এই রিপোর্ট লেখা পযর্ন্ত বাংলাদেশের দেয়া ২৪৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৭ ওভার শেষে ১ উইকেট হারিয়ে ৫০ রান করেছে নিউজিল্যান্ড। জিততে হলে ৪৩ ওভারে কিউইদের করতে হবে আরো ১৯৫ রান।
এর আগে ২০১৯ বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৪৯.২ ওভার শেষে ১০ উইকেট হারিয়ে ২৪৪ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ।
দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানোর আত্মবিশ্বাস নিয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অভিযান শুরু করে বাংলাদেশ। ০৫ জুন (বুধবার) লন্ডনের ওভালে টসে হেরে শুরুটা দুর্দান্ত করে টাইগাররা। ওপেনিং জুটিতে শুভ সূচনা এনে দেন তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার।
ভয়ঙ্কর হয়ে উঠার আগে দলীয় ৪৫ রানে সৌম্যকে (২৫) বোল্ড করেন ম্যাট হেনরি। স্কোরবোর্ডে ৬০ রান উঠতেই তামিমকে (২৪) হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ।
তবে গত ম্যাচের মতো এবারও দলের হাল ধরেন সাকিব আল হাসান এবং মুশফিকুর রহীম। দু’জনের ৫০ রানের জুটি ভাঙে ভুল বুঝাবুঝিতে। সিঙ্গেল নিতে গিয়ে রান আউটের শিকার হোন মুশফিক। মুশি ফিরেন ১৯ রানে। সাকিব-মুশফিক জুটিতে বাংলাদেশ পার করে দেড়’শ রান।
স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে ব্যাটিং করে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ২০০তম ম্যাচ খেলতে নেমে ৪৪তম হাফসেঞ্চুরি করেন সাকিব। ২০১৯ বিশ্বকাপে এটি তার টানা দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরি। কিন্তু ক্রিজে থিতু হয়েও টম লাথামের বলে তিনি ক্যাচ দিয়ে বসেন কলিন ডি গ্রান্ডহোমকে। তার ৬৮ বলে ৬৪ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৭ চারে।
এরপরে আর কেউ তেমন আশা জাগানিয়া ব্যাট করতে পারেনি। ভরসা হিসেবে থাকা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৪১ বলে ২০ রান করে ফিরেন মিচেল স্যান্টনারের বলে। তার আগে ২৬ রান করে ফিরেন মোহাম্মদ মিঠুন।
ছোট ছোট জুটি গড়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পথে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত (১১) রানে আউট হোন ট্রেন্ট বোল্ট। তবে ঝড় তুলেন আটে নেমে ঝড় তুলেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ২৩ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ২৯ রান করেন তিনি।
শেষদিকে রান তুলতে গিয়ে দ্রুত ফিরে যান মেহেদী হাসান মিরাজ (৭), মাশরাফি বিন মর্তুজা (১)। শূন্য রানে অপরাজিত ছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে ৯.২ ওভার বল করে ৪৭ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন হেনরি। বোল্ট নিয়েছেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট ভাগাভাগি করে নেন লকি ফার্গুসন, গ্রান্ডহোম ও স্যান্টনার।
বাংলাদেশ সময়: ২৩১০ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০১৯
ইউবি