সোমবার (১৭ জুন) টনটনে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৩২১ রান তোলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টাইগারদের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩২২ রান।
নগরীর বাঘমারা রোড এলাকায় ব্রহ্মপুত্র ব্লাড কল্যাণ সোসাইটির কার্যালয়ে টিভি সেটের সামনে গভীর মনোযোগে লিটনের দ্যুতি ছড়ানো বিশ্বকাপ অভিষেক উপভোগ করেছেন মমিুনুর রহমান প্লাবন, কায়সার ইমাম মেহেদীসহ তরুণের দল। সাকিবের ব্যাটের হাসিতে জয়োৎসবে মেতে ওঠেন তারাও।
এ তরুণরা বলছিলেন, ‘মাহমুদউল্লাহ-মোসাদ্দেক আমাদের শহরের গর্ব। তারা জ্বলে উঠলে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে মাতে গোটা ময়মনসিংহ। আর সাকিবদের অনবদ্য ইনিংসও আমাদের আনন্দে উদ্বেল করে। দলের প্রয়োজনেই সাকিবের বারবার ইতিহাস গড়া আমাদের আনন্দে ভিন্ন মাত্রা যোগ করে। ’
বাংলাদেশের জয় দেখতেই এবং নিজের এলাকার দুই দাপুটে ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ ও মোসাদ্দেকের ব্যাটিং জাদু দেখতেই নিজের ছোট্ট দোকানটিতে টিভি নিয়ে বসে পড়েন নগরীর সানকিপাড়া শেষ মোড় এলাকার দোকানি ইসলাম উদ্দিন।
ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে মাহমুদউল্লাহ-মোসাদ্দেক নিজেদের প্রমাণের সুযোগ না পেলেও ‘টিম স্পিরিট’ টাইগারদের বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে যাওয়ার স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখায় যারপরনাই খুশি এ দোকানি।
ক্রিকেট অন্তঃপ্রাণ ইসলাম উদ্দিন খেলার খুঁটিনাটি জানাতে করিৎকর্মা। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, ‘গ্যাব্রিয়েলের পরপর তিন বলে লিটনের ‘হ্যাটট্রিক’ ছক্কা কোনোদিন ভোলার নয়। এ স্মৃতি মনে গেঁথে থাকবে অনেকদিন। এ দু’জনের অবিচ্ছন্ন ১৮৯ রানের পার্টনারশিপই রেকর্ড জয় এনে দিয়েছে আমাদের। ’
মাহমুদউল্লাহ-মোসাদ্দেকের শহরে কেবলই যে ক্রিকেট অনুরাগীরাই সাকিব-লিটনের প্রশংসায় মেতেছেন, বিষয়টি তেমন নয় মোটেও। এ ধারা থেকে বাদ যাননি তরুণ অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের মা হোসনে আরা বেগমও। বাংলানিউজকে মুঠোফোনে বলছিলেন সেই কথাই।
‘সাকিব-তামিম-মুশফিক-লিটনরাও আমার সন্তান। আমি মোসাদ্দেকের ব্যাটিং যেমন পছন্দ করি, ওর জন্য যেমন কায়মনো বাক্যে প্রার্থনা করি ঠিক তেমনি বাংলাদেশের ক্রিকেট দলের প্রতিটি সদস্যই যেন বিশ্বকাপে নিজেদের স্বমহিমায় উপস্থাপন করতে পারে সেই দোয়াই করি প্রতিমুহুর্তে। ’
তিনি বলেন, ‘মোসাদ্দেক-মাহমুদউল্লাহও ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেলে ভালো করতো। সামনের দিনগুলোতে ওরাও ভাল করবে, বাংলাদেশের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তবে উইন্ডিজ আর ক’টা রান করতে পারলে লিটনের সেঞ্চুরি হলে এক ম্যাচে দুই সেঞ্চুরির রেকর্ডও বাংলাদেশের হতো। ’ আক্ষেপ নিয়েই যেন কথা শেষ করলেন মোসাদ্দেকের মা।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৪০ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১৯
এমএএএম/এইচএ/