কেনিংটন ওভালে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে ম্যাচেতো রস টেইলরের চক্ষু চড়কগাছ! ২৫ হাজার ধারণক্ষমতার স্টেডিয়ামে ২০ হাজারই ছিল টাইগারদের সমর্থক। যেন ঢাকায় বা চট্টগ্রামে খেলা হচ্ছে, এমনটাই মনে করেছিলেন টেইলর।
বাংলাদেশি সমর্থকদের নিয়ে এবার চিন্তায় পড়েছে ইংল্যান্ড। বাংলাদেশি দর্শকদের উল্লাস ও চিৎকারকেও বড় প্রতিপক্ষ মনে করছেন ইংলিশরা। ম্যাচে বাংলাদেশের সমর্থকেদের উল্লাস-হৈচৈ তাদের মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে বলে গার্ডিয়ানকে জানিয়েছেন ইংলিশ বোলার লিয়াম প্লাঙ্কেট।
শনিবার (০৮ জুন) বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৩টায় স্বাগতিক ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপে দুই দলের এটি তৃতীয় ম্যাচ। কার্ডিফের ১৫ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন সোফিয়া গার্ডেন্সে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ম্যাচটির আগে বাংলাদেশি দর্শকদের হৈচৈ করা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন প্লাঙ্কেট।
ইংলিশ পেসার বলেন, ‘পাকিস্তানিরা এসব করতে খুব পছন্দ করে। তাদের দর্শকরা খুব হৈচৈ করে। যখন তারা ম্যাচে থাকে তখন এসব বেশি করে। একইভাবে বাংলাদেশ, ভারতের দর্শকরাও হৈচৈ করার ক্ষেত্রে খুব দক্ষ। আসলে তারা এভাবে ক্রিকেট উপভোগ করতে অভ্যস্ত। ’
তবে ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররা হৈচৈ এর মধ্যে খেলতে অভ্যস্তও মনে করেন প্লাঙ্কেট, ‘কিন্তু আমরা একটি বড় প্রতিযোগিতায় খেলছি। আমাদের খেলোয়াড়রা প্রচুর দর্শকদের সামনে আইপিএল-বিগ ব্যাশ খেলে অভ্যস্ত। এটা তেমন ঝামেলার হবে না। ’
ওয়েলসের রাজধানী কার্ডিফে কখনো হারেনি বাংলাদেশ। এই মাঠেই ২০০৫ সালে মোহাম্মদ আশরাফুলের অবিস্মরণীয় সেঞ্চুরিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয় পেয়েছিল টাইগাররা। ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে হারিয়েছিল নিউজিল্যান্ডকে।
সোফিয়া গার্ডেন্সের লড়াইয়ের আগে ইতিহাসও স্বপ্ন দেখাচ্ছে মাশরাফি-সাকিবদের। গত দুই বিশ্বকাপে (২০১১ ও ২০১৫) ইংল্যান্ড জিততে পারেনি টাইগারদের বিপক্ষে। গত বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে হারিয়েই বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোয়ার্টার ফাইনালে পা রাখে বাংলাদেশ।
সেই স্মৃতি এখনো তরতাজা প্লাঙ্কেটের মনে, ‘ভীষণ ধাক্কা খেয়েছিলাম যখন বাংলাদেশ আমাদের হারালো। অবশ্য বড় প্রতিযোগিতায় এমন ঘটতে পারে। ’
অবশ্য বাংলাদেশ নিয়ে প্রশংসাও ছিল তার কণ্ঠে, ‘তাদের (বাংলাদেশ) স্কোয়াড় অত্যন্ত শক্তিশালী। তাদের প্রচুর খেলোয়াড় আর্ন্তজাতিক ম্যাচ ও বিপিএল খেলেছে। গত কয়েক বছর ধরে তারা নিজেদের নির্মাণ করেছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৯ ঘণ্টা, জুন ০৭, ২০১৯
ইউবি