প্রিটোরিয়া: ভয় কেটে গেছে। বিশ্বকাপে বাড়ছে বিদেশি দর্শক সমাগম।
বাফানা বাফানাদের হলুদ জার্সি গায়ে জড়িয়ে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হন মন্ত্রী। জুমা জানান, চলতি মাসে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা ৬ লাখ ৮২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। ১৩ জুন পর্যন্ত এই সংখ্যা ছিলো ৪ লাখ ৫৬ হাজার। তবে প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে আসা দর্শনার্থীদের বিদেশি পর্যটক হিসেবে বিবেচনা করা হয়নি।
বিশ্বকাপ জমে উঠার সঙ্গে সঙ্গে পর্যটক এবং ভিন্ন ভিন্ন দলের সমর্থক সংখ্যা বাড়বে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। বৃটেন, আমেরিকা, জার্মানি, ব্রাজিলসহ অন্যান্য দলের সমর্থকদের আগমন এখনো অব্যাহত আছে বলে জানান মন্ত্রী। জুমা বলেন,“দর্শনার্থীর ভিড় দেখে আমরা খুশি”
পর্যটকদের সামাল দেওয়ার ধকলও কম পোহাতে হচ্ছে না বিশ্বকাপের আয়োজক দেশটিকে। শত কষ্টের মধ্যেও আয়োজন সফল করতে ‘যাত্রী প্রক্রিয়াকরণ’ নামে সেবা কেন্দ্রও খোলা হয়েছে। সেখান থেকে আগাম সুবিধা পাচ্ছেন বিদেশিরা।
জুমা জানান কাগজ পত্র যথাযথ না হওয়ায় অনেককে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি। দক্ষিণ আফ্রিকা এয়ারলাইন্সের সহযোগিতায় ৯৫ জনকে বিমানবন্দর থেকেই ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
যথাযথ কাগজপত্র নেই এমন প্রায় ১২ হাজার ১৫৭ জনের তালিকা করা হয়েছে বিভিন্ন প্রবেশ পথে বলে জানান তিনি।
ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও যারা দক্ষিণ আফ্রিকায় থেকে যেতে চাইলেও এবার রেহাই পাওয়ার উপায় নেই। বিশেষ ইউনিটের মাধ্যমে অবৈধ পর্যটক বা অভিবাসীদের দেশে ফেরত পাঠানোর আগাম উদ্যোগ নিয়ে রেখেছে দক্ষিণ আফ্রিকার স্বরাষ্টমন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৬০৬ ঘ. ২৩ জুন, ২০১০
এসএফএম/এসএ