ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

খেলা

মোহামেডান ও মুক্তিযোদ্ধার হার

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৬, ২০১২
মোহামেডান ও মুক্তিযোদ্ধার হার

ঢাকা: ফেডারেশন কাপের চূড়ান্ত পর্বের খেলায় শুক্রবার দিনটি ছিলো ফেভারিটদের জন্য হতাশার। গ্রুপ ‘এ’র ম্যাচে মোহামেডানকে ১-০ গোলের লজ্জা উপহার দিয়েছে নবাগত কক্স সিটি।

অন্যদিকে মুক্তিযোদ্ধাকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে প্রায় তিন দশক পর ফুটবলে প্রত্যাবর্তন করা বিজেএমসি।
 
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে মুক্তিযোদ্ধা ও বিজেএমসির ম্যাচটি ছিলো টুর্নামেন্টের সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। পুরো ৯০ মিনিট জুড়্ইে ছিলো আক্রমণ-প্রতিআক্রমণের মহড়া। প্রথম মিনিটেই গোলরক্ষকের মামুন খানের ভুলে গোল খেতে বসেছিলো মুক্তিযোদ্ধা। বক্স থেকে ফ্রি কিক নিতে গিয়ে প্রতিপক্ষ গিনি মিডফিল্ডার ইসমাইল বাঙ্গুরার গায়ে লেগে পোস্ট ঘেষে বল মাঠের বাইরে যায।

১০ মিনিটেই এগিয়ে যায় বিজেএমসি। বামপ্রান্ত থেকে ফিডফিল্ডার আবুলের নিচু করে নেওয়া ফ্রিকিক সোজা জালে। পোস্টের সামনে জটলায় বলে চোখ রাখতে পারেননি গোলরক্ষক মামুন খান। ১৮ মিনিটে ডানপ্রান্তে আলফাজের বানিয়ে দেওয়া বলে বিজেএমসিকে দ্বিতীয় গোল উপহার দেন নাইজেরিয়ান ফিডফিল্ডার আব্দুর রশিদ।

দুই গোলে পিছিয়ে থেকে জেগে ওঠে মুক্তিযোদ্ধা। ২২ মিনিটে একটি গোল পরিশোধ করে কোচ শফিকুল ইসলাম মানিকের দল। মারুফের ফ্রিকিক থেকে হেডে বিজেএমসি গোলরক্ষক হিমেলকে পরাস্ত করেন নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড ডিভাইন। কয়েকটি ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর মুক্তিযোদ্ধা সমতায় ফেরে (২-২) ৬৪ মিনিটে। বক্সের সামনে বিপদ বুঝে আগুয়ান গোলরক্ষক হিমেলের মাথার ওপর দিয়ে বল তুলে দেন স্ট্রাইকার মিঠুন চৌধুরী। পোস্টের সামনে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে বাইবেকের মাথা ছুঁয়ে বল জালে জড়ায়।

আক্রমণ- প্রতিআক্রমণের খেলায় বিজেএমসিকে জয় সূচক গোল উপহার দেন ক্যামেরুন মিডফিল্ডার জুলেস ইকাঙ্গা। ৮৩ মিনিটে বক্সে জটলা থেকে বল পেয়েই আচমকা শটে দ্বিতীয়বার বল জায়গামতো পাঠিয়ে দেন এই মিডফিল্ডার। শেষ মিনিটে রনি ইসলামের ওপেন নেট মিস না হলে আরও বড় জয় পেত কোচ জাকারিয়া বাবুর দল।

মুক্তিযোদ্ধা কোচ মানিক বলেন,‘আগের ম্যাচে কক্সসিটির বিপক্ষে ১০-০ গোলে জয়ে খেলোয়াড়দের অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস এসে যায়। এমিলি ও মিঠুনদের খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা। বড় অংকের জরিমানা শোধে তাদের মানসিক চাপ, দুই দিন আগে খেলোয়াড়দের ক্যাম্পের জন্য বাসা বদল সবমিলিয়ে সময়টা ভাল যায়নি আমাদের। এছাড়া প্রতিপক্ষ চার বিদেশিকে নিয়ে খেলেছে যেখানে আমরা মাত্র দুই খেলোয়াড়কে নিয়ে খেলেছি। এছাড়া ডিফেন্সে জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা ভুল করেছে। ’

অন্যদিকে জয় পেলেও স্কোরে খুশি নন কোচ জাকারিয়া বাবু বলেন, ‘চার থেকে পাঁচটি সুযোগ নষ্ট করেছে ছেলেরা। রনি ও আবুল ওপেন নেট মিস করেছে। ম্যাচ আমাদের নিয়ন্ত্রণে ছিলো। আরও বড় ব্যবধানে জিততে পারতাম আমরা। ’

কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে মোহামেডানকে নাকাল করে জয় তুলে নেয় কক্সসিটি। ৪২ মিনিটে দলকে জয়সূচক গোল উপহার দেন সাইফুদ্দিন। শরীফুল করিমের থেকে বল পেয়ে হেড জালে জড়ান কক্সসিটির এই ফরোয়ার্ড।

হারলেও কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার স্বপ্ন দেখছেন কোচ মোহামেডনা কোচ এমেকা বলেন,‘এখনো সম্ভাবনা ফুরিয়ে যায়নি। মুক্তিযোদ্ধাকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলবো। আমাদের সুযোগ যে শেষ হয়নি সেটার বড় প্রমাণ মুক্তিযোদ্ধা কক্সসিটিকে ১০-০ গোলে হারিয়েছিলো। অথচ আমরা তাদের কাছে হেরেছি! এটাই ফুটবল। ’

অন্যদিকে কক্সসিটি ম্যানেজার খালেদ মোশাররফ জানান, মোহামেডানের বিদেশি খেলোয়াড়দের মার্কিংয়ে রেখে ডিফেন্সিভ খেলেছি। যে সুযোগ পেয়েছি সেটাকে কাজে লাগিয়ে জয় পেয়েছি আমরা। ’

এদিকে মুক্তিযোদ্ধা ও মোহামেডানের হারে জমে উঠেছে এ গ্রুপের খেলা। দুই ম্যাচে এক হার ও জয় নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ও কক্সসিটির সংগ্রহ তিন পয়েন্ট করে। অন্যদিকে এক ড্র ও জয়ে চার পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপে শীর্ষে আছে বিজেএমসি। মোহামেডানের সংগ্রহ দুই ম্যাচে মাত্র এক পয়েন্ট।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।