জোহানেসবার্গ: ডেনমার্কের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয় দিয়ে বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে জায়গা করে নিয়েছে জাপান। বিদেশের মাটিতে প্রথমবারের মতো শীর্ষ ১৬’তে উঠেছে ব্লু সামুরাইরা।
খেলা শেষে পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে কেইসুকি হোন্ডা বলেন,“জাপানিদের জন্য সত্যিই বড় সাফল্য। কিন্তু আমি অতটা খুশি নই। কারণ এখানেই থেমে যেতে চাই না। চেষ্টা করলে অনেক দূর যেতে পারবো আমরা। ’’
ডেনমার্কের গোলমুখ খুলে দিয়েছিলেন হোন্ডা। প্রথমার্ধে ফ্রি কিক থেকে দর্শনীয় গোল করে। তৃতীয় গোলের উৎসও তিনি। প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বদলি খেলোয়াড় শিনজি ওকাজাকিকে বল বানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।
দেশের মাটিতে ২০০২ সালের বিশ্বকাপে সবচেয়ে বড় সফলতা পেয়েছিল জাপান। প্রথমবারের মতো শীর্ষ ষোল’তে জায়গা করে নেয় তারা। কিন্তু এবার নকআউট পর্বে প্যারাগুয়েকে হারিয়ে আগের সাফল্যকে ছাড়িয়ে যেতে চায় ব্লু সামুরাইরা।
ডেনমার্কের বিপক্ষে বড় সাফল্য প্যারাগুয়েকে হারানোর সাহস যুগিয়েছে। আত্মবিশ্বাসী হোন্ডা বলেন,‘‘সত্যিকার অর্থেই একটা দলে পরিণত হয়েছি আমরা। যে দলের সবাই টুর্নামেন্টে সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখতে চায়। ’’
সিএসকে মস্কোর এই তারকা কোচ তাকেশি ওকাদার’ও ভূয়সী প্রশংসা করেন। দারুণ গেম পরিকল্পনা করেছিলেন কোচ। রক্ষণাত্মক খোলশ থেকে বেরিয়ে আক্রমণাত্মক খেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন খেলোয়াড়দেরকে। সুফলও পেয়েছে এশিয়ার দলটি।
কৌশল বদলে ফেলার রহস্য বলেন ওকাদা,“শুরুতে ডেনমার্ক আমাদেরকে কিছুটা চাপে ফেলেছিল। এরপরেই আমি খেলার ছক বদলে সফল হই। ভুল সিদ্ধান্ত নিলে ঝুকির মধ্যে পড়ে যেতাম। ’’
বাংলাদেশ সময়: ২১১৩ ঘন্টা. ২৫ জুন, ২০১০
এএইচবি/এসএ