বাংলাদেশের ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বোচ্চ জয়ের রেকর্ড এমনিতেই মাশরাফির দখলে। এবার বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ জয়ের রেকর্ডের মালিকও হয়ে গেলেন তিনি।
এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত ২০০৭ বিশ্বকাপে হাবিবুল বাশারের নেতৃত্বে ৯ ম্যাচ খেলে ৩টিতে জয়ের দেখা পেয়েছিল বাংলাদেশ। ২০১১ বিশ্বকাপে সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে এসেছিল ৬ ম্যাচে ৩টি জয়। ২০১৫ বিশ্বকাপে মাশরাফির নেতৃত্বেও এসেছিল ৩ জয়। যদিও সেবার দলের ৬ ম্যাচের ৫টিতে খেলেছেন তিনি (১টিতে নিষেধাজ্ঞার কারণে ছিলেন না)।
এছাড়া বিগত ৪ বিশ্বকাপে ভিন্ন ভিন্ন অধিনায়কের নেতৃত্বে খেলেছে বাংলাদেশ। মাশরাফিই একমাত্র অধিনায়ক যিনি ২ বিশ্বকাপে টাইগারদের নেতৃত্ব দেওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করলেন।
একই ম্যাচে ব্যাটিংয়ে দলীয় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭৫ রান করার পর বোলিংয়ে উজ্জ্বল ছিলেন সাকিব। ১০ ওভারে ৫০ রানের বিনিময়ে তুলে নেন একটি উইকেট।
প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে নিজের চতুর্থ বিশ্বকাপ খেলতে নামেন সাকিব। অলরাউন্ডারের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের সেরা মঞ্চটা পেলেন সেরা জায়গাতেই। ওয়ানডেতে ৫০০০ রান ও ২৫০ উইকেটে ‘ডাবল’ আছে মাত্র চার জন ক্রিকেটারে। এইডেন মার্করামকে আউট করে সেই ডাবলের মালিক হলেন সাকিব।
দ্রুততম সময়ে এই কীর্তি গড়ে ছাড়িয়ে গেছেন সবাইকে। সাকিব এই বিরল রেকর্ড করেছেন ১৯৯ ম্যাচে।
এছাড়া অলরাউন্ডার হিসেবে আরও একটি রেকর্ডের মালিক হয়েছেন সাকিব। ব্যাট হাতে মাঠে নামা মাত্রই এই রেকর্ড গড়েন তিনি। প্রথম অলরাউন্ডার হিসেবে র্যাংকিংয়ের শীর্ষে থেকে তিনটি বিশ্বকাপ খেলেন সাকিব।
এদিকে আরও একটি কীর্তি গড়েছেন সাকিব। দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি তিন ফরম্যাট মিলে ১১ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি।
এছাড়া ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে টানা চার বিশ্বকাপ আসরে নিজেদের উদ্ধোধনী ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি করলেন বিশ্বের এই সেরা অলরাউন্ডার।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৯ ঘণ্টা, জুন ০৩, ২০১৯
এমএইচএম