ম্যানচেস্টারে গত রোববার (১৬ জুন) ভারতের কাছে বিধ্বস্ত হওয়ায় সবচেয়ে বেশি সমালোচনার খাঁড়ায় পড়েছেন পাক অধিনায়ক সরফরাজ। অনেকে তার অধিনায়কত্বের সমালোচনা করছেন, কেউ আবার তার স্বাস্থ্য এমনকি তার ভুঁড়ি নিয়েও কাটছেন টিপ্পনি।
এমনিতেই অতীতে পাকিস্তানের এমন বাজে পারফরম্যান্সের ফল হয়েছে ভয়ঙ্কর। বিশ্বকাপ থেকে খালি হাতে ফিরে দেশে গিয়ে মুখ লুকিয়ে এয়ারপোর্ট ছাড়তে হয়েছে শোয়েব আখতার-শহীদ আফ্রিদিদের মতো তারকাদেরও। এমনকি হামলা হয়েছে তাদের বাসগৃহেও। তবে এটা শুধু পাকিস্তানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য তা নয়, ভারতীয় দলকেও একই অভিজ্ঞতার মুখে পড়তে হয়েছে অতীতে।
পাকিস্তানের ‘দ্য নিউজ’ নামের সংবাদ মাধ্যমের এক রিপোর্ট অনুযায়ী, দলটির সমর্থকরা প্রচণ্ড ক্ষোভে ফুঁসছেন। তারা সরফরাজের উদ্দেশে সতীর্থদের চাপ প্রয়োগ করতে বলছেন। তারা সাবধান করে দিয়ে বলছেন, হয় সরফরাজ তার সতীর্থদের সতর্ক করে দিয়ে খেলায় মনোযোগ দিতে বলুন, না হয় দেশে ফিরে রোষের শিকার হতে প্রস্তুত থাকুন।
ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে সরফরাজ খুব আবেগী হয়ে পড়েছিলেন বলে জানিয়েছে ওই সংবাদ মাধ্যম। সেসময় তিনি সতীর্থদের উদ্দেশে বলেন, ‘দেশে কিন্তু আমি একা ফিরব না’। তিনি সবাইকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, খেলার মান যদি আরও ভালো না হয়, দলের সবাইকে তার দায় নিতে হবে।
সরফরাজ বলেন, ‘যদি কেউ মনে করে থাকে যে আমি একাই ঘরে ফিরব, তাহলে সেটা তার বোকামি। আল্লাহ না করুন যদি খারাপ কিছু হয়ে যায়, তখন আমি একাই বাড়ি ফিরব না। ’
যা হবার তা হয়ে গেছে। এখন পাকিস্তান অধিনায়ক দলের সবাইকে বাকি ৪ ৪ ম্যাচ নিয়ে ভাবতে বলেছেন। ওই ম্যাচগুলো জিতে মাথা উঁচু করে নিজ দেশে ফেরার জন্য সতীর্থদের অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
সরফরাজ যখন সতীর্থদের উদ্দেশে এসব বলছিলেন দলের দুই সিনিয়র শোয়েব মালিক ও মোহাম্মদ হাফিজ কোনো কথা বলেননি। বলবেন কীভাবে? শোয়েব তো ওই ম্যাচের আগের রাতে দলের কয়েকজন জুনিয়র খেলোয়াড়কে নিয়ে স্ত্রী সানিয়া মির্জাসহ এক সীসা বারে সময় কাটিয়েছেন। যার প্রভাব পড়েছে ম্যাচেও।
এখন পর্যন্ত ৫ ম্যাচ খেলে ২০১৯ বিশ্বকাপের পয়েন্ট টেবিলের নবম স্থানে অবস্থান করছে পাকিস্তান। ২৩ জুন লর্ডসে মুখোমুখি হবে পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৯ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১৯
এমএইচএম/এমএমএস