তবে ওয়ানডেতে এক ইনিংসে চার-ছয় ছাড়া সবচেয়ে বেশি রান সংগ্রহ করেছেন যে সেরা পাঁচ ব্যাটসম্যান, এই প্রতিবেদনে জানবো তাদের সর্ম্পকেই।
০১. অ্যাডাম প্যারোরে, নিউজিল্যান্ড (৯৬ রান):
নিউজিল্যান্ডের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান অ্যাডাম প্যারোরে।
০২. জহির আব্বাস, পাকিস্তান (৮৪ রান):
পাকিস্তানের কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান জহির আব্বাস ব্যাটসম্যান হিসেবে বেশ আক্রমণাত্মক ছিলেন। তবে ১৯৮২ সালের ৯ই জানুয়ারি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মেলবোর্নের ম্যাচে জহির আব্বাস চার-ছয় হাঁকানোর চেয়ে উইকেটে টিকে থেকে দলের রান সংগ্রহ বাড়ানোর দিকেই বেশি মনোযোগী ছিলেন। তিন নাম্বারে ব্যাট করতে নেমে দলের হাল ধরেন জহির আব্বাস। মেলবোর্নের বড় মাঠে চার-ছয় হাঁকানোর চেয়ে সিঙ্গেলস এবং ডাবলসের প্রতি বেশি মনোযোগ দেন তিনি। দলীয় ১৯৩ রানের মাথায় রান আউট হয়ে দলের ৫ম ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফিরলে তার নামের পাশে ৮৪ রান জমা হয়েছিল। ১১৩ বলে ৮৪ রানের ইনিংস খেলতে তিনি কোনো চার-ছয় হাঁকাননি। চার-ছয় ছাড়াও তার স্ট্রাইক রেট ছিল ৭৪.৩৩।
০৩. কিম বার্নেট, ইংল্যান্ড (৮৪ রান):
১৯৮৮ সালের ৪ঠা সেপ্টেম্বর, লন্ডনে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একমাত্র ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয় ইংল্যান্ড। ৫৫ ওভারের ওয়ানডে ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে শ্রীলঙ্কা ৭ উইকেটে ২৪২ রান সংগ্রহ করে। ইংল্যান্ডের হয়ে ২৪৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা কিম বার্নেট। তিনি ধীরগতিতে ব্যাট করলেও নিজের উইকেট হারাননি। তৃতীয় উইকেট জুটিতে তিনি অ্যালান লাম্বের সাথে ১১৮ রান যোগ করেছিলেন। কিম বার্নেট দলীয় ২১৩ রানের মাথায় রান আউট হওয়ার আগে ১৪৬ বল খেলে ৮৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। তার ইনিংসে কোনো চার-ছয়ের মার ছিল না। আলতো হাতে খেলে রান তোলার দিকেই বেশি মনোযোগী ছিলেন তিনি।
০৪. ডেসমন্ড হেইন্স, ওয়েস্ট ইন্ডিজ (৭৬ রান):
ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান ডেসমন্ড হেইন্স সে সময়ের সোনালী যুগের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান ছিলেন। ক্যারিবিয়ানদের হয়ে ওয়ানডে ফরম্যাটে ম্যাচ খেলেছেন ২৩৮টি। এর মধ্যে ১৭টি শতক এবং ৫৭টি অর্ধশতকের সাহায্যে ৪১.৩৭ বোলিং গড়ে ৮,৬৪৮ রান সংগ্রহ করেছেন। ১৯৮৫ সালের শুরুতে অস্ট্রেলিয়া, ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং শ্রীলঙ্কার মধ্যে ত্রিদেশীয় সিরিজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ফাইনাল খেলেন অস্ট্রেলিয়া এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১২ই ফেব্রুয়ারি সিডনিতে তৃতীয় ফাইনালে টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এ ম্যাচেই দুই ব্যাটসম্যানের বিদায়ের পর দলের হাল ধরেন ডেসমন্ড হেইন্স এবং ভিভ রিচার্ডস। তারা তৃতীয় উইকেট জুটিতে ১২৮ রান সংগ্রহ করেন। ভিভ রিচার্ডস ৭৬ রান করে ফিরে গেলেও হেইন্স অপরাজিত ৭৬ রানের ইনিংস খেলে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছান। কোনোরকম তাড়াহুড়ো না করে ১৩৩ বলে ৭৬ রানের ইনিংস খেলেছিলেন হেইন্স। তার ইনিংসে কোনো চার-ছয়ের মার ছিল না। তাই তো তার ঠাণ্ডা মাথার ব্যাটিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭ উইকেটের জয় তুলে নিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের শিরোপা জেতে।
০৫. আশিষ বাগাই, কানাডা (৭৪ রান):
২০০৭ সালের ৩০শে জানুয়ারি নাইরোবিতে আইসিসি বিশ্ব ক্রিকেট লিগের প্রথম বিভাগের দ্বিতীয় ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হয় কানাডা। টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামা কানাডা শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। তবে শেষ পযর্ন্ত কানাডাকে দু'শো রানের পুঁজি এনে দিতে সবচেয়ে বড় অবদান রাখেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান আশিষ বাগাই। তিনি দলের বিপর্যয়ের মুখে একপ্রান্ত আগলে রেখে ১১৭ বলে ৭৪ রানের ইনিংস খেলেন। কোনো চার-ছয় না হাঁকিয়ে শুধুমাত্র সিঙ্গেলস এবং ডাবলসের উপর ভর করে এই রান করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৮ ঘণ্টা, জুন ০২, ২০১৯
এইচএমএস/ইউবি