ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

এভিয়াট্যুর

প্লেন ভাড়া বেড়ে ডাবল-ট্রিপল!

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৩৩ ঘণ্টা, জুন ৮, ২০১৭
প্লেন ভাড়া বেড়ে ডাবল-ট্রিপল! বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স থেকে শুরু করে প্রাইভেট সব ক’টি এয়ারলাইন্স বাড়িয়েছে টিকিটের দাম

ঢাকা: প্লেন টিকিটওয়ালারা বা এয়ারলাইন্সগুলোর এখন বাম্পার অবস্থা। ঈদকে সামনে রেখে বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক রুটে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে সারা বছরের গড় ভাড়ার ডাবল-ট্রিপল। ঈদ উপলক্ষে দূরপাল্লার বাস ভাড়া বাড়লে চারদিকে শোরগোল শুরু হলেও প্লেনের ভাড়া বাড়ানোর এই বিষয়ে সবাই নীরব। 

জাতীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স থেকে শুরু করে প্রাইভেট সব ক’টি এয়ারলাইন্সে একই হাল। প্রত্যেকটি এয়ারলাইন্সে দ্বিগুণ-ত্রিগুণ করা হয়েছে টিকিটের মূল্য।

 

দেশের সবচেয়ে স্বল্প দূরত্বের রুট ঢাকা-যশোর। ১৮ থেকে ২২ মিনিট যাত্রার এই রুটে প্রাইভেট এয়ারলাইন্সগুলোতে স্বাভাবিক সময়ে সর্বনিম্ন ২ হাজার টাকায়ও টিকিট পাওয়া যায়। কিন্তু ঈদের সময়ে ভাড়ার শুরুই সাড়ে ৪ হাজার টাকা থেকে। অর্থাৎ সর্বনিম্ন টিকিটেরই ভাড়া বেড়ে গেছে প্রায় আড়াই হাজার টাকা।  

এয়ারলাইন্স ভেদে সর্বনিম্ন ভাড়ার অংকেও অনেক তারতম্য দেখা যাচ্ছে। কোনো কোনো এয়ারলাইন্সে সাড়ে ৫ হাজার টাকার নিচেই টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না। স্বাভাবিক সময়ে সর্বোচ্চ ভাড়া আদায় করা হয় সাড়ে ৫ থেকে সাড়ে ৬ হাজার টাকা। অথচ এখন সর্বনিম্ন ভাড়াই তা ছুঁয়ে গেছে, আর সর্বোচ্চ উঠে গেছে ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত।
 
ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটেও অবস্থা একই। এই রুটে সর্বনিম্ন ২৯শ’ টাকায় টিকিট পাওয়া যেতো। কিন্তু এখন টিকিট খুঁজতে গেলেই ৪ হাজারের নিচে কথা বলা যাচ্ছে না।
 
সমান অবস্থা ঢাকা-সৈয়দপুর ও ঢাকা-সিলেট রুটেও। এ ‍দুই রুটেও ঈদ উপলক্ষে দেড় থেকে দুইগুণ ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। ঢাকা-সৈয়দপুর রুটে অন্য সময়ে ৩২শ’ টাকায় টিকেট পাওয়া গেলেও ২০ জুনের পর নির্ধারিত ফ্লাইটগুলোতে ৫ হাজার টাকার নিচে কোনো টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না। সর্বোচ্চ ভাড়া সাড়ে ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করা হচ্ছে।
 
প্রাইভেট এয়ারলাইন্সগুলোর এই গলাকাটা ভাড়া নেওয়ার বাইরে নেই রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সও। বিমান বুধবার (৭ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। সেখানে তারা ১৮ জুন পর্যন্ত অফার দিয়েছে। তাদের এই বিজ্ঞপ্তির বার্তা হলো- ঈদে ঘরে ফেরার যাত্রা যখন শুরু হবে, তখন ছাড়ে কিংবা স্বাভাবিক দরে টিকেট পাওয়া যাবে না। ভাড়া গুণতে হবে অনেক বেশি।

কেন টিকিটের এই চড়ামূল্য? প্রশ্ন করা হলে এয়ারলাইন্সগুলোর জনসংযোগ বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ওয়ানওয়ে প্রায় শূন্য থাকে বলে তাদের এভাবে ভাড়া নির্ধারণ করতে হয়।

‍অবশ্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রাইভেট একটি এয়ারলাইন্সের এক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, অন্য সময় আমরা ছাড়ে টিকিট বিক্রি করি। কিন্তু ঈদ এলে যেহেতু এমনিতেই চাহিদা থাকে। তখন ছাড়ে বিক্রি করবো কেন?

আকাশপথে নিয়মিত যাতায়াতকারী মামুন ইকবাল নামে এক যাত্রী আক্ষেপ করে বলেন, এতো দিন জানতাম ঈদে বাস ও লঞ্চেই শুধু ভাড়া বাড়ে। এখন দেখছি এয়ালাইন্সগুলোও পিছিয়ে নেই।
 
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের এই গলাকাটার বিষয়টির লাগাম ‍টানবে বলে আশা প্রকাশ করেন মামুন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১১২৭ ঘণ্টা, জুন ০৮, ২০১৭
এসআই/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।