সম্প্রতি আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে শিরোপা জেতে বাংলাদেশ। এরই মধ্যে ইংল্যান্ডেও চলে গেছেন দলের বেশিরভাগ সদস্য।
এমন একটি দলকে কোনো দিক দিয়েই সহজভাবে নিতে নারাজ ভারতের সাবেক বোলার ও কোচ অনিল কুম্বলে। তবে কী করলে বড় বড় দলকে ডিঙিয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছাতে পারবে বাংলাদেশ সে পথও বাতলে দিয়েছেন এই কিংবদন্তি স্পিনার। পাশাপাশি মাশরাফির অধিনায়কত্বকেও প্রশংসায় ভাসান।
ক্রিকেট নেক্সট নামে এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে কুম্বলে বলেন, ‘কোনোভাবেই বাংলাদেশকে সহজ হিসেবে নেওয়া যাবে না। গেলো কয়েক বছরে তারা আসলেই দারুণ দারুণ খেলছে। মাশরাফি বিন মর্তুজা একজন দুর্দান্ত অধিনায়ক। সে দলের সবাইকে এক করে রাখে এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়। যখন সে অধিনায়কত্ব করে তখন অন্যরকম বাংলাদেশকে দেখা যায়। ’
‘নক আউট পর্বে তারা তাদের আসল রূপ ধরে রাখতে পারে না। এটাই বাংলাদেশের তাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এটা পার হতে হবে তাদের। তবেই সেমিফাইনাল অব্দি পৌঁছানো সহজ হবে। ধারাবাহিকতা মূল ব্যাপার। এবার বিশ্বকাপের যে সূচি, ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে বাংলাদেশ সেরা চারে যাবে। ’
দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের প্রশংসা করে ভারতের সাবেক এ কোচ বলেন, ‘তামিম এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম সেরা ওপেনার। নিয়মিত রান করে চলেছে। সাকিব বিশ্ব ক্রিকেটে দুর্দান্ত এক অলরাউন্ডার। তার ১০ ওভার বোলিং ও ব্যাটিং খুব গুরুত্বপূর্ণ। মুশফিক-মাহমুদউল্লাহর ম্যাচ শেষ করে আসে। ওদের দারুণ সব খেলোয়াড় আছে। ’
দলের প্রসংসার পাশাপাশি কুম্বলের আলোচনায় উঠে আসে মোস্তাফিজুর রহমানের কিছুটা নির্জীব হয়ে পড়াও। তবে কিভাবে আবারও ধারালো হয়ে উঠতে পারেন বাংলাদেশি এই বাঁহাতি কাটার মাস্টার তারও পরামর্শ দিলেন কুম্বলে।
বলেন, মোস্তাফিজ শুরুতে জাদুকরি স্লোয়ার বল দিতে পারত। অনেক ব্যাটসম্যান যেটা পড়তে পারত না। যে কারণেই হোক ওর গতি কমে গেছে। এবার বিশ্বকাপে সে শুরুটা কেমন করে সেটির ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। ভালোই চ্যালেঞ্জিং হবে ওর জন্য। তবে একাদশে বাঁহাতি পেসার পাওয়াটা সব সময়ই একটা বাড়তি সুবিধা। মোস্তাফিজের সামর্থ্য আছে। সে যদি নিজের বোলিংটা করতে পারে, পুরোনো মোস্তাফিজকে ফিরিয়ে আনতে পারে, বাংলাদেশ ভীষণ বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে যেকোনো দলের জন্যই। ’
৩০ তারিখ থেকে বিশ্বকাপ শুরু হলেও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ২ জুন শুরু হবে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৬ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৯
এমকেএম/এমএমএস