ছয় ও ৮ চারে। অন্য প্রান্তে লিটনের হাত খুলে ব্যাটিং করতে দেখে মুগ্ধ সাকিব বলেন, 'প্রথম ১০-১৫ বল পর ও (লিটন) যেভাবে ব্যাট করল তা রীতিমত চোখ ধাঁধানো। অপর প্রান্ত থেকে ওই ব্যাটিং খুব উপভোগ করেছি। '
টার্গেট বড় হওয়ায় দ্রুত রান তোলার তাড়া ছিল। কিন্তু লিটনের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে সেই চাপটা সামাল দিতে সুবিধা হয়েছে বলেই জানান সাকিব, 'ওকে স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে বলেছিলাম। ও সেটাই করেছে। বিশাল রান তাড়ায় ওর জন্য কোনো চাপ অনুভব করিনি। এটাই ওর ইনিংসের সেরা দিক। প্রথমবার বিশ্বকাপ ম্যাচ খেলতে নামা, তাও কয়েক ম্যাচ দলের বাইরে থাকার পর। মোটেই সহজ নয়। '
সাকিবের কথার অনুরণন শোনা গেল লিটনের কথায়ও। যদিও শুরুতে নার্ভাস ছিলেন। কিন্তু সাকিব যখন তাকে বারবার কথা বলে সেই নার্ভাসনেস থেকে বের করে এনেছেন। স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে বলেছেন। জোরাজুরি না করে সিঙ্গেল নিয়ে খেলতে বলেছেন। আর এসব মিলিয়ে সাকিবের কারণে চাপমুক্ত ছিলেন লিটনও।
ম্যাচের এক পর্যায়ে ২৮ বলে ২৩ রান ছিল লিটনের। তার কাজ ছিল মূলত সাকিবকে সঙ্গ দেওয়া। এরপর ক্রমেই হাত খুলে খেলতে শুরু করেন। ম্যাচের লিটন বলেন, '৩০ রান করার পর মনে হয়েছে আমি নিজের মতো করে খেলতে পারছি। এর আগে আমি অনেক চাপে ছিলাম। কিন্তু ৩০ রান করার পর মনে হয়েছে সব ঠিক আছে। সাকিব ভাই কথা বলেছেন। তার কথাই আমাকে নার্ভাসনেস থেকে বের করে এনেছে। উনি বলেছেন উইকেট সহজ, তাই স্বাভাবিক খেলা খেলতে। '
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১৯
এমএইচএম