গ্রামের নাম গয়ড়া। যশোরের সীমান্ত-উপজেলা শার্শার বেনাপোল ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড। দক্ষিণে কন্যাদহ বাওড়, উত্তরে আমড়াখালি, পূর্বে লাউতাড়া আর পশ্চিমে ভারতের উত্তর চব্বিশ পরগণার বনগাঁ থানার জয়ন্তীপুর ও খয়রাখালি।
ড্রাইভিং সিটের হেলান দেওয়ার জায়গার এক খাবলা নেই। স্টিয়ারিংটি অনেকটা শূন্যে দাঁড়িয়ে। দরজা-জানলার কাচ সবই ভাঙা। চাকা দেবে আছে মাটিতে।
১৯৭১ সালের ৪ নভেম্বর। দিনভর বৃষ্টি রাতেও ছিল। অন্ধকারে মুহুরী নদীর পাড় ঘেঁষে পরশুরামে প্রবেশ করেন ১০ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সদস্যরা। দু’জন সেনা কর্মকর্তার অধীনে এদের মধ্যে বেশিরভাগই প্রশিক্ষিত ইপিআর সদস্য আর মুক্তিযোদ্ধা।
১৯৬৪ সালের ডিসেম্বর মাসের পড়ন্ত বিকেল। মাঠে ধানের চারা লাগানোর জন্য জমি তৈরি করছিলেন নরেন্দ্র মারাক। শেরপুরের ঝিনাইগাতির নকশি গ্রামে তখন পাহাড়ের নীরবতা। হঠাৎ চিৎকার চেঁচামেচি শুনে ছুটে গেলেন বাড়ির দিকে।
যে পিচঢালা পথ ধরে থপ থপ পা ফেলে গলা উঁচিয়ে রাজসিক রাজহাঁসের দল হাঁটছিলো, সে পথেই একদিন চলেছে হানাদার পাকিস্তানি সেনাদের যুক্তরাষ্ট্র নির্মিত যুদ্ধট্যাংক।
মুক্তিযুদ্ধ আমাদের হীরন্ময় অহঙ্কার। আমাদের সর্বোত্তম জয়ের স্মারক। এক সাগর রক্ত আর অনিঃশেষ অশ্রুর বিনিময়ে ডিসেম্বরে সূচিত হয় মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত জয়।
ফেনী নদীর উত্তরে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সাবরুম আর দক্ষিণে বাংলাদেশের রামগড় মহকুমা।