ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

আগরতলা

বাংলাদেশ-ত্রিপুরায় নৌ যোগাযোগ শিগগির: বিপ্লব

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১৪ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১৯
বাংলাদেশ-ত্রিপুরায় নৌ যোগাযোগ শিগগির: বিপ্লব ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। 

আগরতলা (ত্রিপুরা): আগামী তিন মাসের মধ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে ত্রিপুরার নৌ-পরিবহন সেবা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। 

দেশের রাজধানী দিল্লি সফর শেষে মঙ্গলবার (১৮ জুন) রাজ্যে ফিরে সাংবাদিকদের তিনি এমনটাই জানিয়েছেন।  

গত ১৫ জুন ভারতের রাজধানী দিল্লিতে ভারত সরকারের নীতি নির্ধারক সংস্থার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভারত সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী। এই বৈঠকে যোগ দেন ত্রিপুরা মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।  

ওই বৈঠকে যোগ দেওয়ার পর রাজ্যে ফিরে সাংবাদিকদের বিপ্লব দেব জানান, ওই বৈঠকে রাজ্যের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের আবেদন জানাই।  

এছাড়া রাজ্যের উন্নয়নমূলক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ছাড়াও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীদের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন তিনি।  

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ-সহ অন্যান্য মন্ত্রীদের সঙ্গে রাজ্যের উন্নয়নের বিষয়ে কথা হয়েছে। ত্রিপুরাকে মডেল রাজ্য তৈরির বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন তারা সবাই।  

তিনি বলেন, বৈঠকে বাংলাদেশের সঙ্গে ত্রিপুরা রাজ্যের সিপাহীজলা জেলার সোনামুড়া পর্যন্ত নৌ যোগাযোগ চালুর বিষয়ে অলোচনা হয়েছে। নদীর পাড়ে স্থায়ী জেটি নির্মাণসহ অন্যান্য কাঠামো উন্নয়নে আড়াই থেকে তিন বছর সময় লাগে।  

‘যেহেতু উভয় দেশ নৌপথে যোগাযোগ বিষয়ে সম্মত হয়েছে, তাই আপাতত অস্থায়ী জেটি নির্মাণ করে আগামী তিন মাসের মধ্যে দু’দেশের মধ্যে নৌপরিবহন সেবা শুরু করা হবে। পাশাপাশি স্থায়ী জেটি নির্মাণ কাজ চলবে। ’

বিপ্লব দেব বলেন, এই পরিবহন সেবা চালু হলে বাংলাদেশ ও ত্রিপুরার জনগণ সড়ক পথের পাশাপাশি নৌপথেও গোমতী নদী দিয়ে যাতায়াত করতে পারবেন। সেই সঙ্গে চলবে পণ্য পরিবহনও।  

‘এতে উভয় দেশের মানুষ আর্থিকভাবে লাভবান হবেন। পাশাপাশি দুই দেশের মানুষের মধ্যে আত্মিক বন্ধনও আরো দৃঢ় হবে,’ যোগ করেন তিনি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৪ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১৯
এসসিএন/আরআইএস/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।