কেবল পতাকা নয়, লিওনেল মেসি-ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো-নেইমার-মোহামেদ সালাহ ও তাদের দলের জন্য এখন বিশ্বের আনাচে-কানাচে শোভা পাচ্ছে নানা দৃষ্টিনন্দন চিত্রকর্ম। বড় বড় শহরগুলোর দেয়ালে দেয়ালে এই চিত্রকর্ম দেখলে মনে হবে, বিশ্বকাপটা যেন এ শহরেই হচ্ছে।
কে ভাবতে পারেন, রাশিয়ার ছোট্ট এক শহরে মেসির বিশালাকার এক চিত্রকর্ম, বা যুক্তরাষ্ট্রের টাইমস স্কোয়ারে সালাহর দেয়ালজোড়া চিত্রকর্ম! হ্যাঁ, এখন এমনটাই দেখা যাচ্ছে বিশ্বকাপের আয়োজক রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, এমনকি সুদূর বাংলাদেশেও।
মস্কোর কাছেই ছোট্ট এক শহর ব্রনিস্টি। এ শহরেই পাঁচটি বাড়ি মিলিয়ে আঁকা হয়েছে মেসির একটি ম্যুরাল। ছবি আঁকা শেষে এর শিল্পী সারগে এরোফেভ বলেন, ‘যখন আমি এই ছবি আঁকি, আমার শুধু মাথায় ছিলো আমি একজন কিংবদন্তিকে আঁকছি। ’
এই ব্রনিস্টি শহরেই বিশ্বকাপ উপলক্ষে ২ দিন অনুশীলন ক্যাম্প ফেলেছিলো আর্জেন্টিনা। সারগে বলেন, ‘আশা করি চলার পথে মেসি আমার এই চিত্রকর্ম দেখেছেন। ওটাই আমার পাওয়া। ’
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় অনেক ব্রাজিলিয়ানের বাস। সেখানেই থাকেন ব্রান্ডন ওডামস। তার হাতেই মিয়ামিতে আঁকা হয়েছে নেইমারের ১০ হাজার স্কয়ার ফুট আয়তনের এক চিত্রকর্ম। ওডামস বলেন, ‘যখন আপনি আমেরিকার মিয়ামি শহরের কথা চিন্তা করবেন, আপনার চোখের সামনে রং চলে আসবে। আপনার শুধুই আঁকতে ইচ্ছা করবে। এটাই আমাদের লাতিন আমেরিকানদের প্রধান কাজ। এখানেই নেইমারের ছবি আঁকার জন্য সঠিক জায়গা। ’
যুক্তরাষ্ট্রেরই নিউইয়র্কের টাইমস স্কয়ারে এখন শোভা পাচ্ছে মিশরীয় তারকা সালাহর বিশাল এক চিত্রকর্ম। এই চিত্রকর্ম নিজের চোখেই দেখেছেন সালাহ। অবাক হয়ে বলেছেন, ‘একজন ফুটবলার হিসেবে এমন ভিন্ন কিছু দেখা জীবনে দারুণ এক অভিজ্ঞতা। ’
শুধু ব্রনিস্টি, নিউইয়র্ক বা মিয়ামিই নয়, এ ধরনের আঁকিবুকি দেখা যাচ্ছে এশিয়ার দেশ বাংলাদেশ বা ভারতেও। ভারতের এক রেস্টুরেন্টের মালিক শিব শংকর পাত্র নিজেই তৈরি করে ফেলেছেন ‘আর্জেন্টিনা রেস্টুরেন্ট’। শুধু মেসির ভালোবাসা থেকেই তার এই কাজ। বলেন, ‘আমি মদ্যপান বা ধূমপান করি না। আমার একমাত্র নেশা লিওনেল মেসি। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৮
এমকেএম/এইচএ