ঢাকা: শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধে পাঁচ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা ছিলো জাতীয় দলের দুই ফরোয়ার্ড জাহিদ হোসেন এমিলি ও মিঠুন চৌধুরীর ওপর। বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের হস্তক্ষেপে বৃহস্পতিবার নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পেয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের এ দুই ফুটবলার।
বাফুফের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ জানান, এমিলি ও মিঠুন জরিমানার টাকা পরিশোধ করায় উভয়ের শাস্তি প্রত্যাহার করেন বাফুফে সভাপতি।
নিষেধাজ্ঞার কারণে ২ জানুয়ারি মৌসুমের প্রথম ম্যাচে ফেডারেশন কাপ ফুটবলে কক্সসিটির বিপক্ষে খেলতে পারেননি এমিলি ও মিঠুন। শাস্তি প্রত্যাহার হওয়ায় শুক্রবার টুর্নামেন্টের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বিজেএমসির বিপক্ষে মাঠে নামতে পারবেন তারা।
এদিকে মিঠুনÑএমিলির শাস্তি মওকুফ হলেও শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে অভিযুক্ত আরেক ফুটবলার জাহিদ হোসেনের শাস্তি বহাল রেখেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। জরিমানার ১ লাখ টাকা পরিশোধ না করায় আবাহনীর এই ফুটবলারের তিন ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়টি বিবেচনা করেনি বাফুফে।
লেবাননের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ প্রাক বাছাই পর্বের প্রথম রাউন্ড খেলতে যাওয়ার আগে জাতীয় দলের ক্যাম্প থেকে একদিনের ছুটি পেয়ে মানিকগঞ্জে পৌর মেয়র গোল্ডকাপে ভাড়ায় (খ্যাপ) খেলতে গিয়েছিলেন মিঠুন-এমিলি। আর লেবাননের বিপক্ষে ঢাকায় ফিরতি ম্যাচে জাহিদকে উঠিয়ে নিয়েছিলো কোচ নিকোলা ইলিয়েভস্কি। কোচের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়ে পানির বোতলে লাথি মেরেছিলেন জাহিদ।
শ্ঙ্খৃলা ভঙ্গের দায়ে মিঠুনÑএমিলিকে ঘরোয়া ফুটবলে পাঁচ ম্যাচ বহিষ্কার সঙ্গে ২ লাখ টাকা জরিমানা করে ফেডারেশন। অন্যদিকে জাহিদ হোসেনকে দুই ম্যাচ বহিষ্কার ও এক লাখ টাকা জরিমানা করে জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০১১