ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

এভিয়াট্যুর

যাত্রীদের সুবিধা নিশ্চিত করছে ইউএস-বাংলা

মফিজুল সাদিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০১৭
যাত্রীদের সুবিধা নিশ্চিত করছে ইউএস-বাংলা ইউএস-বাংলা‘র একটি বোয়িং প্লেন

ঢাকা: ২৩ হাজার ফুট উচ্চতায় উঠে পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ এভারেস্টের ভয়ঙ্কর সৌন্দর্য দেখা সত্যিই রোমাঞ্চকর। গত বুধবার (০১ নভেম্বর) ইউএস-বাংলার ঢাকা-কাঠমান্ডু রুটের যাত্রী হয়ে এ অনন্য অভিজ্ঞতাই অর্জিত হলো। 

হযরত শাহ্‌জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে হিমালয় কন্যা নেপালের রাজধানীর উদ্দেশ্যে ছাড়া বিএস ২১১ ফ্লাইটের একটি সিটও খালি নেই। সকল প্রক্রিয়া শেষে ঘড়ির কাটায় ১২টা ৩০ মিনিট বাজতেই রানওয়ে ছুঁয়ে যায় ইউএস-বাংলার চাকা।

ওড়ার ১০ মিনিটের মধ্যেই খাবার পরিবেশন করা হয়।  

ইউএস-বাংলার কেবিন ক্রু জাহিদ মুস্তাইন আহমেদ ও তামান্না ফেরদৌসের আতিথেয়তায়ও মুগ্ধ যাত্রীরা। ভ্রমণকালে সিট বেল্ট বাঁধা থেকে শুরু করে সকল ধরনের সহযোগিতায় হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন ওই দু’জন কেবিন ক্রু। ঢাকা-কাঠমান্ডু রুটের যাত্রীদের সুবিধা নিশ্চিতে নিজেদের নিয়োজিত রেখেছেন ভ্রমণের পুরোটা সময়।  

ভ্রমণের সময় ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট নির্ধারিত থাকলেও বাতাসের প্রতিকূলতায় সময় কিছুটা বেশি লাগে।  দেশটির একমাত্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্রিভূবন এয়ারপোর্টে পৌঁছানোর ২০ মিনিট আগেই যাত্রীদের সুখবর দিলেন  বিএস ২১১ ফ্লাইটের পাইলট ইন কমান্ড ক্যাপ্টেন এ এ এম শামসুজাহান ও কো-পাইলট তাসফিন আলম।
 
ক্যাপ্টেন এ এ এম শামসুজাহান বলেন, ‘আমরা এখন হিমালয়ের খুব কাছাকাছি। যেসব যাত্রী ডানদিকের সিটে বসে আছেন, তারা হিমালয়ের সর্বোচ্চ চূড়া মাউন্ট এভারেস্ট দেখতে পারেন। আমরা এখন ২৩ হাজার ফুট উচ্চতায় আছি’।
 
এ ঘোষণা আসামাত্রই যাত্রীরা নড়ে-চড়ে বসেন এবং চোখ বুলিয়ে যান হিমালয়ের চূড়ায়। মুগ্ধ হন হিমালয় পর্বতমালা দেখে। খুব কাছ থেকে ইউএস-বাংলার যাত্রীরা উপভোগ করেন পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ এভারেস্টের ভয়ঙ্কর সৌন্দর্যও।  

অভ্যন্তরীণ রুটের সফলতার পর আন্তর্জাতিক রুটেও সুনাম কুড়াচ্ছে ইউএস-বাংলা। গত বছরের ১৫ মে থেকে ঢাকা-কাঠমান্ডু রুটে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরুর পর থেকে এ সুনাম ধরে রেখেছে বেসরকারি এয়ারলাইন্সটি।
 
প্রথমে সপ্তাহে তিনটি ফ্লাইট থাকলেও এখন বেড়ে হয়েছে চারটি। ঢাকা-কাঠমান্ডু রুটে ওই চারটি ফ্লাইট পরিচালিত হয় রোববার, সোমবার, বুধবার ও শুক্রবার। সব ফ্লাইটই থাকে যাত্রীতে ঠাসা, একটি আসনও ফাঁকা থাকে না।  

ইউএস-বাংলার ফ্লাইটে এখন মাত্র ১৫ হাজার ১০২ টাকায় ঢাকা-কাঠমান্ডু-ঢাকা রুটে যাতায়াত করতে পারছেন যাত্রীরা।
 
বর্তমানে নেপালে চলছে পর্যটন সময়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের যাত্রীদের টানছে হিমালয়। ফলে ত্রিভূবন এয়ারপোর্টে সব সময় লেগে থাকছে ট্রাফিকজট। যে কারণে ২০ মিনিট কাঠমান্ডু শহরের ওপরে ঘুরতে থাকে ইউএস-বাংলার ওই ফ্লাইটটিও। এতেও বাড়তি আনন্দ উপভোগ করেন যাত্রীরা। এ সময় আকাশ থেকে মনে হয়, বড় মায়াজালে কাঠমান্ডুকে বেঁধে রেখেছে অসংখ্য পর্বতমালা।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৮৩১ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৭ 
এমআইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।