ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

পর্যটন

আলুটিলায় বৃষ্টির দিনে...

অপু দত্ত, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৪ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১৮
আলুটিলায় বৃষ্টির দিনে... আলুটিলার চূড়া। ছবি: বাংলানিউজ

খাগড়াছড়ি: যেন পাহাড়ের গায়ে মেঘ ভেসে বেড়ায়। গায়ে ছুয়ে যায় মেঘের আভা। আর বৃষ্টি হলে তো কথাই নেই। বেড়ানোর মজাই আলাদা। পাহাড় চূড়া থেকে বৃষ্টি ভেজা শহর দেখা কিংবা বৃষ্টির পানিতে ভেজার অনুভূতি প্রকাশ করা কষ্টসাধ্য ব্যাপার।

খাগড়াছড়ি শহর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরের আলুটিলায় বৃষ্টির দিনে বেড়ানোর গল্পটা এরচেয়েও আনন্দঘন উৎসবমুখর হতে পারে যেকোনো পর্যটকের কাছে। আর যদি পাহাড় চূড়া থেকে বৃষ্টি ভেজা না দেখতে পান তাহলে হয়তো অপূর্ণতা থেকে যাবে সফর!

এমন বৃষ্টির দিনে অনেকেই ছুটে যান সেখানে।

এবারের বৃষ্টিতেও প্রতিকূল আবহাওয়ার কথা ভুলে সুযোগ পেলে ঘুরতে আসা মানুষগুলো যান আলুটিলা আর রিছাংঝর্না এলাকায়। আলুটিলার চূড়া।                                          ছবি: বাংলানিউজঢাকা থেকে ঘুরতে এসেছিলেন লিখন মাহমুদ, ফারুক আহম্মেদ, আসিফ। পরিচয় সূত্রে তাদের সঙ্গে আলুটিলায় যাওয়ার সুযোগটা আমারও হয়েছিলো। তখনও আকাশে মেঘের ঘনঘটা। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ছিল। বাসে করে যাত্রা করে নামলাম আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রের সামনে। আলুটিলায় পৌঁছাতেই কেমন যেন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ে গেলাম আমরা।

আলুটিলার চূড়ায় যেতে যেতে মনে হয়েছে যেন মেঘের ভেলায় ভাসছি সবাই। হঠাৎ-ই নেমে আসে বৃষ্টি। এক পশলা দু’পশলা হতে হতে, ভারী বৃষ্টি নামলো। আমরা তখনো সেখানকার রেস্ট হাউজটিতে যাইনি।

চারিদিকে চোখ ফিরিয়ে তাকাতেই মনের জানালায় উঁকি দেয় স্বপ্নীল সব ভাবনা।

রেস্ট হাউজের উপরে উঠার অনুমতি পেতেই ভেজা শরীরে অন্যরকম উল্লাসের পরশ লাগে। কিছুটা বিশ্রামের ফাঁকে সেখান হতে খাগড়াছড়িকে দেখতে মনে হয়েছে স্বপ্নের মতো। এতো মনোমুগ্ধকর পর্যটন স্পট! কোথাও ঝুম বৃষ্টি, কোথাও মেঘ, কোথাও আবার রোদের খেলা।

পর্যটকরা জানালেন এমন অনুভুতির কথা। বান্দরবানের অনেক পর্যটন স্পট ঘুরেছি, গিয়েছি কক্সবাজার, রাঙামাটিও। আলুটিলার চূড়ায় বৃষ্টিতে বেড়ানো উপভোগ করেছি অন্যভাবে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৩ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১৮
এডি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।