এর আগে গত সপ্তাহে হাঁটুর ইনজুরির কারণে শাহজাদকে বিশ্বকাপ থেকে বাদ দেওয়া হয়। পরে তার স্থলাভিষিক্ত হিসেবে নেওয়া হয় ইকরাম আলী খিলকে।
আসর শুরুর আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে চোট পেয়ে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। তবে তিনি মূল আসরে অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলেছিলেন।
এদিকে এসিবির প্রধান নির্বাহী আসাদুল্লাহ খান জানান, খেলার মতো যথেষ্ট ফিটনেস নেই তার। কিন্তু ৩২ বছর বয়সী এই তারকা জোর দিয়ে বলছেন ব্যাপারটা অন্য কিছু।
ইংল্যান্ড থেকে নিজ দেশে ফেরার পর শাহজাদ বলেন, ‘আমি লন্ডনে একজন ডাক্তারের কাছে যাই ও তিনি আমার হাঁটুতে কোনো তরল জাতীয় কিছু প্রবেশ করান। আমাকে একটি পিল দেওয়া হয় আর বলেন, দুই-তিন দিন বিশ্রাম নিলেই আমি খেলতে পারবো। ’
‘আমার অনুশীলন ছিল, এরমধ্যে বোলিং, ব্যাটিং ও কিপিং সেশন ছিল। পরে আমি সতীর্থদের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজও করি এবং টিম বাসে গিয়ে বসে দেখি আমার ফোনে আইসিসি থেকে একটি প্রেস রিলিজ এসেছে যে, আমি বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়েছি। সেসময় আমি বুঝলাম আমি আনফিট। ’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি ম্যানেজারকে বিষয়টি জানালাম, সে আমাকে বললেন, ফোন পকেটে রাখো ও ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলো। অথচ ডাক্তার আমার দিকে অসহায়ভাবে চেয়ে রইলেন ও বলছেন আমার কিছু করার নেই। ’
‘আমি জানি না কি সমস্যা হয়েছে। তাদের যদি কোনো সমস্যা হতো তবে আমাকে জানানো উচিত ছিল। তারা যদি আমাকে খেলাতে না চায়, তবে আমি ক্রিকেটকে বিদায় জানাবো। ’
শাহজাদ আরও যোগ করেন, ‘ক্রিকেটে আমি আর নিজেকে দেখি না। বিশ্বকাপে খেলা স্বপ্নে মতো বিষয়। ২০১৫ বিশ্বকাপেও ফিটনেসের ঘাটতির কারণে আমাকে বাদ দেওয়া হয়েছিল, এবারও হলো। আমি আমার বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে আলাপ করে যাচ্ছি। আমার মন আর ক্রিকেটে নেই। ’
বাংলাদেশ সময়: ১০৪২ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০১৯
এমএমএস