রোববার (১৫ জুলাই) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত দিনব্যাপী কর্মবিরতি দিয়ে পরিদফতর ভেতরে এ বিক্ষোভ-মিছিল ও সমাবেশ করেন তারা।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- ছালাউদ্দিন, আবু তাহের, মো. দুলাল, মহসীন, শাহজাহান, মো. সাজু, আল আমিন, মো. শাহীন, এরশাদুল হক এরশাদ, শফিকুল ইসলাম, পারভীন আক্তার মালা, আলী ইমরান, মো. সজল, হাজেরা খাতুন টুম্পা প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অর্ন্তগত ড্রেজার পরিদফতর একটি কেপিআইভুক্ত ঐতিহ্যবাহী খনন সংস্থা। এখানে দীর্ঘদিন ধরে স্থায়ী জনবল নিয়োগ না হওয়ায় দৈনিক ভিত্তিক অনিয়মিত অভিজ্ঞ শ্রমিক বা কর্মচারীদের মাধ্যমে বিভিন্ন শূণ্যপদের অনুকূলে দাফতরিক কাজকর্ম এবং ড্রেজিং কাজের মতো গুরুত্বপূর্ণ খনন কাজ পরিচালনা করা হচ্ছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয় এখানে ২০-২৫ বছর ধরে নিষ্ঠার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে আসলেও এ সব অভিজ্ঞ শ্রমিক বা কর্মচারীদের কাউকেই স্থায়ী করা হয়নি। বরং তাদের ছাঁটাইয়ের পায়তারা করছে।
তারা আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেখানে ঘরে ঘরে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সেখানে প্রশাসনের কতিপয় অনভিজ্ঞ ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা তার ভাবমূর্তি নষ্ট করতে শ্রমিক ছাঁটাইয়ের মতো ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
সিভিল ইঞ্জিনিয়ার মো. সামছুদ্দিন আহম্মেদ গত মাসে ঘোষণা দেন, আগামী আগস্ট মাস থেকে অনিয়মিত ২০৬ জন কর্মচারীকে বেতন দেওয়া হবে না। তাদের এহেন ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতির পরিপন্থি। দীর্ঘদিন কর্মরত থাকা এসব শ্রমিকরা চাকরি হারালে তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে না খেয়ে দিন-যাপন করতে হবে।
এছাড়া নির্বাচন আসন্ন তাই এ ধরনের সিদ্ধান্ত সরকারের কাছে আত্মঘাতী হবে। তাই সরকারের কাছে আমাদের জোর দাবি শ্রমিকদের ছাঁটাই না করে তাদের স্থায়ীকরণ করতে হবে। অন্যথায় শ্রমিকরা লাগাতার আন্দোলন করতে বাধ্য হবে বলেও জানান বক্তরা।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১৮
ওএইচ/
